এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। আজকের ম্যাচেও আলোচনায় এলো বিতর্কিত আম্পায়ারিং। 'গোটা বিশ্ব দেখল এটা ড্রপ ক্যাচ অথচ থার্ড আম্পায়ার দেখলেন এটা আউট'। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের সাথে উঠে আসছে এমন বক্তব্য।
আজ প্রথম নয়, আলিম দার বরাবরই বাংলাদেশিদে ক্রিকেট অনুরাগীদের নিকট একটি বিতর্কিত নাম। বাংলাদেশের বিপরীতে খেলায় তার বিচারকার্যে পক্ষপাত রয়েছে এটা পুরনো অভিযোগ- আজ সেই অভিযোগের আরেকটি দৃষ্টান্ত দেখল দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা। ক্রিকেট ভক্তদের দাবি, সেদিন বাংলাদেশকে হারিয়েছিল আলিম দারের বিতর্কিত আম্পায়ারিং এবং আজকেও সেই আলিম দারের কারণে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে সৌম্য ও লিটনকে। তাদের যেভাবে সাজঘরে ফিরতে হলো, তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠতেই পারে।
ফেসবুকে ক্ষোভ জানিয়ে মোহাম্মাদ নোকিব লিখেছেন, ‘‘ভাই আফগানিস্তানও আম্পায়ার কিনে ফেলল, আমরা পারলাম না৷ দুর্নীতি তো আমাদের শীরায় শীরায়,তাহলে এই সেক্টরে আমরা কেন পিছিয়ে। বিসিবির কাছে আকুল আবেদন বাকি ম্যাচ ২ টার জন্য আম্পায়ার কেনা হোক।’’
সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশ হারলে পাকিস্তানের সেমিফাইনালের সুবর্ন সুযোগ । পাকিস্তানী হয়ে পাকিস্থানীদের দিকে টানবে স্বাভাবিক।’’
‘‘সৌম্য আর লিটনের দুটো আউটই দূর্নীতিগ্রস্থ আইসিসির কুৎসিত রুপের বহিঃপ্রকাশ। সৌম্যের চেয়ে লিটন দাশের আউটটি আমাকে কষ্ট দিয়েছে। মিডল অর্ডারে ভাল করা লিটনকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে বিসিবিও কম অপরাধ করেনি’’ ক্ষোভের সাথে লিখেছেন সৈয়দ এম আবদুল ওয়াদুদ।
এদিকে, বিতর্কিত আম্পায়ার আলিমদারের বিরুদ্ধে আইসিসিতে আপত্তি না জানানোই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এ নিয়ে মো. ইউসুফ আলী লিখেছেন, ‘‘এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যর্থতা,তারা চাইলে খেলা শুরুর আগে আলিম দারের প্রতি আপত্তি জানাতে পারতো!!’’
‘‘বাংলাদেশের ম্যাচে আলিম দারকে না রাখার আবেদন করতে পারে আইসিসির কাছে বিসিবি,ভারতের সাথে ম্যাচেও সে থার্ড আম্পায়ার আছে’’ লিখেছেন মুস্তাক খান।
আলিম দারের সমালোচনা করে আরাক সাম লিখেছেন, ‘‘এতদিন তো জানতাম আলিম দার নির্দিষ্ট কোন দেশের পক্ষে বাংলাদেশের বিপক্ষে থাকতো। এখন তো দেখি আলিমদের শুধুমাত্র বাংলাদেশের বিপক্ষে থাকে।’’
আখতার মিয়া লিখেছেন, ‘‘আলিম দারের বাংলাদেশ বিরোধিতার খবর অনেক আগে থেকে দেশবাসী জানে তারপরও এ নিয়ে কেন বিশ্ব দরবারে কোন নালিশ করে না যারা বাংলাদেশের ক্রিকেটের হর্তাকর্তা।’’
‘‘আমি মনে করি বাংলাদেশের কোনো খেলায়১ম/ ২য়/৩য় আম্পায়ার হিসেবে যেনো ভারত এবং পাকিস্তানের কেউ না থাকে। এক্ষেত্রে আইসিসির সচেতনতা জরুরি’’ পরামর্শ ক্রিকেটপ্রেমী আবুল কালামের।
মো. মিজান লিখেছেন, ‘‘এগুলি নিয়ে এখন আর দুঃখ লাগে না, কারণ যখন দেখেছি আলীম দার আছে, তখনই মন কে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি, যে এরকম অঘটন আজ ঘটতে যাচ্ছে।’’
‘‘ফুটবল খেলায় যদি এই ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে কার্যকারি ব্যবস্থা নেয়া হয় কিন্তু ক্রিকেটে সেটা হচ্ছে না কেন?’’ প্রশ্ন তুলেছেন আনিছুর রহমান। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।