Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লালমোহনে এক নির্বাচনে ১৯ বছর পার

নির্বাচনের দাবীতে এলাকাবাসীর ক্ষোভ

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৯, ৪:৫৮ পিএম

ভোলার লালমোহন উপজেলার ৭নং পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নে এক নির্বাচনেই কৌশলে ১৯ বছর পার করছে চেয়ারম্যান ইউছুফ। দেড়যুগেরও বেশী কোন নির্বাচন হচ্ছেনা এ ইউনিয়নে।ফলে অত্র ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ ও রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।এ ছাড়া এই ইউনিয়নে আদৌ কোন নির্বাচন হবে কিনা এ নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
যানাযায়,এই ইউনিয়নের পশ্চিম চরউমেদ ভোট কেন্দ্রটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর কচুয়াখালী স্থানান্তরের দাবী জানিয়ে জনৈক সিরাজুল হক নামের এক ব্যক্তি উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেন আর এই রিটটি বর্তমান চেয়ারম্যানেই করান।২০১১ সালে দায়ের করা এ রিট পিটিশনের কারণে ১৯ বছর যাবৎ ইউনিয়নটিতে নির্বাচন বন্ধ।

এমতাবস্থায় জনগণের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের জন্য সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে বার বার নির্বাচনের জোড় দাবী জানান এলাকাবাসী।
সূত্রমতে, ২০০৩ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের মতো এই ইউনিয়নেও নির্বাচন হয়। নিজ দল বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সুবাধে আবু ইউসুফ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ৫ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার শেষ মুহূর্তে বিএনপি জামাত জোট সরকার ক্ষমতা হারান। এর পরে ওয়ান ইলেভেন সরকার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করতে পারেনি । ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পরে ২০১১ সালে সিরাজুল হক ব্যক্তি উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন।এর পরে নির্বাচন কমিশন কয়েক দফা নির্বাচনের উদ্বেগ নিলেও মামলা বাজদের মামলা বাজীর কারণে তা আর করতে পারেনি।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন এই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন কয়েক দফা আদেশ দিলেও রিট পুনরায় রিটের কারণে ইউনিয়নটিতে নির্বাচন করা যাচ্ছেনা।এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সরকারী দলের সাথে আঁতাত করে ভুয়া অজুহাত দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করে রেখে চেয়ারম্যান তার নিজের স্বার্থ হাসিল করছেন জনগণের অধিকার নষ্ট করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ চেয়ারম্যান দীর্ঘমেয়াদী চেয়ারম্যানের পদ ধরে রাখতেই কারসাজী করে একের পর এক মিথ্যা কৌশলী পিটিশন দায়ের করছেন। পরে তার সাথে যোগ হোন ইউপি সদস্যরাও। সাবেক চেয়ারম্যান হাজ্বী আবু তাইয়েব বলেন ব্যক্তি স্বার্থের চেয়েও জনগণের মৌলিক চাহিদা দেখতে হবে আগে।কারণ জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য জনগণ প্রতিনিধি নির্বাচন করেন।তাই জনগণের মৌলিক চাহিদা আদায়ের জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। যুবলীগ নেতা শাহিন মতাকাব্বরি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন একেই ব্যক্তি বার বার ক্ষমতার চেয়ারে থাকলে দাম্ভিকতা বেড়ে যায়।জনগণও তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন যেমনটি অত্র ইউনিয়নে।ক্ষমতার পরিবর্তন না হলে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটেনা যার ফলে জনগণও সুফল পায়না। এমতাবস্থায় নির্বাচনের জোর দাবী জানান এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আবু ইউসুফকে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভোলা

২ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ