Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে ভেজাল বিরোধী অভিযান : জরিমানা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

 বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার নগরীর বায়েজিদ ও কর্ণফুলী এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে ভেজাল সেমাই ও মসলার কারখানা এবং খেজুরের আড়তকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মূল্য তালিকা না থাকায় পচাবাসি ও ভেজাল ভোগ্যপণ্য বিক্রি করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও জরিমানা করা হয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভেজালের কোন আখড়া অক্ষত থাকবে না। তিনি এ ব্যাপারে ভোক্তাদেরও সচেতন হওয়ার আহŸান জানান। রোজায় একসাথে অতিরিক্ত ভোগ্যপণ্য ক্রয় করার ফলে বিক্রেতারা মূল্যবৃদ্ধি, ভেজাল এবং ওজনে কম দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।
গতকাল সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসানের নেতৃত্বে বায়েজিদ থানাধীন মোহাম্মদনগর কাঁচা বাজার ও শেরশাহ কলোনী মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে দেখা যায়, মুদি দ্রব্যাদির মূল্য সরকার নির্ধারিত মূল্যের মধ্যেই রয়েছে। পেঁয়াজ, রসুন, ছোলা, ডাল, চাল সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। ৫টি দোকানে প্রকাশ্যে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে শেরশাহ কলোনী মার্কেটে গোশতের দোকানে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত হাড়সহ গোশতের দাম ৫২৫ টাকার বেশি বিক্রি করায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। একইসাথে তিনজন সবজি বিক্রেতাকে মূল্য তালিকা না থাকায় জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে র‌্যাবের সহযোগিতায় বাকলিয়ার চাক্তাই এলাকায় দুইটি সেমাই কারখানা, খাতুনগঞ্জে একটি মশলা মিল ও একটি খেজুরের আড়তে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরি ও শুকানোর দায়ে মায়ের দোয়া সেমাই কারখানাকে ৫০ হাজার টাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরি ও শুকানোর এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা সেমাই বিক্রি করায় তাহের সেমাই কারখানাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
খাতুনগঞ্জে মেসার্স হাজী আমিরুজ্জামান এন্ড সন্স নামক খেজুর বিক্রির পাইকারী প্রতিষ্ঠানকে মেয়াদউত্তীর্ণ খেজুর সংরক্ষণ ও ক্ষতিকর মশার কয়েলের সাথে খেজুর রাখার অপরাধে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেখান থেকে ৩২০ কেজি মেয়াদউত্তীর্ণ খেজুর আটক করা হয় এবং উক্ত খেজুর ডাস্টবিনে ফেলে বিনষ্ট করা হয়। অপরদিকে আলমের মিল নামক একটি মসলা তৈরীর মিলে হলুদ ও মরিচের গুড়ার মধ্যে ভেজাল হিসেবে ধানের ভুসি মেশানোয় উক্ত কারখানাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভেজালকৃত মালামাল ধ্বংস করা হয়। ভেজাল বিরোধী এ অভিযানে র‌্যাবের এএসপি কাজী তারেক আজিজসহ বিএসটিআই-এর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জরিমানা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ