পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, চীনা শিবিরে থাকা হাজার হাজার উইঘুর মুসলিমকে সাহায্য করতে উভয়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করা যেতে পারে। জিনজিয়াং প্রদেশে ১০ লাখ জাতিগত মুসলিম উইঘুরকে বন্দিশিবিরে আটক রাখায় চীনের সমালোচনা করছে একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তুরস্ক। মঙ্গলবার বেইজিংয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শিং জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর নরম সুরে কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। বেইজিং থেকে ফেরার আগে এরদোগান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বিশ্বাস করি স্পর্শকাতর উভয় দিক থেকে আলোচনার মাধ্যমে এ ইস্যু নিয়ে সমাধান বের করতে পারি। এদিকে চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, এরদোগান বলেছেন- সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী জিনজিয়াংয়ে সুখে বসবাস করছে; কিন্তু তিনি তুর্কি সাংবাদিকদের কাছে এমন কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি জিনজিয়াং ইস্যু নিয়ে সতর্ক করে বলেন, বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়িক অংশীদার চীনের সঙ্গে এ বিষয়টি উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। তুরস্ক ও চীনের সম্পর্কের মধ্যে নির্যাতনের (উইঘুর) বিষয়টি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আমাদের প্রয়োজন নির্যাতনের কোনো সুযোগ না দেয়া। তুরস্ক পশ্চিম তুর্কিস্তানের প্রতিনিধি পাঠাতে পারে, যারা সামাজিক কর্মী এবং বেইজিং তাদের পরামর্শ দিতে পারে। কারিগরি শিক্ষার নামে আটক উইঘুরদের ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দিতে অস্বীকার করছে চীন। এ খবর জানিয়েছে দ্য নিউ আরব। অপর এক খবরে বলা হয়, জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলমানদের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে তুরস্কের একটি প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন সরকার। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট দফতরের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ফারহেতিন আলতুন টুইটারে জানিয়েছে এই তথ্য। খবর দিয়েছে তুরস্কের ইংরেজী সংবদা মাধ্যম ডেইলি সাবাহ। জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলমনাদের ওপর চীনা সরকারের দমনমূলক বিভিন্ন কর্মকাÐের খবর প্রায়ই সংবাদ মাধ্যমে আসে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক সব সময়ই এর বিরুদ্ধে স্বোচ্চার। তুস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান একাধিকবার এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারই প্রতিক্রিয়ায় হয়তো তুর্কি প্রতিনিধি দলকে জিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলমানদের পরিস্থিতি দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন। এ মাসের শুরুতে চীন সফর করেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। সে সময় তিনি বৈঠক করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে। গত এক মাসে এটি দুই নেতার তৃতীয় সাক্ষাৎ। এরদোগানের সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চীন ঠিক কিভাবে তুরস্কের প্রতিনিধি দলকে উইঘুর মুসলমানদের পরিস্থিতি দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তার স্পষ্ট করেননি ফারহেতিন আলতুন। চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের অধিকাংশ বাসিন্দা উইঘুর মুসলমান। তারা জাতিগত তুর্কি বংশোদ্ভূত। দেশটিতে মুসলমানদের জীবনযাত্রার ওপর ব্যাপক কঠোরতা আরো করেছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার ধর্মীয় রীতিনীতি পালনেরও স্বাধীনতা নেই তাদের। এরই মধ্যে খবর বেরিয়েছে কয়েক লাখ উইঘুর মুসলমানকে একটি ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী করে রেখেছে চীন। চীনের দাবি তাদের সংশোধন করতেই এই ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। দ্য নিউ আরব, ডেইলি সাবাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।