Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্ব হার্ট দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

বিশ্বের অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদরোগ। প্রতিবছরে বিশ্বে প্রায় ১৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন বা এক কোটি ৮৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় রোগটিতে। হৃদরোগের অন্যতম কারণ ধূমপান, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থুলতা, মেটাবলিক সিনড্রোম, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, কায়িক পরিশ্রমহীন আধুনিক জীবনযাপন, বায়ু দূষণ ইত্যাদি। এই তথ্য বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব হার্ট দিবস। দিবসটির এবারের মূল প্রতিপাদ্য ‘হৃদয় দিয়ে হৃদয়ের যত্ম নিন।’বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ২০ শতাংশের কারণ তামাক ব্যবহার। সেটি ধোয়াবিহীন বা ধোয়াযুক্ত যেকোন ধরনের তামাকের ব্যবহারেই হতে পারে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ এবং মস্তিস্কের রক্তনালির রোগসহ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বাংলাদেশের মৃত্যুর অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে তরুণদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ট্রান্সফ্যাটযুক্ত খাদ্য গ্রহণ হৃদরোগের অন্যতম কারণ। ট্রান্সফ্যাট একটি ক্ষতিকর খাদ্য উপাদান যা হৃদরোগ ও হৃদরোগজনিত অকাল মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায়। ডালডা বা বনস্পতি ঘি এবং তা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার, ফাস্টফুড ও বেকারি পণ্যে ট্রান্সফ্যাট থাকে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের এক গবেষণা দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি ৫ জন তরুণের মধ্যে ১ জন হৃদরোগ ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশ্ব জুড়ে হৃদরোগ ও হৃদরোগজনিত অকাল মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস করতে ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খল থেকে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিবছর বিশ্বে যে পরিমাণ মানুষের মৃত্যু হয় তার ৩১ শতাংশের মৃত্যু হয় হৃরোগে। এখন যে হারে হৃদরোগ হচ্ছে, আগামী ২০৩০ সালে বিশ্বে ২৩ মিলিয়ন লোকের মৃত্যু হয়। হৃদরোগের বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো। ভৌগোলিক কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলদেশে হৃদরোগে ঝুঁকি বেশি। কারণ এ দেশের মানুষ অল্প বয়সে ধূমপানে অভ্যস্ত হয় এবং চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খায়। এছাড়া ভৌগোলিক কারণে এ দেশের মানুষের উচ্চতা কম, এর ফলে তাদের হার্টের করোনারি আর্টারি (ধমনি) সরু থাকে। ফলে অল্পতেই কোলেস্টেরলে বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এসব বিষয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান বলেন, হৃদরোগ থেকে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করতে হবে। এছাড়া বর্তমানে বিশ্বব্যাপি করোনা মহামারি চলছে। হৃদরোগে আক্রান্তদের কোভিড সংক্রমণ হলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলে যেতে পারে। তাই হৃদরোগীরা যেন কোভিড আক্রান্ত না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর কোভিড আক্রান্ত হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্ব হার্ট দিবস আজ

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ