পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ব হার্ট দিবস আজ (২৯ সেপ্টেম্বর)। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য, ‘ইউজ হার্ট ফর এভরি হার্ট।’ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। চিকিৎসাশাস্ত্রের পরিভাষায় হৃদরোগকে বলা হয় মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন।
চিকিৎসাশাস্ত্রের পরিভাষায় হৃদরোগকে বলা হয় মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। হৃদরোগের কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলে থাকেন সচল থাকতে গোটা শরীরের মতো হৃদযন্ত্রেরও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। আর করোনারি ধমনী হৃদযন্ত্রে ওই অক্সিজেন সরবরাহ করে। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত জীবনযাপনে করোনারি ধমনীর ভিতরের দেয়ালে ফ্যাট জমে যায়। এর ফলে সময়ের সাথে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফুসফুসে রক্তের সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে কার্ডিয়াক ইস্কেমিয়ার পরিস্থতি তৈরি হয়, যাতে হৃদযন্ত্রে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। বেশ কিছু সময় পর্যন্ত বুঝতে না পারলে, বা চিকিৎসায় দেরি হলে হৃদযন্ত্রের কোষগুলির একে একে মৃত্যু ঘটে। তাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন মানুষ।
পৃথিবীব্যাপী সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে হৃদরোগে, যার অন্যতম প্রধান কারণ তামাক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর বিশ্বে ১৯ লক্ষ মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশে প্রতিবছর ২ লক্ষ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যায়, যার ২৪ শতাংশের জন্য দায়ী তামাক।
দেশে প্রতিদিন গড়ে ৭৫৯ জন মানুষ মারা যায় হৃদরোগে। তবুও প্রান্তিক পর্যায়ে এখনও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাই নিশ্চিত করা যায়নি। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে নেই সচেতনতা কার্যক্রমও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হৃদরোগের বড় কারণ ধূমপান। এছাড়াও শারীরিক পরিশ্রম না করা, অতিরিক্ত মদপান, ডায়াবেটিস এবং মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবারে নিরাপদ মাত্রার চেয়ে দুই-তৃতীয়াংশ বেশি লবণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এসব খাবার থেকে এখনই লবণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে না পারলে মানুষের মধ্যে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা বাড়বে বলে গবেষণায় আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। একই সাথে হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকিও বাড়বে। উচ্চ রক্তচাপ বাড়লে চোখ, কিডনিসহ শরীরের নানা অঙ্গ নষ্ট হতে পারে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ পরিচালিত ‘অ্যাসেসমেন্ট অব সল্ট কন্টেন্ট অ্যান্ড লেবেল কমপ্লায়েন্স অব কমনলি কনজিউমড প্রোসেসড প্যাকেজড ফুডস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রিজলভ টু সেভ লাইভসের সহায়তায় গবেষণাটি করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটের খাবারের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশে (৬১ শতাংশ) নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি লবণ। সামনের দিনগুলোতে প্যাকেটজাত খাবারে মানুষ এখনকার চেয়ে আরো বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে প্যাকেটজাত খাবার থেকে এখনই অতিরিক্ত লবণ কমিয়ে আনতে না পারলে মানুষের মধ্যে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা বাড়বে। আর উচ্চ রক্তচাপ বাড়লে নষ্ট হতে পারে চোখ, কিডনিসহ শরীরের নানা অঙ্গ। একই সাথে হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকিও বাড়বে খাবারে লবণ কমাতে না পারলে।
গবেষণায় প্রতি ১০০ গ্রাম খাবারে সর্বোচ্চ ৭৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত লবণকে নিরাপদ মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে দেখা গেছে, বাজারে বহুল প্রচলিত ৬১ শতাংশ বিস্কুট, চিপস, চানাচুর, নুডলস, ইনস্ট্যান্ট স্যুপ, ঝালমুড়ি, আচার, চাটনি ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবারে নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি লবণ রয়েছে। আর ৩৪ শতাংশ খাবারে নিরাপদ মাত্রার দ্বিগুণ অর্থাৎ ১.৫ গ্রামের বেশি লবণ পাওয়া গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।