Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জম্মু ও কাশ্মীরে ১৭৭ জন পন্ডিতকে জোর করে পুনর্বাসন প্রচেষ্টা ফাঁস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২২, ১২:০৩ এএম

অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জোর করে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে ভারতের মোদি সরকার। শনিবার সরকার কর্তৃক শ্রীনগর জেলা সদর দফতরের ‘নিরাপদ’ অবস্থানে স্থানান্তরিত ১৭৭ জন শিক্ষকের নাম মেসেজিং অ্যাপস এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়ার পরে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন যে, তাদের জম্মুতে বা কাশ্মীরের বাইরের যে কোনও জায়গায় স্থানান্তর করার জন্য তাদের অনুরোধে সম্মত হওয়ার পরিবর্তে, সরকার তালিকাটি প্রকাশ করে সন্ত্রাসীদের জন্য তাদের ‘সহজ লক্ষ্য’ বানিয়েছে। বিজেপির জম্মু ও কাশ্মীর ইউনিট এ ঘটনাকে নিরাপত্তার লংঘন বলে অভিহিত করেছে এবং কাশ্মীরে প্রধানমন্ত্রীর পুনর্বাসন প্যাকেজের অধীনে নিযুক্ত কাশ্মীরি পণ্ডিত শিক্ষকদের নাম এবং পোস্টিং স্থান ‘ফাঁস’ করার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে। পণ্ডিতরা শিক্ষকদের বদলির নীতির বিরোধীতা করেছেন। ‘আমাকে অনন্তনাগ থেকে শ্রীনগরের জওহর নগর স্কুলে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু আমার প্রকৌশলী স্বামীকে এখনও গুলমার্গ রোডে শালতেং পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার যেতে হয়। আমাদের কিছু সময়ের জন্য আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে না পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে,’ বলেছেন শিক্ষক নীরু পঙ্কজ। তিনি বলেন, তার সাত বছরের মেয়ে, ডিপিএস শ্রীনগরের ছাত্রী স্কুলে যেতে ভয় পায়। ‘আমরা জম্মুতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ বেশিরভাগ কাশ্মীরি পন্ডিত পরিবার উপত্যকায় বসবাসকারী এবং কর্মরত হিন্দুদের লক্ষ্য করে মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলার সাম্প্রতিক বৃদ্ধি থেকে বাঁচতে তাদের ‘পুনর্বাসন’ উপনিবেশ ছেড়েছে। যারা পিছনে থেকে গিয়েছিল তাদের জন্য তৈরি করা ভারী সুরক্ষিত আবাসনে আটকে রাখা হয়েছিল, সরকার তাদের ছেড়ে যেতে দেয়নি বা তাদের কাশ্মীরের বাইরে স্থানান্তরের দাবি মেনে নেয়নি। সমাজকল্যাণ কার্মকর্তা রঞ্জন জোতশি বলেন, ৯৬টি কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবার ২০১০ সাল থেকে অনন্তনাগ জেলার মাত্তানে বসবাস করছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলিতে লক্ষ্যবস্তু হত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পরে মাত্র আটজন সরকার-নির্মিত শিবিরে ফিরে এসেছে। ‘ক্যাম্পে থাকা ছাড়াও প্রায় ২৫০ পরিবার ভাড়া বাসায় অবস্থান করছিল। তারা সকলেই জম্মুতে চলে গেছে,’ তিনি বলেছিলেন। বর্তমানে অনন্তং-এর ডিসি অফিসে নিযুক্ত জোতশির মতে, লোকেরা সরকারী উদাসীনতায় আরও হতাশ হয়েছে। ‘আমরা বিভাগীয় কমিশনার পান্ডুরং কে পোলের সাথে ৭ মে তার শ্রীনগর অফিসে বৈঠক করেছি। আমাদের ধৈর্য ধরে শুনানির পরিবর্তে তিনি তার নিরাপত্তা বাহিনীকে আমাকে আটকে রাখতে বলেন। পরে আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়।’ বারামুল্লার ল্যাংগেটে বদলি করা একজন শিক্ষক অবতার কৃষান বলেছেন, কাশ্মীরি পণ্ডিত কর্মীরা চায় সরকার তাদের কাশ্মীর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাক, তাদের উপত্যকার জেলা সদর দফতরে স্থানান্তর না করুক। ‘চাদুরার তহসিল অফিসে রাহুল ভাট নিহত হওয়ার আগে আমি এপ্রিল মাসে স্কুল শিক্ষা পরিচালকের কাছে গিয়েছিলাম। আমি তাকে আমার ভয়ের কথা বলেছিলাম...যে আমি হুমকি বোধ করছি। তিনি সাড়া দেননি,’ তিনি অভিযোগ করেন। টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জম্মু ও কাশ্মীর

১৮ অক্টোবর, ২০২১
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ