এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
বরগুনায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও দুর্বৃত্তের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে পারলেন না সদ্য বিবাহিত এক তরুণী। সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে তার স্বামী রিফাত শরীফকে (২৫) গুরুতর আহত করে। এরপর বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে তারা। শরিফকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, আশপাশের অনেক লোক সন্ত্রাসীদের এ তাণ্ডব দেখলেও একজন ছাড়া তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করেনি কেউ। প্রকাশ্য দিবালোকে এমন নৃশংস ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে দশটার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের ঠিক সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, সন্ত্রাসী দুই যুবক ধারালো দা দিয়ে একের পর এক কোপাতে থাকে শরিফকে। এ সময় শরিফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি দুই সন্ত্রাসীকে বারবার প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত রিফাতের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেসবুকে বন্না সিদ্দিকী লিখেছেন, ‘‘বিশ্বজিত হত্যাকান্ডের আসামীদের পার পাইয়ে না দিয়ে সাথে সাথে ফাঁসি হলে এই দেশের এইসব বখাটেরা এতো সাহস পেতোনা।’’
‘‘হত্যাকারীরা চিহ্নিত অপরাধী! এর আগেও পুলিশের হাতে বারবার ধরা পড়েও ছাড়া পেয়েছে! বিচার হয়নি! যতদিন এসব অপরাধী বিচার ও আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে, ততদিন এভাবেই মানুষের জীবন দিতে হবে! বাবা মার একমাত্র সন্তানকে এভাবে জীবন দিতে হলো, এর চেয়ে বেদনাদায়ক আর কী হতে পারে! এর দায়ভারই বা কার?’’ লিখেছেন কাজী আফরীন।
খুনীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে ফয়সাল আব্দুল্লাহ খালেদ লিখেছেন, ‘‘এই নৃশংস হত্যার নিন্দা জানাই, সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।’’
ড. শেখ ফরিদ আহাম্মদ লিখেছেন, ‘‘এমন বাংলাদেশ চাইনা।এখানেও দেখা যাবে এই খুনীরা কোন না ভাবে পার পেয়ে যাবে ।সামাজিক নিরাপত্তা জরুরী এবং সমাজের ভারসাম্য অপরিহার্য ।এদেরকে প্রকাশ্যে আইনের মাধ্যমে খুনের শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক।’’
এ ঘটনাটি পুলিশের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় ছিল। নিহত রিফাত শরিফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুল হালিম দুলাল শরিফ। বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে রিফাত।
ভিডিও চিত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, ভিডিও চিত্রে যে দুই সন্ত্রাসীকে কুপিয়ে জখম করতে দেখা গেছে তাদের একজনের নাম নয়ন বন্ড এবং রিফাত ফরাজী। তারা উভয়েই স্থানীয়ভাবে ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসব ঘটনায় একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছে বলে বরগুনা থানা সূত্রে জানা গেছে।
ফেসবুকে মো. আব্দুল সুবহান লিখেছেন, ‘‘ছবিটা দেখে বড়ো কষ্ট পেলাম এই কোন দেশে আমরা বসবাস করছি যে দেশে কোনো বিচার এবং আইন নাই আজ আইনের বিচার থাকলে এমন হতো না এই মানুষ রুপি পশুদের সবার সামনে রাস্তার মধ্যে ফাঁসি দেওয়া উচিত।’’
‘‘এই ধরনের হত্যাকান্ডের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনসম্মুখে প্রকাশ্যে হত্যার বদলে নৃশংসভাবে মৃত্যুদন্ড কার্যকরী করা হোক’’ এমনটাই দাবি জানিয়েছেন শরীফ ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে মো. নাজিম উদ্দীন সোহেল লিখেছেন, ‘‘যে সকল মানুষ আশেপাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিডিও কিনবা ছবি নিয়ে ব্যস্ত ছিলো তাদের ও বিচার হওয়া দরকার। ওরা একটু মানঅবতার হাত বাড়িয়ে দিলে আজ এত বড় ঘটনাটা হতোনা।’’
‘‘সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হবে, কোন সন্ত্রাসী ছাড় পাবে না বলে বাণী দেয়া হবে সরকার থেকে, গ্রেফতার হবে অতপর সবাই ভুলে যাবে, আসামিরা জামিনে বের হবে....তারপর অজানাই রয়ে যাবে শেষ অংশ’’ আক্ষেপের সাথে লিখেছেন রবিন আজিজ।
মোহাম্মাদ আনোওয়ার লিখেছেন, ‘‘শত শত মানুষের সামনে একটা লোককে সন্ত্রাসীরা মেরে ফেলেছে এই কথা শুনতে বড় লজ্জা লাগে। যখন একটা লোককে সন্ত্রাসীরা মারছে তখন সবাইর উচিত ছিল ওই সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করার। কিন্তু লোকজন সেইটা না করে শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছে,আমরা কোন দেশে বাস করি।দ্রুত বিচার বিভাগে বিচার চাই।’’
‘‘বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার হলে, এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হত না। সত্যিই দুঃখজনক ব্যাপার একজন স্ত্রীর সামনে স্বামীকে খুন করা কতটা বেদনাদায়ক’’ মন্তব্য বারেক মিয়ার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।