পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
আজকের এই কলামটি শুরু করার আগে একজন ভারতীয় লেখকের কলাম থেকে একটি খবর উদ্ধৃত করছি। ঢাকার একটি প্রাচীন বাংলা দৈনিকে কলামটি ছাপা হয়েছে ২২ অগাস্ট বৃহস্পতিবার। কলামটির শিরোনাম হচ্ছে, ‘কোথায় যাচ্ছে কাশ্মীর!’। কলাম লেখক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত বলছেন, “সংবিধানের ঐ দুটি ধারা ৩৭০ ও ৩৫ (ক) সংশোধনের পর সদ্য আরএসএসে যোগ দেওয়া আমার পরিচিত একজন কেন্দ্রীয় সরকারি আমলা দ্রুত ছুটে এসেছেন আমার বাড়িতে। লাফাতে লাফাতে বললেন , তিনি কাশ্মীরে গিয়ে ২০-২৫ মিটার জমি কিনবেন। এই পরিচিত সরকারি আমলা জানেন না, সংবিধান সংশোধন হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মোদি অমিত শাহের বন্ধু ধনকুবের মুকেশ আম্বানি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, তিনি জম্মু-কাশ্মীরে গিয়ে কয়েক হাজার একক জমি কিনবেন। সেখানে তিনি শিল্প গড়বেন। কোন স্বার্থে গুজরাটি ব্যবসায়ীদের জমি কিনতে দেওয়া হচ্ছে তা এখন ডাল লেকের জলের মতো পরিষ্কার।” বাংলাদেশের সচেতন মানুষের কাছেও বিষয়টি পানির মতো পরিষ্কার। তার পরেও মোদি এবং অমিত শাহর আসল মতলব সম্পর্কে আরো খোলাসা করে কিছু আলোচনা করা দরকার।
গত ৫ অগাস্ট সোমবার ভারত তার সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫(ক) অনুচ্ছেদ বাতিল করেছে, এটা সবাই জানেন। কিন্তু কেন নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ এই কাজটি করলেন? এই বিষয়টি এখন আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন তো কথা নয় যে, এই দুটি অনুচ্ছেদ বাতিল করার ফলে কাশ্মীর ভারতের হয়ে গেলো। যিনি যেভাবে বলুন না কেন, ১৯৪৮ সালের পর থেকে আজাদ কাশ্মীর ছাড়া জম্মু এবং কাশ্মীর তো ভারতের ছিলই। ১৯৪৭ সালের ভারত ভুক্তির চুক্তির মাধ্যমে (Instrument of Accession) কাশ্মীর ভারতের হয়ে গেছে। এই চুক্তিটি পাকিস্তান মেনে নেয়নি। কাশ্মীরের ভারত ভুক্তি নিয়ে ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ সালে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রথম যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধের ফলে সমগ্র জম্মু ও কাশ্মীরের অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র অংশ পাকিস্তান দখল করে এবং লাদাখসহ জম্মু ও কাশ্মীরের বড় অংশ ভারত দখল করে। ১৯৬২ সালের ভারত চীন যুদ্ধের পর চীন ভারতের তৎকালীন উত্তর পূর্ব ফ্রন্টিয়ার এজেন্সি বা নেফা (বর্তমানে অরুণাচল) এবং আকসাই চীন দখল করে। কয়েক দিন পর চীন নিজ থেকেই অর্থাৎ স্বেচ্ছায় অরুণাচল ছেড়ে যায়। তবে আকসাই চীন ছাড়েনি। সেই থেকে আকসাই চীন তাদের নিয়ন্ত্রণের রয়েছে।
সুতরাং দেখা যায় যে, কাশ্মীর বর্তমানে তিন ভাবে বিভক্ত। এক ভাগ পাকিস্তানে। এই ভাগে রয়েছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর, গিলগিট এবং বাল্টিস্তান। অপর ভাগে রয়েছে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। আর তৃতীয় ভাগে রয়েছে চীন নিয়ন্ত্রিত আকসাই চীন। বিগত ৭০ বছর হলো জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতেরই দখলে রয়েছে। কাশ্মীরের সবচেয়ে বড় অংশের নাম কাশ্মীর উপত্যকা। এখানে ৯৭ শতাংশ মানুষ মুসলমান। তারা ভারতে যেতে চাননি। তারা পাকিস্তানে যোগদান করতে চেয়েছিলেন। আর যদি সেটি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর আগ্রাসনের ফলে সম্ভব না হয় তাহলে শেখ আব্দুল্লাহর মত অনুযায়ী উপত্যকা স্বাধীন থাকবে। ভারত সামরিক দিক দিয়ে বেশি শক্তিশালী হওয়ায় কাশ্মীর উপত্যকা এবং লাদাখ দখল করে আছে।
দুই
যেহেতু জনগণের মতামতের বিরুদ্ধে ভারত শুধু মাত্র সামরিক শক্তির জোরে কাশ্মীর দখল করে আছে তাই তাদেরকে সান্ত¦না হিসাবে ৩৭০ ও ৩৫ (ক) অনুচ্ছেদ দুটির মাধ্যমে একটি সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই সান্ত¦না পুরস্কারটির নাম জম্মু ও কাশ্মীরের স্পেশাল স্ট্যাটাস বা বিশেষ মর্যাদা। লক্ষ্য করার বিষয় হলো এই যে এই অনুচ্ছেদ দুটি কিন্তু ভারতীয় সংবিধানের অংশ। এবারের নির্বাচনে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে। তাই তারা ঐ দুটি অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বাতিল করেছে। ১৯৪৮ সাল থেকে কাশ্মীর বা লাদাখ যেমন ভারত দখল করেছিল ২০১৯ সালেও তেমনি ভারত ঐ অঞ্চল দখল করে রেখেছে। এখন প্রশ্ন হলো, ৭০ বছর পরে ভারত কেন অনুচ্ছেদ দুটি বাতিল করলো?
সারা ভারতের ২৯টি প্রদেশের মধ্যে একমাত্র জম্মু ও কাশ্মীরই মুসিলম প্রধান। শুধুমাত্র কাশ্মীর উপত্যকায় তারা ৯৭ শতাংশ। আর জম্মু ও লাদাখসহ ৭৩ শতাংশ। সকলেই জানেন যে, ৩৭০ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে কাশ্মীরের নিজস্ব সংবিধান ছিল, নিজস্ব বিধান সভা ছিল, নিজস্ব জাতীয় পতাকা ছিল, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বলা হতো এবং কিছুটা স্বায়ত্ব শাসন দেওয়া হয়েছিল। প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ এবং পররাষ্ট্রনীতি ছাড়া অন্যান্য বিষয় প্রদেশ অর্থাৎ কাশ্মীর সরকারের হাতে ছিল। আর ৩৫(ক) অনুচ্ছেদে ছিল, ভারতের অবশিষ্ট ২৮টি প্রদেশের কোনো নাগরিক কাশ্মীরে গিয়ে বসত গাড়তে পারবেন না, জমি জমা কিনতে পারবেন না, ঘর বাড়ি তুলতে পারবেন না। তারা সেখানে গিয়ে বিয়েও করতে পারবেন না। কোনো কাশ্মীরী যদি অন্য কোনো প্রদেশের ছেলে বা মেয়েকে বিয়ে করেন তাহলে তিনি তার মায়ের বা বাপের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন। এমনকি তাদের যেসব সন্তান সন্তুতি হবে তারাও দাদা-দাদি বা নানা-নানির সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন। ৩৫ (ক) অনুচ্ছেদে এসব বিধান ছিল।
এখন ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ফলে কাশ্মীরের আলাদা কোনো সংবিধান থাকবে না, কোনো পতাকা থাকবে না, অন্যান্য ২৮টি প্রদেশের সরকার প্রধানকে যেমন মুখ্যমন্ত্রী বলা হয় তেমনি কাশ্মীরের সরকার প্রধানকেও মুখ্যমন্ত্রী বলা হবে। আর ৩৫ (ক) অনুচ্ছেদ বাতিলের ফলে অন্যান্য প্রদেশ থেকে এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থেকে নাগরিকরা কাশ্মীরে গিয়ে জমি জমা কিনে বা ঘরবাড়ি নির্মাণ করে এখন থেকে বসত গড়তে পারবে। এছাড়া তাদের বিয়ে শাদি করার ব্যাপারে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকলো না। তবে এখানে একটি কথা আছে। ভারতের এই উদ্দেশ্য কতখানি সফল হবে সেটি এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে মুসলমান মেয়েদেরকে বিয়ে করতে হলে হিন্দুকে মুসলমান হয়ে যেতে হয়। মুসলমানদের এই বিধানকে তারা কতখানি মূল্য দেবে আমরা জানি না। তবে এই বিষয়ে সমগ্র কাশ্মীর যদি সামাজিকভাবে আন্দোলিত হয় তাহলে বিস্মিত হবো না। কাশ্মীর নিয়ে এই উপমহাদেশের ভবিষ্যত কী সেটা আমরা জানি না।
নরেন্দ্র মোদি শুধুমাত্র ঐ দুটি অনুচ্ছেদ বাতিল করেই ক্ষান্ত হননি। তিনি কাশ্মীরকে দ্বিখন্ডিত করেছেন। দুইটি খন্ডের একটি হলো জম্মু ও কাশ্মীর এবং অপর খন্ডটি হলো লাদাখ। এই দুটি অঞ্চলই এখন কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের স্ট্যাটাসে ডাউন গ্রেডেড হলো। এই দুটি নিয়ে ভারতের কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সংখ্যা হলো ৯। এর আগে যে ৭টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ছিল সেগুলোর নাম হলো, (১) আন্দামান ও নিকোবার দীপপুঞ্জ, (২) দাদরা ও নগর হাভেলি, (৩) দিল্লী, (৪) চন্ডীগড়, (৫) দমন ও দিউ, (৬) লাক্ষাদ্বীপ এবং (৭) পুদুচেরি। এর সাথে যুক্ত হলো কাশ্মীর এবং লাদাখ। তবে লাদাখকে পুরোপুরি দখল করে নেওয়ায় এবং এলাকাটিকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করায় গণচীন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছে যে লাদাখের একটি অংশ চীনের তিব্বত এবং জিনজিয়াং প্রদেশের অংশ। ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে চীনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হয়েছে।
কাশ্মীরকে দ্বিখন্ডিত করার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভারতের বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। তিনি বলেন, প্রদেশগুলোকে একাধিক অংশে খন্ডিত করার প্রক্রিয়া যদি বিজেপি সরকার অব্যাহত রাখে তাহলে সেটি ভারতকে খন্ড বিখন্ড করার প্রক্রিয়া শুরু করবে। তিনি বলেন, ৫ অগাস্ট সোমবার ভারতের ইতিহাসে কৃষ্ণ দিবস। ভারত যে একটি ইউনিয়ন স্টেট সেটি নসাৎ হয়ে গিয়েছে। তার মতে, মোদি সরকার যেটি করেছে সেটি বর্বর সংখ্যা গরিষ্ঠতার (Brute Majority) জোরে। সংবিধানের এই দুটি ধারা বাতিলকে তিনি দানবীয় কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তিন
আজ ভারতবর্ষের ৩টি দেশ, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ভারতের অংশ ছিল। পরে আলাদা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কাশ্মীর কোনো সময় ভারতের অংশ ছিল না। এটি ছিল একটি দেশীয় রাজ্য। কাশ্মীরের যে অংশটি এখন ভারতের সাথে আছে সেটি ঐ ৩৭০ ও ৩৫ (ক) ধারার বলে আছে। এখন ঐ চুক্তিটি বাতিল হলে কাশ্মীর আর ভারতের থাকে না। তার পরেও ভারত সেখানে আছে, দখলদার বাহিনী হয়ে। বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ বলেন, তাই দেখি মাত্র ৯০ লক্ষ মানুষের দেশ দখলে রাখার জন্য ৬ লক্ষ সৈন্য সেখানে মোতায়েন করতে হয়েছে। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এখন পর্যন্ত সেখানে কারফিউ বলবৎ রয়েছে, টেলিফোন এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরে আমরা বাংলাদেশে সেই চিত্র দেখেছি। তখন বাংলাদেশ পাকিস্তান আর্মির দখলে ছিল। সিকিম, মানভাদার, হায়দারাবাদ, গোয়া, দমন ও দিউ ভারতের অংশ ছিল না। ভারত সামরিক শক্তির বলে এসব অঞ্চলকে ভারতের সাথে যুক্ত করেছে। এখন কাশ্মীরকে ভারতের সাথে যুক্ত করা হলো।
এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে। নিউ ইয়র্কের পত্র পত্রিকায় এ সম্পর্কে যেসব খবরা খবর প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো সংকলিত করলে নিন্মোক্ত চিত্রটি দাঁড়ায়: ঝাড়খন্ডে এক মুসলিম যুবক ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে বিজেপি–সমর্থকদের হাতে জান খোয়াতে হয়েছে। এর আগে একই কারণে আরও তিন যুবক গণ নির্যাতনের (লিঞ্চিং) শিকার হয়েছেন। একই রাজ্যে কংগ্রেসের এক সংসদ সদস্যকে জোর করে জয় শ্রীরাম বলার চেষ্টা প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে যায়। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে যে ভারতের সেরা ৪৯ জন লেখক-বুদ্ধিজীবী এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন। তাঁরা চলতি অবস্থাকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি বলে বর্ণনা করেছেন। সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, যে কংগ্রেস ভারতকে বছরের পর বছর শাসন করেছে সেই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ইন্দিরা গান্ধীর নাতি রাহুল গান্ধীকে কাশ্মীরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কাশ্মীরে আজ যে অবস্থা চলছে সেটি ২৫ মার্চের পরের বাংলাদেশের মতো। সেই ভয়াবহ চিত্র যাতে রাহুল দেখতে না পারেন এবং সেখান থেকে ফিরে এসে বাইরে প্রকাশ করতে না পারেন সেজন্যই তাকে এবং অন্যান্য কংগ্রেস নেতাকে কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
ভারতের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি চান প্রত্যেক ভারতীয় নিজেদেরকে প্রথমে ভাবুক যে সে একজন হিন্দু। গেরুয়া বসনের এই প্রচেষ্টা এবার নরেন্দ্র মোদি বিশেষ করে অমিত শাহ এত জোরে সোরে চালিয়েছিলেন যে সেই প্রচারণার জোয়ারে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাই বোনও নিজেদেরকে হিন্দু হিসাবে জাহির করার চেষ্টা করেন। রাহুল গান্ধী গলায় গাদা ফুলের মালা পরেছেন এবং গেরুয়াও পরেছেন। আর আল্ট্রা মডার্ন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গঙ্গা যাত্রায় নেমেছেন।
গত নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহ এবং রাজনাথ সিং তাদের পরবর্তী প্রকল্প বাস্তবায়নে নেমেছেন। সেটি হলো, ভারতীয় মানেই হিন্দু আর ভারতীয় জাতীয়তাবাদ মানেই হিন্দু জাতীয়তাবাদ। সারা ভারতে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ মানুষ হলেন মুসলমান। আর ৮০ থেকে ৮২ শতাংশ মানুষ হলেন হিন্দু। ১৮ বা ২০ শতাংশকে না হয় ম্যানেজ করা যায়। কিন্তু কাশ্মীর উপত্যকার ৯০ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৯৭ শতাংশ মানুষ অর্থাৎ ৮০ লক্ষ মানুষকে ম্যানেজ করা যাবে কীভাবে? রাস্তা একটিই। সেটি হলো, ৩৭০ এবং ৩৫ (ক) ধারা বাতিল। তারপর লক্ষ লক্ষ মানুষ কাশ্মীরে যাবে, ঘর বাড়ি জমি জমা কিনবে, সেখানে বসত গাড়বে, শিল্প কারখানা গড়বে, বিয়ে শাদি করবে এবং এক সময় তারা মুসলমানদের পরিবর্তে সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে। তাহলেই মোদি, অমিত শাহ এবং রাজনাথের রাম রাজত্ব কায়েম হবে। এটিই হলো ঐ দুইটি অনুচ্ছেদ বাতিলের নেপথ্য কথা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।