পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইরাকের তিনটি গুরুত্বপ‚র্ণ সামরিক ঘাঁটি থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সিরীয় সীমান্তের ইউফ্রেতিস নদী তীরবর্তী আল কাইম ঘাঁটি ছাড়াও আরও দুটি ঘাঁটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, এসব ঘাঁটি থেকে প্রত্যাহার করা হলেও ইরাকে মার্কিন সেনা উপস্থিতির পরিমাণ প্রায় একই থাকবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫ বার ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা স্বার্থে রকেট হামলা হয়েছে। এসব হামলার জন্য ইরান সমর্থিত গ্রæপগুলোকে দায়ী করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে ইরাকের আটটি ঘাঁটিতে মার্কিন সেনা উপস্থিতি রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ঘাঁটি থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে। আল কাইম ঘাঁটিতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সপ্তাহেই ইরাকি সেনাবাহিনীর কাছে সরঞ্জাম হস্তান্তর করবে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকের অন্যতম পুরনো একটি রেল স্টেশনের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে তৈরি হয় আল কাইম ঘাঁটি। সিরীয় সীমান্তবর্তী এই শহরটি ২০১৪ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের অধীনে চলে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর অভিযানে আইএসের পতনের পর ২০১৭ সালে এটির নিয়ন্ত্রণ পায় ইরাকি সেনাবাহিনী। মার্কিন সেনা কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইএস বিরোধী লড়াইয়ে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সফলতার কারণে (যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন) যৌথবাহিনী কয়েকটি ছোট ঘাঁটি থেকে সেনা পুনর্বিন্যাস করছে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।