Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রেনের ভয়াবহ সিডিউল বিপর্যয়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৯, ১১:১৬ এএম | আপডেট : ১১:২৪ এএম, ১০ আগস্ট, ২০১৯

ঈদের আগ মুহূর্তে ট্রেনের ভয়াবহ সিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। প্রতিটি ট্রেন গড়ে ৮-১০ ঘণ্টা দেরিতে আসছে স্টেশনে। জানা গেছে, নড়বড়ে রেলপথ ও ধারণক্ষমতার চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে চলায় ট্রেনের গতি বেশ কম। এছাড়া গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুতির ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চলের রেলপথ বন্ধ ছিল প্রায় আড়াই ঘণ্টা। সব মিলিয়ে এদিন ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ছিল চরমে।

ফলে আজ শনিবারও একসঙ্গে অনেক মানুষ ঢাকা ছাড়তে গিয়ে দেরির কবলে পড়ছেন। কমলাপুর রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, দিনের প্রথম ট্রেন ধুমকেতু এক্সপ্রেস ছাড়বে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা দেরিতে, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৫ ঘণ্টা, নীলসাগর এক্সপ্রেস ৮ ঘণ্টা, রংপুর এক্সপ্রেস ৮ ঘণ্টা, লালমনিরহাট ঈদ স্পেশাল ট্রেন ১০ ঘণ্টা দেরিতে।

এছাড়া রাজশাহীগামী পদ্মা চলছে সিল্ক সিটির টাইমে, সিল্ক সিটি চলছে ধুমকেতুর টাইমে আর ধুমকেতু চলছে পদ্মার টাইমে। সুন্দরবন ১০ ঘণ্টা, চিত্রা ছাড়ছে ১২ ঘণ্টা দেরিতে। শনিবার রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশন, স্টেশন চত্বর লোকে লোকারণ্য।

এদিকে গত ৩১ জুলাই ১৮-২০ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে যারা ৯ আগস্টের টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন তারাই শুক্রবার কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।

বিলম্বে আসা এক একটি ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছতেই হুড়াহুড়ি করে ট্রেনে উঠতে দেখা গেছে যাত্রীদের। জানালা দিয়েও লোকজন উঠছিল। ট্রেনের ইঞ্জিন, ছাদ ও দুই কোচের সংযোগস্থলেও ঘরমুখো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উঠছিল।

কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মিরপুরের আকাশ মিয়া। অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে তিনি জানান, ১৫-১৬ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিলম্বে ট্রেন আসছে-ছাড়ছে, দায়িত্বশীলদের কেউই কোনো কথা বলছেন না।

শিশুদের জানালা দিয়ে ভেতরে দিতে পারলেও অনেক চেষ্টায় দরজা দিয়ে বড়রা ঢুকতে পারছিলেন না। ফলে বাধ্য হয়ে জানালা দিয়ে ট্রেনে উঠছেন। এতে অনেককে আহতও হতে দেখা গেছে। টিকিটধারী যাত্রীদের সহযোগিতা কিংবা সিট পর্যন্ত যেতে সাহায্য করা হয়নি রেল কর্তৃপক্ষ থেকে।

বিশেষ করে নারী যাত্রীদের দুর্ভোগ ছিল সবচেয়ে বেশি। পুরুষ যাত্রীদের ভিড়ে নারী যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। শত শত লোক ছাদে উঠলেও তাদের প্রতিহত কিংবা বাধা সৃষ্টি করতে দেখা যায়নি। বিনা টিকিটের যাত্রীরা অনায়াসেই ট্রেনে উঠছিলেন।

কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম জুয়েল জানান, ট্রেনে যাত্রীদের চাপ খুব বেশি। এক একটি ট্রেনে নির্ধারিত যাত্রীর চেয়ে ৩-৪ গুণ বেশি যাত্রী উঠছে। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই ট্রেন ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ যাত্রা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ