২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
ওভারিয়ান সিস্ট মেয়েদের জন্য খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। অনেক মেয়েই এই সমস্যায় কষ্ট পায়। কিন্তু সহজে বাইরে বলতে চায়না। ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের সিস্ট যেকোন বয়সী নারীদেরই কিন্তু হতে পারে। তবে ৫০ বছর বয়সের মধ্যেই সাধারনত এই রোগ দেখা দেয়। অর্থাৎ মাসিক বন্ধ হয়ে যাবার আগে এই অসুখ বেশি হয়। ওভারি বা ডিম্বাশয়ে পানিপূর্ণ থলিকে সিস্ট বলা হয়। বিভিন্ন ধরণের সিস্ট মেয়েদের হতে পারে। বেশিরভাগ ওভারিয়ান সিস্ট কিন্তু বিপদজনক নয় অর্থাৎ কোন চিকিৎসারই প্রয়োজন হয় না। তবে কিছু সিস্ট থাকে যা থেকে বিপদ হতে পারে।
ওভারিয়ান সিস্ট হলে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়। যদিও সবার একই রকম লক্ষণ থাকবেনা। যেসব লক্ষণ কমন তার মধ্যে আছে-
১। পেটে ব্যথা হওয়া
২। প্রস্রাবের সমস্যা
৩। বমি বমি ভাব
৪। মাসিক বা ঋতুস্রাবের সমস্যা
৫। ওজন বৃদ্ধি
৬। পিঠের ব্যথা
৭। পেটের সমস্যা
৮। অনেক সময় সিস্ট ফেটে যায় । তখন মারাত্মক সমস্যা হয়।
৯। পায়খানা করতে নানা সমস্যা হতে পারে।
১০। তলপেট ফুলে যেতে পারে।
সাধারণত আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা হয়। সিটি স্ক্যান, এমআরআই, ল্যাপারোস্কোপি কারও কারও লাগতে পারে। তবে ভাল এবং আলট্রাসনতে অভিজ্ঞ চিকিৎসক সহজেই এই রোগ নির্ণয় করেন।
সিস্ট ছোট হলে তাকে বলে ফাংশনাল সিস্ট। এসব ছোট সিস্ট অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়। ৩ মাস পরে আলট্রাসনোগ্রাফি করলে দেখা যায় ওটা চলে গেছে। তবে যদি আলট্রাসনোগ্রাফিতে সিস্টের মধ্যে সমস্যা পাওয়া যায় এবং তা যদি ৩ মাসের মধ্যে না চলে যায় তবে ওষুধ খেতে বা অপারেশন করতে হতে পারে। এমন সমস্যা হলে গোপন না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। সচেতনতাই আমাদের অনেক জটিলতা থেকে বাঁচাতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।