গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ভবনে তালা মেরে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ১ম ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। সাত কলেজ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান চাইলেও এ নিয়ে কঠোর আন্দোলন সমর্থন করছেন না শিক্ষার্থীরা।
রোববার ভোরে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, কলাভবন, বাণিজ্য শিক্ষা অনুষদ, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদসহ অধিকাংশ ভবনে তালা লাগিয়ে দেয়। এতে ৮টার ক্লাসে দূরদূরান্ত থেকে ক্লাস করতে আসা শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ে।
সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোন রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ভবনে তালা লাগানোর মত কর্মসূচিতে ভোগান্তিতে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনের করে আসা আবাসিক হলে থাকে না এমন শিক্ষার্থীরা। সকাল ৮টায় ক্লাস করতে আসা স্বর্ণা জান্নাত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে সকাল ৮টায় ক্যাম্পাসে আসলাম। এখন যাওয়ার বাস ছাড়বে ১২ টায়। আমি যেহেতু হলে থাকি না এসময়টাতে ক্যাম্পাসে থাকা আমার জন্য বিরক্তিকর।
এদিকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে যারা কঠোর কর্মসূচি সমর্থন করছে না তাদের বিভিন্ন রকম কটুক্তি করতে দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের। আন্দোলনে যোগ না দিয়ে ক্লাস করতে আসায় আন্দোলনকারীরা তাদের 'মুরগী', 'ধইঞ্চা'সহ বিভিন্ন কথা বলে গালি দিয়েছেন বলে কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন।
প্রশাসনিক ভবন বন্ধ করে দেয়ায় সকাল ৮টা থেকে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে পারেননি কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এসময় অনেক কর্মচারীকে দেয়াল টপকিয়ে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে দেখা যায়। সকাল পৌনে ১০ টার দিকে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. সামাদ গাড়ি নিয়ে এলে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা গাড়ি আটকে দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এদিকে আন্দোলনের ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক ভাষা ইনিস্টিউটে ভর্তি কাজে দূরদূরান্ত থেকে অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তিতে পড়ছে হয়। অন্যান্য ভবনে ৮টায় তালা লাগানো হলেও আইএমএলে তালা লাগানো হয় ১০টায়। তালা লাগানোর আগেই ভর্তি কাজে অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের একাংশ ভবনে ডুকে পড়ে। যারা ১০টার পরে আসে তারা ভবনটিতে ডুকতে চাইলে সেখানে কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তাদের আন্দোলনে যোগ না দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম চালাতে আসায় বিভিন্ন রকমের কটুক্তি করে।
কিছুক্ষণ পর আইএমএলের পরিচালক শিশির ভট্টাচার্য আন্দোলনকারীদের গেট খুলে দিতে অনুরোধ করলেও তারা গেট খুলে দেয়া হবে না বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে শিশির ভট্টাচার্য বলেন, এখানে ক্লাস হচ্ছে না, ভর্তি কার্যক্রম ও ভাইবা হচ্ছে। ওদের তালা লাগানোর কারণে শিক্ষার্থীরা ঢুকতে পারছে না। তবে যারা আগেই ঢুকেছে তারা ভাইবা দিচ্ছে। যারা এখনও ঢুকতে পারে নাই শিক্ষকরা ২টা পর্যন্ত থাকবে তারা যখনই আসে দিতে পারবে। না পারলে পরেও তাদের নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।