নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জেএফএ কাপ অনুর্ধ-১৪ জাতীয় নারী চাম্পিয়ানশীপ ফাইনাল খেলার পূর্বমুহুর্তে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাকারী ও হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে ফাইনাল খেলায় অংশ নিতে দেয়া হয়নি ফাইনালিস্ট ঠাকুরগাঁও নারীদলকে। বাফুফের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের ক্রীড়াপ্রেমিরা।
রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব সামনে ঠাকুরগাঁওবাসী আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে তারা বলেন, বাফুফে ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাকারী ও হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলেই আমরা ফাইনাল খেলতে পারিনি। ফাইনাল খেলতে পারলে আমরাই চাম্পিয়ন হতাম।
নারী ফুটবলারা জানান, ‘বাফুফের অভিযোগ চারজন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে। সেটা প্রমাণও করতে পারেনি। আমাদের মধ্যে চারজন খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে ফাইনাল খেলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। মাঠে প্রতিবাদ করতে গেলে ঘরে তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে আমাদের। আমরা এটার বিচার চাই।’
ঠাকুরগাঁও ক্রীড়াপ্রেমি এস, কে মাসুদ রানা পলক প্রতিবাদ সমাবেশে জানায়, ‘ময়মনসিংহ ফুটবলের টিমের কাছে জিম্মি বাফুফে। কোন ধরনের তদন্ত ছাড়াই ফাইনাল খেলার ১ ঘন্টা পূর্বে এমন সিদ্ধান্তে ঠাকুরগাঁও নারী ফুটবল টিমকে অপমান করেছে।’
তবে ক্রীড়াপ্রেমিদের অভিযোগ ঠাকুরগাঁও নারী ফুটবলারদের সাথে বাফুফে এমন লঙ্কাকাÐ ঘটালেও ঠাকুরগাঁও জেলা ক্রীড়া সংস্থা বিষয়টি নিয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
প্রসঙ্গত, জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবলের সেমিফাইনালে ময়মনসিংহকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে ঠাকুরগাঁও। ফাইনালে উঠলেও বাফুফের বাইলজের নিয়মে বাদ পড়ে যায় দলটি।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবলের ঘটনাবহুল ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর। টাইব্রেকারে তারা ৪-২ গোলে হারায় ময়মনসিংহকে। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য ছিল। তবে ফাইনালে ময়মনসিংহ নয় খেলার কথা ছিল ঠাকুরগাঁওয়ে।
বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবাদ সমাবেশে আসেন ঢাকা কলেজের তামিম হোসাইন, মিল্টন খন্দকার, রাজু আহমেদ, সুজন রেজা, পাভেল, রন্টি, আরজু, মিলন, লাইক, সাব্বির, সিফাত, মোস্তফা, নিবারন। সোহরাওয়ার্দি কলেজের রকি, বাংলা কলেজের ছাত্র উজ্বল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোস্তাক আহমেদ, রিসান, ডরিন, তাকি, স্নেহ, মাসুম, সোহাগসহ আরও অনেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।