বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দিনে তিনি শ্রমিক লীগ নেতা। রাতে চোরের সর্দার। একদল চোর পোষেণ তিনি। চোরেরা তাকে ডাকে সর্দার। চোরদের নিয়েই তার গোপন কারবার। চুরির মালামাল কেনা, চোরদের দেখভাল, চুরি করতে না পারলে হাতখরচ দেওয়া-সবই করতেন একহাতে। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। তার নাম সোহেল ওরফে সাল্লু (৩৫)। চট্টগ্রাম নগরীতে বেশ কয়েকটি বড় চুরির ঘটনার এই চোরের সর্দারকে বুধবার রাতে নগরীর দিদার মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ সময় তার কাছে পাওয়া যায় একটি দেশি বন্দুক। জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন থেকে চোরদের নিয়ে কারবার করার দায় স্বীকার করে সোহেল। সোহেলের দাবি তিনি বাকলিয়া ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। যদিও সংগঠনের স্থানীয় নেতারা বলেছেন, তিনি আগের কমিটিতে ছিলেন, নতুন কমিটিতে নেই।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, স¤প্রতি চোর চক্রের তিনজনকে গ্রেফতারের পর তাদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন নামের একজন আদালতে জবানবন্দি দেয়। তাতে সে বলেছে বাকলিয়ার সোহেল তাদের ‘বড় ভাই’। এ ‘বড় ভাইয়ের’ নির্দেশেই নগরীর বাসাবাড়িতে চুরি করে তারা। আর চোরাই মালামাল তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন সোহেল। বিনিময়ে তাদের দেওয়া হয় হাত খরচের টাকা। আর চুরি করতে না পারলেও হাত খরচ দিত সে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতারের পর তার বাসা থেকে তিনটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান বলেন, কোতোয়ালী এলাকায় বিভিন্ন বাসায় চুরির মামলায় আনোয়ার গ্রেফতার হয়। কোতোয়ালী থানা এলাকায় ১৭টি ভবনে চুরির কথা স্বীকার করে আনোয়ার। যার মধ্যে সাতটি বাসায় চুরির ঘটনায় আগে মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, ধরাবাঁধা কোনো সময় নেই, সুযোগ পেলেই চুরি করে আনোয়ার। তবে সে দরজা দিয়ে কোনো বাসায় ঢোকে না, ভবনের পেছনে পানির পাইপ বেয়ে উঠে হানা দেয়। যত বড় ভবনই হোক না কেন তারা উঠে যেতে পারে অনায়াসে।
আনোয়ার একসময় ছিলেন টোকাই। পরে লোহা কুড়ানোর পাশাপাশি সুযোগ পেলে চুরি করে লোহা বিক্রি করতেন। বছর পাঁচেক আগে বাকলিয়ার বগার বিলের কথিত বড় ভাই সোহেল তাকে বেশি আয়ের লোভ দেখিয়ে বাসাবাড়িতে চুরির পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শেই আনোয়ার বাসাবাড়িতে চুরি শুরু করেন এবং চুরি করা মালামাল কিনে নেন সোহেল।
আনোয়ার ছাড়াও সোহেলের পোষা চোর আছে আরও কয়েকজন। তাদের কাছ থেকে সোহেল প্রতিটি মোবাইল দুই হাজার, ল্যাপটপ তিন হাজার ও স্বর্ণালঙ্কারের জন্য চার হাজার টাকা করে দেয়। টানা তিন-চারদিন চুরি করতে না পারলে সোহেল তাদের বকাঝকা, এমনকি মারধরও করত। আবার চোরদের পকেট খালি থাকলে ইয়াবা সেবনের টাকাও সে দিত। চুরির মালামাল দেওয়ার পর সে টাকা কেটে রাখা হয় তাদের কাছ থেকে। দলের তিনজন গ্রেফতার হওয়ার সোহেল গা-ঢাকা দেন। বুধবার চট্টগ্রাম আসতেই তাকে ধরা হয়। পরে তার বাসা থেকে তিনটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, সাতটি স্বর্ণের আংটি, দুইটি গলার হার ও তিনটি কানের দুল উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।