মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের উইঘুর সম্প্রদায়ের লাখ লাখ মুসলিমকে বন্দিশিবিরে আটকে রাখার খবরে সিনজিয়াং অঞ্চলে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের অবিলম্বে এবং অবাধ প্রবেশাধিকার দিকে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বৃটেন। ‘দ্য চায়না কেবলসে’ তথ্য ফাঁস হয়েছে যে, লাখ লাখ মুসলিমকে উচ্চ নিরাপত্তা বিশিষ্ট বন্দিশিবিরে আটকে রেখে তাদের সঙ্গে মারাত্মক দুর্ব্যবহার করা হয়। এমন সরকারি ডকুমেন্ট দেখতে পেয়েছে বিবিসিসহ আরো অনেক সংবাদ মাধ্যম। তাতে দেখা গেছে কিভাবে বন্দিদের আটকে রাখা হয়েছে, ব্রেনওয়াশ করা হচ্ছে এবং শাস্তি দেয়া হচ্ছে। তবে ফাঁস হওয়া এসব ডকুমেন্টের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন বৃটেনে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ সিয়াওমিং। ১৭টি সংবাদ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া ওই ডকুমেন্টের খবরকে তিনি ভুয়া বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, সিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং চীন সরকারের ক্রমবর্ধমান দমনপীড়নের বিষয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিচার বহির্ভূতভাবে সেখানে ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমকে এবং অন্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর সদস্যকে আটকে রাখা হয়েছে।
তাই ওই এলাকায় জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের অবিলম্বে এবং বাধাহীন প্রবেশাধিকার দিতে চীনের প্রতি অব্যাহতভাবে আহ্বান জানাচ্ছে বৃটেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)-এসব অভিযোগের ডাটা ফাঁস করে। তাদের সঙ্গে কাজ করেছে বিবিসি প্যানোরমা, দ্য গার্ডিয়ান প্রভৃতি। বন্দিশিবিরে উইঘুর মুসলিমদের আটকে রাখার বিষয়ে বেইজিং এতদিন যেসব যুক্তি দাবি করে আসছিল আইসিআইজে’র তদন্তে তার বাইরে নতুন সব তথ্যপ্রমাণ বেরিয়ে এসেছে। ওই তদন্ত বেইজিংয়ের দাবিকে অনেকটাই খর্ব করে। এতে দেখা গেছে, গত তিন বছরে সিনজিয়াং জুড়ে নতুন নতুন বন্দিশিবির নির্মাণ করা হয়েছে। বেইজিং দাবি করে, সেখানে সন্ত্রাস বিরোধিতা শিক্ষা দেয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবামুলক শিক্ষা দেয়া হয় উইঘুরদের। এসব বন্দিশিবিরে আটকা আছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। এর বেশির ভাগই উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের। সেখান থেকে বন্দিদের কখনো বাইরে যেতে দেয়া হয় না। শৃংখলায় রয়েছে কড়াকড়ি। আচরণবিধি ভঙ্গের শাস্তি রয়েছে। অনুশোচনা করার এবং স্বীকারোক্তি দেয়ার অনুমোদন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।