পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় ভয়-আতঙ্কে ত্রস্ত ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকা। সন্ত্রাস হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে শুক্রবারই কার্যত নজিরবিহীনভাবে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের অমরনাথ যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। শুধু অমরনাথ যাত্রাই নয়, কাশ্মীরে মাছিল মাতা যাত্রাও স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক প্রশাসন। অবিলম্বে সব পর্যটককে কাশ্মীর ছাড়তে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভয়-আতঙ্কে ত্রস্ত উপত্যকাবাসী। সরকারি নির্দেশিকার পরই ভূ-স্বর্গ ছাড়তে শুরু করেছেন পর্যটকরা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উপত্যকায় প্রায় ১১ হাজার পর্যটক রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২০০ জনেরও বেশি বিদেশি পর্যটক রয়েছেন। কাশ্মীরে সন্ত্রাস হামলার আশঙ্কা প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে অতিরিক্ত ডিজিপি মুনির খান বলেছেন, ‘‘তীর্থযাত্রাকে টার্গেট করে বড়সড় হামলা হতে পারে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। পর্যটকদের টার্গেট করা হতে পারে। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে’’। এদিকে, সরকারি নির্দেশিকার পরই কাশ্মীরজুড়ে আতঙ্ক গ্রাস করেছে। পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ার আশঙ্কায় পেট্রোল পাম্প, মুদির দোকান থেকে এটিএম, সর্বত্রই মানুষের ভিড়।
বিমান বাতিলের ভাড়া মওকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান সংস্থাগুলো। গত ২৫ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জম্মু-কাশ্মীরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ১০০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ২৮ জুলাই রেলের ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনারের পক্ষ থেকে আগামী ৪ মাসের জন্য রেশন মজুত রাখতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাশ্মীরে না আনার পরামর্শ দেয়া হয়। প্রশাসনের এই তৎপরতা দেখে জোর জল্পনা শুরু হয়। ৩৫ এ ধারা খারিজ হতে পারে বলে জোর জল্পনা চলে রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা কেউ বলতে পারছে না। রাজ্য সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অমরনাথমুখী (হিন্দু তীর্থক্ষেত্র যেখানে বরফের শিবলিঙ্গের পূজা দেওয়া হয়) যাত্রীদের টার্গেট করে জঙ্গি হামলা হতে পারে এমন গোয়েন্দা রিপোর্ট পাওয়ার পর কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যটক ও অমরনাথমুখী যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, অতিসত্বর উপত্যকায় তাদের থাকার মেয়াদ কাটছাঁট করা এবং যত দ্রুত সম্ভব ফিরে যাওয়া উচিত। শুক্রবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, নিশ্চিত গোয়েন্দা রিপোর্ট রয়েছে যে, পাকিস্তানের সেনা সমর্থিত জঙ্গিরা অমরনাথ যাত্রায় বিঘ্ন ঘটাতে চাইছে। অমরনাথ যাত্রাপথে একটি ল্যান্ডমাইন ও একটি স্নাইপার রাইফেল পাওয়া গেছে। এদিন যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে সেনাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সেখানে বলা হয়, অমরনাথ যাত্রায় পাকিস্তানের সেনা সমর্থিত জঙ্গিদের তৎপরতার বিষয়ে নিশ্চিত গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজেএস ডিলন বলেন, ‘গত তিন চার দিনে, নিশ্চিত গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল যে, পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গিরা অমরনাথ যাত্রায় বিঘ্ন ঘটাতে চাইছে। তার ওপর ভিত্তি করেই ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। এনডিটিভি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।