২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হার্ট দিবসের থিম বা প্রতিপাদ্য হলোÑ মাই হার্ট, ইওর হার্ট, বাংলায় বলতে পারি ‘আমার হৃদয়, তোমার হৃৎপিÐ’। গতবছরও একই থিম ছিল। তবে এবার বিশ্বব্যাপী হার্ট-হিরো বা হৃদয়-বীরদের কমিউনিটি গড়ে তোলার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। যারা সুস্থ ও কর্মক্ষম রয়েছেন, যাদের হার্টের কোনো সমস্যা নেই এবং যারা নিকটজন ও বিশ্ববাসীর কাছেই প্রতিশ্রæতিবদ্ধ হার্ট সুস্থ রাখার বিষয়ে তারাই হবেন এই বিশ্ব কমিউনিটির হার্ট-হিরো। প্রথমেই জোর দেয়া হয়েছে এই প্রশ্নের ওপর যে আমার এবং আমাদের নিকটজনদের বা ভালোবাসার মানুষদের হার্ট সুস্থ রাখার জন্য এই মুহূর্তে আমরা কী পদক্ষেপ নিচ্ছি। এ প্রসঙ্গে প্রতিশ্রæতির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে যে, আমরা হার্ট ভালো রাখার জন্য কি কি প্রতিশ্রæতি দিচ্ছি। মূলত যে যে কারণে হার্ট অসুস্থ হতে পারে সেগুলো এড়িয়ে চলছি কিনা। যেমন ধূমপান এবং অতিরিক্ত রিচ ফুড খাওয়াÑ এগুলো আমরা বর্জন করার প্রতিশ্রæতি দিচ্ছি কিনা আমাদের প্রিয়জনদের কাছে।
এবার সুনির্দিষ্টভাবে ৫টি অঙ্গীকার করার কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো:
পরিবারের জন্য অঙ্গীকার: রান্না ও খাদ্য যেন হয় আরো স্বাস্থ্যসম্মত
সন্তানের জন্য অঙ্গীকার: শরীরচর্চার জন্যে তাগাদা এবং ধূমপান বর্জনের আহŸান
স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অঙ্গীকার: স্বাস্থ্যকর্মীরা যেন কারো কোলেস্টেরল বাড়তে না দেন, এবং সবসময় ধূমপান ত্যাগ করার কথা বলেন
নীতিনির্ধারকদের জন্য অঙ্গীকার: সুস্থ হার্টের পক্ষে তারা দেশের নীতি নির্ধারণ করবেন
চাকরিদাতার জন্য অঙ্গীকার: কর্মস্থল তারা এমনভাবে তৈরি করবেন যেখানে হার্টবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করবে
বিশ্বের ১৯৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও পালিত হতে চলেছে বিশ্ব হার্ট দিবস। আমরা মনে করি, হার্ট দিবস পালন তখনই সার্থক হবে যখন দেশের অপেক্ষাকৃত কম বিত্তবান মানুষ হৃদরোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের আওতায় আসতে পারবে। এজন্য জাতিসংঘ সুস্থ জীবন যাপনের জন্য বিষেশত হার্ট সুস্থ থাকার জন্য বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে যোগ ব্যায়ামকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়ে ২১ জুন দিনটিকে বিশ্ব যোগ দিবস পালন করছে। তাই হৃদরোগের বিকল্প চিকিৎসার কথাটিও আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। এই বিকল্প চিকিৎসাকে হলিস্টিক চিকিৎসা বলা হয় । হলিস্টিক চিকিৎসা হলো আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রাচীনতম প্রাকৃতিক পদ্ধতির আশ্চর্য সমন্বয়। এই চিকিৎসার মূল চাবিকাঠি দুটি। স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম। রোগীর বয়স এবং রোগের ধরন এবং তার বর্তমান অবস্থার ওপরই নির্ভর করে তার প্রতিদিনের খাদ্যগ্রহণ। আর ব্যায়ামের ব্যাপারটি বিবিধ। তার আগে মন নিয়ন্ত্রণের জন্যে চাই সঠিক উপায়ে মেডিটেশন। মানসিক চাপই মানুষের অসুখ ও অশান্তির মূল কারণ। মানসিক চাপ কমানোর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহাজাগতিক শক্তি থেকে জ্যোতি বা প্রাণরস আহরণের কথাও বলা হয়ে থাকে। এসব অর্জনের কাজটি কিন্তু অত সহজ নয়। তার জন্যে নিয়মিত সময় দিতে হয়, চর্চা করতে হয় সঠিক নিয়ম মেনে। যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম, মেডিটেশন ও নিউরোবিক জিমÑ প্রত্যেকটিরই নিজস্ব রীতিনীতি আছে। হলিস্টিক চিকিৎসায় সোল-মাইন্ড-বডি বা আত্ম-মন-দেহ সব কিছুর ওপরেই লক্ষ্য রেখে প্রোগ্রাম দেওয়া হয়। সংক্ষেপে বলতে পারি হলিস্টিক চিকিৎসা ইতোমধ্যে দেশে আস্থা অর্জন করেছে। বিগত দশ বছর যাবত দেশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে হাজার হাজার হৃদরোগীর জীবনে বাইপাস অপারেশন বা ষ্টেন্টিং বা রিং ছাড়াই সুবাতাস বয়ে এনেছে। আজকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হৃদরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। বাংলাদেশে এই কাজটিই করে আসছে ঢাকাস্থ পান্থপথে এবং চট্টগ্রামের জামাল খানস্থ হলিস্টিক হেলথ কেয়ার সেন্টার। হার্টের কোন কোন চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল বলে অনেকের পক্ষেই চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না। তাছাড়া অধিকাংশ মানুষই থাকেন গ্রামে। সর্বত্র যোগাযোগের ব্যবস্থাও উন্নত নয় । ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। তাই ‘‘হার্ট এটাক হওয়ার আগেই এটাক করুন হার্ট এটাককেই’’। অর্থাৎ হার্টকে রাখুন সুস্থ ও সবল । এ লক্ষেই কাজ করে আসছে হলিস্টিক হেলথ কেয়ার সেন্টার।
হলিস্টিক হেলথ কেয়ার সেন্টার
৪৩আর/ ৫সি পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা
০১৭২১৮৬৮৬০৬, ০১৯২১৮৪৯৬৯৯
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।