এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
আজ জুন মাসের তৃতীয় রোববার। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই এই দিনটিকে বিশ্ব বাবা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে ফেইসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছে নেটিজেনরা। কেউ বাবার সাথে নিজের ছবি শেয়ার করছে, আবার কেউ বাবাকে নিয়ে নানা স্মৃতির কথা লিখছে, কেউ কেউ বাবা হারানোর কষ্ট প্রকাশ করছে। তবে সবাই বাবাদের ইহকালকালীন ও পরকালকালীন শান্তি কামনা করছে।
কুমিল্লা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী তার ফেইসবুক পেইজে লিখেছেন, ‘আজ বিশ্ব বাবা দিবস। সন্তানের জন্য বাবার ভালোবাসা অসীম। মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবর সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে আছেন। পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম, পিতাহী পরমং তপঃ, পিতরী প্রিতিমাপন্নে প্রিয়ন্তে সর্বদেবতা’ - সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই মন্ত্র জপে বাবাকে স্বর্গজ্ঞান করে শ্রদ্ধা করেন। পিতা সন্তানের মাথার ওপর যার স্নেহচ্ছায়া বটবৃক্ষের মতো, সন্তানের ভালোর জন্য জীবনের প্রায় সবকিছুই নির্দ্বিধায় ত্যাগ করতে হয় তাঁকে। আদর-শাসন আর বিশ্বস্ততার জায়গা হলো বাবা। বাবার মাধ্যমেই সন্তানের জীবনের শুরু। সন্তান বাবার ঋণ কখনো পরিমাপ করতেও পারে না।’
‘বাবা বলেছিলেন, তুমি যখন যেটা করবে তখন সেটা মন দিয়ে করবে। বাবা দিবসে পৃথিবীর সমস্ত ভালোবাসা তোমায় দিলাম।’ - বাবাকে নিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক রবিন খানের স্টাট্যাস।
মনিরুল ইসলাম টুইটারে লিখেন, ‘আজ বিশ্ব বাবা দিবসে অনেকেই অনেক কিছু লিখেছেন। বাবা দিবস হোক প্রতিদিন। বাবা তোমার কথা মনে পড়ে। বাবা না থাকলে যে কি যন্ত্রনা সেটা আমার মনে হয় অনেকই আমার চেয়ে কম ভুক্তভোগী। পৃথিবীর সকল বাবাদের প্রতি আসুন আমরা সহনশীল হই। আমিন।’
‘রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানী সাগীরা। পৃথিবীর সব বাবা’রা ভালো থাকুক....’- সকল বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ইমরান।
বাবার ছবি আপলোড করে কাওসার আহমেদ লিখেন, ‘শুধু বাবা দিবস না প্রতিটা দিনে তোমাকে চাই বাবা।’
‘আব্বা বেঁচে থাক আরো হাজার বছর।’- বাবার সাথে নিজের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন জনপ্রিয় গায়ক শান।
সাইফুল ইসলাম মিন্টু লিখেন, ‘বাবা নামের গাছের ছায়া যার ওপরে নেই, সেই বোঝে রোদের তাপ কতটা প্রখর হয়!’
উল্লেখ্য, ১৯০৮ সালে প্রথম বাবা দিবস উদ্যাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে ৫ জুলাই এই দিবস পালন করা হয়। ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন জুন মাসের তৃতীয় রবিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেন। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন প্রতিবছর জাতীয়ভাবে বাবা দিবস পালনের রীতি চালু করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি ভিন্ন ভিন্ন দিনে পালন করা হয়। বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাবা দিবস হচ্ছে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার। দক্ষিণ আমেরিকায় এটি পালিত হয় ১৯ এ মার্চ। অস্ট্রেলিয়া ও ফিজিতে পালন করা হয় সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম রবিবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।