শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
আমি আর পলি দুই বান্ধবী। দুই জনের মাঝে একেবারে আত্মর-আত্মার টান। যেমন হয় দুই বোনে বোনে। তো যা কিছুই রান্না হোক, দুজনে একেঅপরের সাথে শেয়ার করবেই। এই যেমন পলির রান্না করা মাছ মনির খুব প্রিয়। পলি মাছ রান্না করলে, একবাটি চালান হবেই আমার কাছে। তেমনি আমার হাতের প্রিয় কিছু রান্না পলির কাছে চালান যাবেই। এমনি এক চালাচালির ভিতর ঘটে গেল সেই বিখ্যাত ঘটনা। ঘটনা এই! আমার দেশের বাড়ি বগুড়া, বগুড়ার একটি বিশেষ রান্না আলুর ঘন্ট (আঞ্চলিক ভাষায় বলে আলুর ঘাটি)। এই আলুর ঘাটি পলির খুব প্রিয়। এক সন্ধ্যারাত্রিতে আমি আলুর ঘাটি রান্না করে, পলির ঘরের উদ্দেশ্য যাবার জন্য যেই না দরজা খুলেছি, অমনি এক স্প্যানিশ যুবক আগে থেকেই হয়তো দরজায় ওতপেতে ছিল। আমাকে একহাত দিয়ে বুকে ধাক্কা মেরে ঘরের ভিতর আবার ঢুকিয়ে দিল। বেকুব ব্যাটা জানেনা, আমি শুধু অশরীরী জিনভূত ডরাই, মানুষরূপী ভয়ঙ্কর পিচাশকে কখনোই ভয় পাই না। এদের প্রতিহত করার মনের জোর নিয়েই আমি চলি। তুই কোন ছ্যারা রে? তোর কি অবস্থা করি দ্যাখ এবার...
যুবকটির ধাক্কা খেয়ে আমি এক মুহূর্তের ভিতর বুঝে ফেলেছি কি ভয়ানক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। মনে মনে আলাহকে ভরসা করে আমার কেরামতি দেখানো শুরু করলাম বেচারা স্প্যানিশ ছ্যারার উপর। আমার প্রথম পতিক্রিয়া, এক্কেবারে খাস বাংলায় গালিগালাজ। যে কোন জাতি বিশেষ মুহূর্তে কিন্তু মাতৃভাষার গালির প্রতি ভীষন টান অনুভব করে। আমিও তাই করলাম, ওই ওই করোস কি, মাগো, বাবাগো, অমুক বাচ্চা.. তমুক বাচ্চা..। ওই হারামি তুই কেএএএ... এক্কেবারে সেই রকম একটা চিলান। মুহূর্তমাত্র, ধাক্কা খেয়ে আমিও গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে ওই ছ্যাঁরাকে দিলাম পাল্টা ধাক্কা। ওই ছ্যাঁরা হয়তো ভেবেছিল অবলা নারী ধাক্কাতেই কাইত হয়ে যাবে, তারপর তার পৈশাচিকতার নমুনা পেশ করবে। তাই নাকি রে? এমন আহ্লাদী আশা নিয়ে এসেছো? তোর এই আশার উপর আজ আমি আলুর ঘাটি ঢালবো রে বাছাধন। মৃত্যু পর্যন্ত শিউরে শিউরে উঠবি আমাকে স্মরণ করে। যুবকটি আমার আচমকা ধাক্কা সামলাতে না পেরে পিছনে টালমাটাল হতে হতে আমি ঝেড়ে দিলাম এক লাথি। ব্যাস ছ্যাঁরা ধপাস করে ফ্লোরে যেই না বসে পড়েছে, অমনি সদ্য চুলা থেকে নামানো টাটকা গরম আলুর ঘাটি ব্যাটার মুখের বরাবর ছুঁড়ে পরিবেশন করলাম। নে, এবার গরম গরম আলুর ঘাটি খ্যা।
তারপর সাথে সাথেই দরজা বন্ধ করে ৯১১ নাম্বারে কল। বদ্ধ দরজাতে তখন ভীষণ ধুমাধুম বাড়ি আর ধাক্কা চলছে। কারন হলো, মহাশয় একা অতিথি হয়ে আমার বাড়ি আলুর ঘাটি খেতে আসেনি, সঙ্গে ছিল আরেকজন। উনি নাকি লিফটের কাছে পাহারারত অবস্থায় ছিলেন। এবং দুজনের কাছেই পিস্তল ছিল। এইসব আমি পরে পুলিশ থেকে জেনেছি। যাইহোক, ৯১১ নাম্বারে কল করার পর আমি যখন হরহর করে তাদের ঘটনা বলে সাহায্যর আবেদন করছি, তারাও শুনতে পাচ্ছিল দরজায় ভীষণ ভাবে করাঘাত এর শব্দ। খুব বেশী না, ১০ মিনিট যায়নি, দরজার ওপাশ থেকে পুলিশের কন্ঠ পেলাম। ম্যাম চিন্তার কিছু নাই, তুুমি নিশ্চিন্তে দরজা খুলতে পারো, আমরা পুলিশ। আমি দ্বিধায় পড়ে গেলাম, এতো তাড়াতাড়ি পুলিশ আসবে কোথা থেকে? ৯১১ ওয়ালাদের পুুুুনরায় পুলিশের উপস্থিতির কথা জানালাম। তারাও বললো অসুবিধা নাই, তুমি নিশ্চিন্তে দরজা খুলতে পারো, তারা সত্যিকারের পুলিশ, তোমাকে সাহায্য করতে এসেছে।
আমি দরজা খোলার পর যে দৃশ্য দেখলাম, একদম ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। একটা না, দুটি বলদ সেখানে ত্রাহি চিত্কার করছে। একটা গরম আলুর ঘাটিতে ঝলসানো পোড়া মুখ উর্ধ্বমুখী হয়ে চোখ বন্ধ করে গ্যাঁ গ্যাঁ ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কান্না করছে। অন্যজনকে পুলিশ পিছমোড়া হ্যান্ডকাফ পরিয়ে উপুড় করে শুইয়ে রেখে তার উপড় সোয়ারী হয়ে পিস্তল তাক করে বসে আছে। এমন দৃশ্য দেখে আমি বেশ মজা পেয়ে বলে উঠলাম, ওয়াও! আরো ২-৩ জন ছেলেমেয়ে ওদের ঘিরে আছে। তারা সবাই সিভিল পোশাকে পুলিশ। মুহূর্তে ধুপধাপ আওয়াজে সিঁড়ি বেয়ে কম করে ৮-১০ পুলিশ এসে হাজির। যার উপর পুলিশ সোয়ারী ছিল, আমি ঘর হতে বের হওয়ার সাথে সাথে অশ্রাব্য ভাষায় গালি আর অগ্নিঝরা দুই চোখে তার সে কি ঘৃণা। মুহূর্ত মাত্র দেরি না করে সাথে সাথে সোয়ারী পুলিশ তার মাথায় পিস্তলের বাট দিয়ে দিসে এক গোত্তা, অমনি একটা থ্যাক করে আওয়াজ। হারামীর নাক-মুখ এক্কেবারে থ্যাঁতলা। পুলিশ আমাকে দুইজনের মুখ দর্শন করিয়ে বললোো, তুমি এবার তোমার ঘরে প্রবেশ করো, আমরা এদেরকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে চললাম। পুলিশদের ধন্যবাদ দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।
দুই দিন পর আমার ফোনে কোর্ট থেকে কল আসলো। আমার পক্ষ হয়ে পুলিশ সেই দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছিল। কোর্ট থেকে সরকারি যে উকিল আমার পক্ষ হয়ে লড়বে, সে আমার সহযোগিতা চেয়েছিল। আমার সাফ জবাব, আমি কোর্টে দৌড়াদৌড়ি করতে পারবোনা, এতো সময় আমার নেই। তোমাদের যা মনে চায়, তাই করো তাদের নিয়ে। অবশ্য শেষমেষ একটু মিচকা দুষ্টামি করতে ছাড়লাম না। আমি বললাম, ওদের এমন জরিমানা করো, যাতে সারাজীবন জরিমানা শোধ করতে করতে ফক্কিন্নি হয়ে যায়। যার মুখ ঝলসিয়ে বেগুনপোড়ার রূপ দিয়েছি, সে যেন ইহকালে কসমেটিক সার্জারী করে আর চাঁদবদনী হতে না পারে। আমার কথা শুনে উকিল হা হা করে সে কি হাসি। বলে, তুমি তো খুব ফানি। এক সপ্তাহ পরে আমার ঠিকানায় কোর্ট থেকে নোটিশ এলো, তাদের সাজা হয়েছে এবং আগামী এক বছর আমি পুলিশ প্রটেকশনে থাকবো। তারা বা তাদের কোন সঙ্গী যেন আমার কোন ক্ষতি করতে না পারে।
আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করি, আমাদের দেশের মেয়েরা যদি একটু এমন সাহস বুকে ধারণ করে চলতো, তবে এতো অযাচিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করা কত্তো সহজ হতো। আরে তুমি মেয়ে আর ওরা ছেলে। আলাহ দুই জনকে সমান বুদ্ধি, বিবেক, হাত-পা দিয়েছেন। মেয়েদের গায়ের জোর কম হলেও বুদ্ধির জোর তো আছে। কেন আমি পারবো না, আমি বেচারি, আমি অবলা, চিন্তা করে নিজেকে ধংস করবো? আলাহু আমার সাথে আছেন, অন্যায় প্রতিহত করার জন্য উনি সব সময় আমাকে সাহায্য করবেনই। এই বিশ্বাস ভরসা করে চললে বাংলার মেয়েরা সাফল্য পাবেই। বুকে সাহস আর বুদ্ধি থাকলে সামান্য আলুর ঘাটিই অনেক বড় অস্ত্র হয়ে উঠে, হি.. হি.. হি..।
বর্ষার প্র্রেমের কবিতা
কালিদাস ও অন্যান্য
সু ম ন আ মী ন
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
কবি বুদ্ধদেব বসু বলেছেন-
“শুধুমাত্র যৌন প্রণয়কে অবলম্বন করে এমন সর্বাঙ্গ সুন্দর দীর্ঘ কবিতা পৃথিবীতে আর রচিত হয়নি।.....আট মাস ব্যাপী সম্ভোগের অভাবে, সে এখন যে দশা প্রাপ্ত হয়েছে তার নাম দেয়া যায় নিখিল কামুকত্ত¡; সব চিন্তা সব স্মৃতি তার মনে যৌন চিত্র কল্প জাগিয়ে তুলছে; তার কাম, যথাযথ পাত্র থেকে বঞ্চিত হয়ে, নিসর্গে ছড়িয়ে পড়লো।....
বর্ষা মূলত কাম-প্রেম জাগানিয়া ঋতু। যক্ষের মতো যে কোন বিরহী প্রেমিক হৃদয় ও প্রেমিকার সান্নিধ্য পাবার আশায়, উদগ্রীব হয়ে থাকে এই সময়। বর্ষার প্রকৃতিই যেন আমাদের আকাশ থেকে লাজ-শরম- ভয় দূরে ঠেলে দেয়। মনের অজান্তেই হৃদয়ে অনুরণন হয়-
এমন দিনে তারে বলা যায়/ এমন ঘন ঘোর বরিষায়-
এমন মেঘস্বরে বাদল-ঝরঝরে/ তপনহীন ঘন তমসায়-
বর্ষারদিন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বৈষ্ণব কবিদের পদাবলীতে বর্ষা এসেছে ভিন্ন আঙ্গীকে। পদাবলী সাহিত্যের শ্রেষ্ট কবি বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস বর্ষাকে দেখেছেন প্রেমের ও বিরহের স্পর্শে। চন্ডীদাসের কবিতায় কৃষ্ণের প্রতি রাঁধার প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ফুটে উঠে এভাবে-
এ ঘোর রজনী মেঘের ঘটা/ কেমনে আইলো বাটে।
আঙ্গিনার মাঝে বঁধুয়া ভিজিছে/ দেখিয়া পরাণ ফাটে।
-(চন্ডীদাস)।
বর্ষণমুখর দিনে প্রেমিকাকে কাছে না পাওয়া যে যাতনা তা বিদ্যাপতি রাঁধার মুখে বলিয়েছেন তার পুরো আকুতি...
এ সখি হামারি দুখের নাহি ওর।
এ ভরা বাদর মাহ বাদর/ শূন্য মন্দির মোর
(বিদ্যাপতি)।
রবীন্দ্রনাথ গীতবিতানে প্রকৃতি পর্যায়ের গানের সংখ্যা ২৮৩। এর মধ্যে বর্ষা পর্যায়ে গানের সংখ্যা ১২০টি। ১৩২১ সনের আষাঢ় মাসে লেখা ‘আষাঢ়’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ লেখেন: ভারতবর্ষের প্রত্যেক ঋতুরই একটা না একটা উৎসব আছে। কিন্তু ঋতু যে বিনা কারণে তা হৃদয় অধিকার করিয়াছে তা যদি দেখিতে চাও তবে সংগীতের মধ্যে সন্ধান করো। কেন না, সংগীতেই ভিতরকার কথাটা ফাঁস হইয়া যায়। বলিতে গেলে ঋতুর রাগ-রাগিনী কেবল বর্ষার আছে আর বসন্তের। সংগীত শাস্ত্রের মধ্যে সকল ঋতুরই জন্য কিছু কিছু সুরের বরাদ্দ থাকা সম্ভভ, কিন্তু সেটা কেবল শাস্ত্রগত। ব্যবহারে দেখিতে পাই, বসন্তের জন্য আছে বসন্ত আর বাহার; আর বর্ষার জন্য মেঘ, মল্লার, দেশ এবং আর বিস্তর। সংগীতের পাড়ায় ভোট লইলে, বর্ষারই হয় জিত।
বর্ষার ঝর ঝর শব্দে মানব মনের উদাসী হয়ে যাবার কথা কবিগুরুর গানে ঠিকই প্রতিফলিত হয়। মনের আজান্তেই হৃদয় গেয়ে উঠে-
আজি ঝর ঝর মুখর বাদলদিনে
জানিনে, জানিনে কিছুতেই/ কেন মন লাগেনা।
বাংলার চিরন্তন বর্ষার রুপটিই আমরা পাই পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের ‘পল্লীবর্ষা’ কবিতায়। এই কবিতায় পল্লী এলাকার বর্ষার প্রাকৃতিক চিত্রের সাথে প্রেয়সীকে কাছে পাবার যাতনার প্রকাশ করেছে। কবির কামনা যেন ছন্দের তালে ঝরে পরেছে।
আজিকে বাহিরে শুধু ক্রন্দন ছল ছল জলধারে,
বেনু বনে বায়ুনারে এলোকেশ, মন যেন চাই কারে।
কিংবা ফররুখ আহমদের ‘বৃষ্টির ছড়ার’ ছন্দে মন নেচে উঠে ময়ূরীর নৃত্যে। কবি গেয়ে উঠেন-
মেঘের আঁধার মনটানে/ যায় সে ছুঁটে কোনখানে
আউশ ধানের মাঠ ছেড়ে/ আমন ধানের দেশপানে।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায় বর্ষা এসেছে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ও আঙ্গিকে। কবি বর্ষাকে জীবনের নানান রূপে সাজিয়েছেন। কবির ‘ইন্দ্রপতন’ কবিতাতে আষাঢ় মাস কে যথার্থভাবে উপস্থাপন করেছেন।
তখনো অস্ত যায়নি সূর্য, সহসা হইলো শুরু
অম্বরে ঘন ডম্বরু-ধনি গুরুগুরু গুরুগুরু!
আকাশে আকাশে বাজিছে এ কোন ইন্দ্রের আগমনী?
শুনি, অম্বুদ-কম্বু- নিনাদে ঘন বৃত্তহিত ধ্বনি।
নাগরিক কবি শামসুর রাহমানের কবিতায় বর্ষার বিরহী রূপ আসে ভিন্ন রূপ আর ভিন্ন স্বরে। যেমন-
কাঁচের গুরুর মত বৃষ্টি। বাদল দিনের ফুল
কদমের বুনো ঘ্রাণে শিহরিত তুমি ক্ষনে ক্ষনে।
এমন বর্ষার দিনে তোমার কি সাধ জাগে কেউ
নিরিবিলি টেলিফেনে ‘রাঁধা’ বলে ডাকুক তোমাকে?
আধুনিক বাংলা কবিতার শ্রেষ্ঠ পুরুষ কবি আল মাহমুদের কবিতায় র্বষাকে পায় লৌকিক ও আধ্যাত্বিকতার মিশ্রণে। ‘আষাঢ়ের রাতে’ কবিতায় কবির উচ্চারণ-
কেন যে আবিল গন্ধে ভরে ওটে আমার নিঃশ্বাস।
এই রাত, এই হাওয়া, নীলিমার নক্ষত্রনিচয় আর
আতœীয় চাঁদের পিঠ, সবি যেন আচ্ছন্ন ধোঁয়ায়,
যেন সবি প্রায়ান্ধ চোখের কাছে অস্পষ্ট সুদূর।
বর্ষা বাঙ্গালীর প্রিয় বিরহের ঋতু, বর্ষার ঝরঝর তাই আবহমান কাল থেকেই বাংলা কবিতায় স্বরুপে এসেছে। বর্ষার এসব চিরন্তন গান, কবিতায় ¯œাত হয়েছে সবার হৃদয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।