পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনার হিমায়েতপুরে ঠাকুর অনুকুল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পান্ডেকে কুপিয়ে হত্যার মোটিভ এখনও পুলিশ উদ্ঘাটন করতে পারেনি। জঙ্গি সম্পৃক্ততা, অভ্যন্তরীণ কোন দ্বন্দ্ব, নিহত পান্ডের নিজ গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলা সদরের আরুয়া কংশু গ্রামে কারও সাথে কোন ছোট-খাটো বিরোধ, মনমালিন্য, এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে পুলিশ তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভিন্নভাবে র্যাবও তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হাসান জানান, শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক যুগল কিশোর ঘোষ বাদী হয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে। পাবনা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের পাবনা সদর থানা এলাকার ৪ জন, সুজানগরের ৫ জন, আতাইকুলা থানা এলাকার ১ জন, বেড়ায় ১ জন, আমিনপুর থানা এলাকার ২ জন, ঈশ্বরদীর ৯ জন এবং আটঘরিয়া থানা এলাকার ৫ জন রয়েছে।
পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবির সাংবাদিকদের বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে জঙ্গি হামলায় নিহত ও আহতদের যে উপায়ে হত্যা করা এবং আহত করা হয়েছে পান্ডে হত্যার সাথে এর মিল রয়েছে। এই হত্যাকা-ের সাথে জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততাকে প্রাধন্য দিয়ে অন্যান্য বিষয় নিয়েও পুলিশ তদন্ত কাজ শুরু করেছে। এক সূত্রে, জানা গেছে, সেবক পান্ডে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে গোপালগঞ্জ ও পাবনা পুলিশ এবং র্যাব কাজ করছে।
পাবনার পুলিশ সুপার দৃঢ়ভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, খুব শিঘ্রই হত্যাকারী বা হত্যাকারীদের ধরা হবে। এদিকে, শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শহরের আব্দুল হামিদ রোডের সোনালী ব্যাংকের সামনে এই হত্যাকা-ের প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, ঠাকুর অনুকুল চন্দ্র সৎসঙ্গ সেবাশ্রমের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ধর্ম ও শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন চলাকালে পাবনা সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রভাষ চন্দ্র ভদ্র, বাদল ঘোষ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, দেশে ধারাবাহিক হত্যার অংশ হিসেবে নিত্যরঞ্জনকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ পুলিশ এখনও ঘটনার মোটিভ উদ্ঘাটন কিংবা জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি। এভাবে একের পর এক হত্যাকা-ের ঘটনায় সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অবিলম্বে নিত্যরঞ্জন হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবি জানান বক্তরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।