পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
উইঘুর মুসলমানদের ওপর চীনের নির্যাতন ও গণআটকের ঘটনায় মুসলিম বিশ্বের নীরব ভূমিকায় ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কূটনীতিক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারে অ্যাম্বেসেডর অ্যাট লার্জ স্যাম ব্রাউনব্যাক বলেছেন, মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশই বেইজিংয়ের হুমকির শিকার। তিনি বলেছেন, নিজেদের দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে রেকর্ড রয়েছে তাতে অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষিত হোক তেমনটা চায় কিছু সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ। এ কারণে এসব দেশ উইঘুর মুসলমানদের ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলমানকে আটকের খবর বিশ্বব্যাপী আরো বেশি মুসলিম জনগোষ্ঠী শুনবে এবং এ ব্যাপারে তাদের সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে পারবে। শিনজিয়াংয়ে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নে বেইজিংয়ের ব্যাপক সমালোচনা করে আসছে ট্রাম্প প্রশাসন। ২০১৬ সাল থেকে প্রদেশটি ২৪টিরও বেশি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে কমিউনিস্ট সরকার। অ্যাম্বেসেডর অ্যাট লার্জ স্যাম ব্রাউনব্যাক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র রিয়াদের সঙ্গে চীনের কর্মকান্ডের বিষয়ে ‘আলোচনা;’ করেছে। তবে সমালোচনার জন্য রাজী করানো যায়নি। তবে এ ব্যাপারে তুরস্কের সরব ভূমিকার জন্য প্রশংসা করেছেন ব্রাউনব্যাক। কানসাস অঙ্গরাজ্যের প্রাক্তন এই গভর্নর বলেন,‘আমি অসন্তুষ্ট যে, আরো বেশি ইসলামিক দেশ কথা বলছে না। আমি জানি, চীনারা তাদের হুমকি দিচ্ছে। তবে এরকম যে করে আপনি তাকে সমর্থন দিতে পারেন না। এটা স্রেফ আরো পদক্ষেপ নিতে তাদের সাহসী করে তুলছে।’ গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।