মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক লেবানিজ নাগরিক নিজার জাক্কাকে মুক্তি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ ইরান। লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের মধ্যস্থতায় গত মাসে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ী নিজার জাক্কা একজন লেবানিজ নাগরিক হলেও নিজের শিক্ষা জীবন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। পরে তিনি সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জ্ঞাত তিনটি পশ্চিমা সূত্র বার্তা সংস্থা 'রয়টার্স'কে জানায়, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটকের পর এই বন্দির মুক্তিকে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে তেহরানের আসন্ন আলোচনার সূত্রপাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন কংগ্রেস ও দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দীর্ঘদিন যাবত নিজার জাক্কার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। যদিও তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সরাসরি কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় সফল হয়নি সেই প্রচেষ্টা।
এ দিকে ইরানি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা 'ইরনা'র দাবি, নিজার জাক্কা মার্কিন সামরিক বাহিনীর কাছে ইরান সংক্রান্ত তথ্যের একটি ধনভাণ্ডার ছিলেন। যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ এরই মধ্যে অস্বীকার করেছেন তিনি। গত ১১ জুন মুক্তির পর নিজার জাক্কা 'নিউ ইয়র্ক টাইমস'কে বলেন, 'আমার কাছে এই মুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইরান সরকারের একটি বন্ধুত্বের বার্তা বলেই মনে হয়েছে।'
এর আগে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে ইরানের আমন্ত্রণে তেহরানে অনুষ্ঠিত ইন্টারনেটভিত্তিক একটি উদ্যোক্তা সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছিলেন নিজার জাক্কা। এরই মধ্যে তার সিআইস্কো এবং মাইক্রোসফটের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে বিনিয়োগকারীদের অনলাইন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে তিনি সহায়তা করেছেন।
২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি যখন সম্মেলন শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার জন্য তেহরানে ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন তখন দেশটির নিরাপত্তা এজেন্টরা তাকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ এক বছর পর লেবাননের এই নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়। যদিও ঘটনার বছর খানেকের মাথায় তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তেহরান।
পশ্চিমা বিশ্লেষকদের দাবি, দৃশ্যত নিজার জাক্কার এই মুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি শান্তির বার্তা দিতে চাইছে তেহরান। আর তা হচ্ছে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় ইরানের আগ্রহ এখনও কমে যায়নি। যদিও তেহরানের এমন আগ্রহে ট্রাম্প প্রশাসনের দিক থেকে এখনও তেমন কোনো সাড়া পরিলক্ষিত হয়নি।
মার্কিন প্রশাসনের একটি সূত্র 'রয়টার্স'কে বলেন, ইরান নিজার জাক্কাকে মুক্তি দেওয়ার সুযোগটি অনেক আগেই হাতছাড়া করে ফেলেছে। ওয়াশিংটন এখন আর তেহরানের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী নয়।
অপর দিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র গণমাধ্যমটিকে বলেন, 'তেহরান আসলেই উত্তেজনা কমাতে চাইলে অন্য কাউকে নয় তাদের উচিত একজন আমেরিকানকে মুক্তি দেওয়া।' অর্থাৎ দৃশ্যত তিনি নিজার জাক্কার মুক্তির ইস্যুটি এড়িয়ে যেতে চাইছেন অথবা তাকে একজন লেবানিজ নাগরিক হিসেবে বোঝাতে চাইছেন। যদিও এক সময় মার্কিন সরকার তাকে মুক্ত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।