Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বসবাস

কাপ্তাই (রাঙামাটি) থেকে কবির হোসেন | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

কাপ্তাইয়ে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের ঢালুতে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস। আবারও বর্ষা মৌসুমে যে কোন সময় বড় ধরনের ঘটনার শঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় প্রাণ রক্ষার্থে বসবাসরত লোকজনর পাহাড়ের ঢালুতে এক দিকে প্লাস্টিকের তেরপাল দিয়ে রক্ষার চেষ্টা অন্য দিকে প্রতিনিয়ত চলছে অপরিকল্পিতভাবে পাকা দেয়ালে ঘর নির্মাণ। প্রশাসন বার বার সচেতন করলেও কে কার কথা শুনে। গত বছর রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড় ধসে প্রায় ১৮ জনের করুণ মৃত্যুসহ বহু লোকজন আহত হয়েছে। এরপর থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে পাহাড়ের ঢালুতে বসবাস করতে নিষেধ করলেও তার কোন কর্ণপাত করা হচ্ছে না।

কাপ্তাইয়ের বড়ইছড়ি সড়কের ওপর বড়ইছড়ি-রাঙামাটি সড়ক, শীলছড়ি, চিৎমর, নতুন বাজার ঢাকাইয়া কলোনী, লগগেইট, কার্গো ডাউন সাইডসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার লোকজন মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে দেখা যায়। এদিকে বসবাসরত ইসমাইল, হোসেন, রাবেয়া, খলিল জানান, আমাদের কোন নিজস্ব সম্পত্তি নেই, নেই কোন ঘর-বাড়ি, সরকারের পক্ষ হতেও ভূমি ধসের সময় পাশবতী স্কুল, ক্লাবঘরে সাময়িক আশ্রয় দেয়া হয়। বারবার বলছি আমাদের নিজস্ব কোন ভূমি বা থাকার জায়গা করে দিন। দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েও আমাদের আর কোন খবর রাখে না। তাই শত, মৃত্যুর ঝুঁকি জেনে শুনেও আবার একই জায়গায় বসবাস করছি বলে ভুক্তভুগি বা পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসর লোকজন উল্লেখ করেন। এদিকে কাপ্তাইয়ে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় পাহাড়ের ঢালুতে অপরিকল্পিতভাবে প্রশাসরেন কোন ধরনের অনুমতি ব্যতিত হরহামেশা পাকা ঘর নির্মাণ করছে। বসবাসরত লোকজন পাকা-ঘর বা নিজস্ব ঘর-বাড়ি রক্ষার্থে প্লাস্টিকের তেরপাল দিয়ে ভূমিধস রক্ষার চেষ্টা করছে। এদিকে ইউপি সদস্য সজিবুর রহমান জানান, পাহাড়ের ঢালুতে অবশ্যই মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে।

আমরা এদের বারবার নিষেধ করার পর কোন কর্ণপাত করছেনা। তিনি আরো জানান, বসবাসরত লোকজনের নিজস্ব কোন সম্পত্তি না থাকায় ঝুঁকি জেনেও বসবাস করছে। এদের চিরস্থায়ীভাবে সরকারের পক্ষ হতে ব্যবস্থা করে দিলে হয়তো এ ঝুঁকি নিয়ে আর বসবাস করতো না বলে উল্লেখ করেন।

এদিকে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফ আহমেদ রাসেল বলেন, আমরা প্রশাসনের পক্ষ হতে এ ব্যাপারে বার বার বলেছি এবং সর্তক করে দিয়েছি। যেন ঝুঁকিতে কেউ বসবাস না করে। কেউ যদি অন্যায়ভাবে পাহাড় কর্তন করে বসবাস করে বা প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিত গৃহ নির্মাণ করে তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ