পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পিতার মৃত্যুর পর মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির ছেলে আব্দুল্লাহ খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। বুধবার মারা যাওয়ার আগে তিনি কয়েকবার শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
টুইটারে নিজের শেষ পোস্টে আবদুল্লাহ পিতা মোহাম্মদ মুরসির জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং প্রেসিডেন্টের ওপর যে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে, তার বিচার দাবি করেন। এছাড়া মুরসির বক্তব্যও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন তিনি।
মুরসির দ্বিতীয় ছেলে আহমেদ বলেন, তার ভাই আবদুল্লাহ গাড়ি চালাচ্ছিলেন এবং হঠাৎ করে কাঁপতে শুরু করেন। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে বাঁচাতে পারেননি।
মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্টের পরিবারের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা আনাদুলু জানায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মুরসির ছিলে আবদুল্লাহ মারা গেছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকবার কারাগারে যেতে হয়েছে তাকে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ আনা হলেও তিনি ছাড়া পেয়ে যান।
মুরসির সন্তানদের মধ্যে আবদুল্লাহ ছিলেন মিসরীয় সরকারের সবচেয়ে স্পষ্ট সমালোচক। তিনি তার বাবাকে সবক্ষেত্রে সমর্থন করতেন।
মুরসি কারাগারে থাকাকালে তাকে সুরক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন ২৪ বছর বয়সী এই যুবক।
খবরে বলা হয়েছে, পিতার মৃত্যুর পর মিসরের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ তৌফিক, তার পূর্বসূরি মাজদি আবদেল গাফ্ফার ও মোহাম্মদ শারিন ফাহমি এবং যে বিচারক বিচারের কাজ করছিলেন, তারাসহ বেশ কিছু লোক শহীদ মোহাম্মদ মুরসিকে হত্যায় সহায়তা করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ছয় বছরের নির্জন কারাবাসের পর গত ১৭ জুন আদালত কক্ষে পড়ে যান মোহাম্মদ মুরসি। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, যকৃত ও কিডনি রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু ছয় বছর ধরে পরিবারের কোনো সদস্য কিংবা আইনজীবীদের সঙ্গে তাকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। অনেকটা বিনা চিকিৎসা ও অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা দাবি করছেন।
ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে গত বছর আবদুল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ২০১৫ সালের অভ্যুত্থানের পর তিনি একবছর জেল খেটেছিলেন।
আবদুল্লাহর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে মিসরের সাবেক রাজনৈতিক কারাবন্দী মোহাম্মদ সুলতান এক টুইট পোস্টে তার সাহসের তারিফ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।