বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মহান আল্লাহ ও রসূল (স:)কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে ভোলার বোরহানউদ্দিনের পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে ৪জন নিহত হয়। এসময় আহত হয় দুই শতাধিক। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভোলায় সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ ২১/১০/১৯ তারিখ সংবাদ সম্মেলন করে ৬ দফা দাবীতে ৭২ ঘন্টা আল্টিমেটাম ও ৪ দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এই কর্মসুচী অনুযায়ী মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোলা হাটখোলা মসজিদ সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ। অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি মোতায়েন করা হয়। কর্মসূচী অনুযায়ী বিকালের দিকে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাটখোলা মসজিদের তৌহিদী জনতা আশা শুরু করলে পুলিশের প্রশাসনের বাধায় তারা ফিরে যায়। এসময় সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ সমাবেশ স্থগিত করেন। এদিকে সারাদেশের কর্মসূচী অনুযায়ী ভোলায় সকালে হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল পুলিশের মুখে করতে পারেনি বলে নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
এদিকে, অনাকাংখিত ঘটনা এড়াতে পুরো শহর জুড়ে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহর জুড়ে অনেকটা শান্তিপূর্ন অবস্থা বিরাজ করছে। দোকান পাট চালু রয়েছে।অনেকটা শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে।তবে বোরহাউদ্দিন এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা অজ্ঞাত মামলার অাতংক রয়েছেন। সাধারন মানুষের কথা যারা অান্যায় করেছে তাদের বিচার হউক। কিন্তু নিরঅপরাধ মানুষ যাতে হয়রানির স্বীকার না হয় সে দাবী প্রশাসনের নিকট।
সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ নেতা মাওঃ মিজানুর রহমান বলেন অামাদের সকল শান্তিপূর্ন অান্দোলন কর্মসুচীর উদ্দেশ্য হল সঠিক তথ্য উৎঘাটনের মাধ্যমে উপযুক্ত বিচার পাওয়া। ইসলাম শান্তির ধর্ম, অামরা সেই ধর্মের অনুসারী, অামরাও শান্তি চাই। মাওলানা তরিকুল ইসলাম বলেন, বোরহান উদ্দিনের ঘটনার প্রতিবাদে আমরা ৪দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করি। মঙ্গলবার বিকালে ভোলার হাটখোলা মসজিদের সমানে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচী দেয়া হয়। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে আমরা কর্মসূচী স্থগিত করতে বাধ্য হই। তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার মানববন্ধন ও শুক্রবার নিহতদের স্মরণে দোয়া মুনাজাতের কর্মসূচী রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের ৬ দফা দাবী না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, যে কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো শহর জুড়ে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, সহিংসতা এড়াতে শহরে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানীর শিকার না হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহলরত রয়েছে। বোরহানউদ্দিন জনের অজ্ঞাত মামলা নিয়ে মানুষ গ্রেফতার ও হয়রানির অাতংকে রয়েছে। সাম্প্রতিক ইস্যুতে ভোলার আলোচিত সেই বিপ্লব চন্দ্র শুভ’র ভগ্নিপতি বিধান চন্দ্র মজুমদারকে ডিবি পরিচয়ে চরফ্যাশন উপজেলা থেকে একটি গ্রুপ তুলে নিয়ে গেছে বলে তার স্বজনের অভিযোগ থাকলে তার সততা পাওয়া যায়নি। সোমবার রাতে উপজেলার দুলারহাট থানার রোদেরহাট বাজারের দোকান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে জানান স্বজনরা তবে ডিবির ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, তাদের কোনো দল ওই অভিযানে যায়নি। এব্যাপারে তারা কিছু জানেনা।দুলারহাট থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, পুলিশের কোনো অভিযান ছিল না। তারা কিছু বলতে পারে না।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত চারজনের লাশ জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর দাফন করা হয়েছে। অন্যদিকে আটক তিনজন বর্তমানে ভোলার জেলহাজতে রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।