মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনে উইঘুর নির্যাতনের পরিস্থিতি তুলে ধরতে আগামী বৃহস্পতিবার একটি ইভেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রিয়ার সংসদ সদস্য গুডরুন কুগলার। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে উইঘুরদের পরিস্থিতি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) শাসনের অধীনে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিবাদ ও সমালোচনা সত্ত্বেও তা ক্রমবর্ধমান হচ্ছে।
সংখ্যালঘুদের প্রতি চীনের নৃশংসতা ও নিষ্ঠুর আচরণের বিরুদ্ধে উইঘুর সম্প্রদায় বিক্ষোভ, সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
কুগলার ঘোষিত ইভেন্টে অন্যদের মধ্যে সাবেক ইন্টার্নড ‘স্টার উইটনেস’ সায়রাকুল সৈতবে এবং বিশ্ব উইঘুরের প্রেসিডেন্ট ডলকুন ইসা বক্তব্য দেবেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, সায়রাকুল সৈতবে এবং ডলকুন ইসা চীনের উইঘুরদের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন। ভিয়েনার বুর্গ প্যাভিলিয়নে ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় এ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
জিনজিয়াং অঞ্চলের সায়রাকুল সৈতবে একজন চিকিৎসক, যাকে একটি শিবিরে শিক্ষক হিসেবে বাধ্যতামূলক শ্রম দিতে হয়েছিল। তার ব্যক্তিগত জীবনের গল্প জিনজিয়াংয়ের হাজার হাজার হতভাগ্য মানুষের জন্য অনুকরণীয়।
ওই ইভেন্টে ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে তিনি মুসলিম উইঘুর সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অগণিত সদস্যদের ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্যাতন এবং হত্যা সম্পর্কে প্রতিবেদন তুলে ধরবেন।
‘দ্য ক্রাউন উইটনেস অ্যান্ড দ্য চায়না প্রোটোকল’ বইয়ের সহ-লেখক ও সাংবাদিক আলেকজান্দ্রা ক্যাভেলিয়াস এবং নির্বাসিত সংগঠন ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ডলকুন ইসাও এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন এবং চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কথা বলবেন।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) শাসনামলে দেশটিতে উইঘুরদের অবস্থা খারাপ হয়েছে এবং ক্রমাগত তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে চীনে উইঘুর মুসলিমদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের পদের মেয়াদ শেষ হবার ঠিক পূর্বেই এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেলো। প্রতিবেদনটিতে চীন সরকারের উইঘুরদের ও শিনজিয়াং প্রদেশে তুর্কি মুসলিমদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ পায়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে যে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুরদের এবং অন্যান্য প্রধানত মুসলিম গোষ্ঠীগুলোকে নিয়মিতভাবে পুনর্শিক্ষা শিবিরে রাখা হয় যেখানে তাদের নির্যাতন, ধর্ষণ, জোরপূর্বক শ্রম এবং গর্ভপাত করা হয়েছিল।
গত বুধবার অস্ট্রিয়ার উইঘুর সম্প্রদায় চীনে উইঘুর এবং অন্যান্য তুর্কি জনগণের গণহত্যা, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে খাবার ছাড়াই তাদের ঘরে বন্দী করে রাখার প্রতিবাদে চীনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।