পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ভারতে কাশ্মীর নিয়ে টানাপড়েন চলছে। আর এই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এখনও গৃহবন্দি অবস্থাতেই রয়েছেন। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত শোনার পর শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিনি। এক টুইটবার্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের সহ সভাপতি ওমর আবদুল্লাহ। তিনি টুইটবার্তায় বলেছেন, কাশ্মীরের বাসিন্দাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ভয়ঙ্কর পরিণাম হতে চলেছে। টুইটে ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, এই সিদ্ধান্তে কাশ্মীরিদের প্রতি মোদি সরকারের আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হওয়ার পর থেকে কাশ্মীরের বাসিন্দাদের সঙ্গে এইরকম বিশ্বাসঘাতকতা কোনও সরকার করেনি। টুইটে ওমর অভিযোগ করেছেন, মোদি সরকারের প্রতিনিধিরা একদিন আগেও মিথ্যে বলেছিলেন। কারণ একদিন আগে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করে তিনি জানতে চেয়েছিলেন এরকম কোনও পরিকল্পনা রয়েছে কিনা? তখন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের কোনও পরিকল্পনাই মোদি সরকারের নেই। ঠিক তারপরের দিনই গৃহবন্দি করে রাখা হয়। এবং সোমবার সকালেই রাজ্যসভায় কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের প্রস্তাব পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই নিয়ে যাতে কাশ্মীর উপত্যকায় বিদ্রোহ মাথাচারা দিতে না পারে সে কারণে আগে থেকেই সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল মোদী সরকার। তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের সরিয়ে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েই কেবল ক্ষান্ত দেয়নি ১৪৪ ধারা জারি করে ইন্টারনেট পরিষেবা পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওয়ান ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।