পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সউদী আরব ও আমিরাতে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রচ্য এবং আরব নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য জরুরি বৈঠক ডেকেছেন সউদী বাদশাহ সালমান। পবিত্র নগরী মক্কাতে আগামী ৩০ মে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সউদীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরব আমিরাতের উপকূলে গত শনিবার চারটি বাণিজ্যিক হামলা এবং এর দুদিন পরই সউদীর রাজধানীর রিয়াদের কাছে একটি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এসব হামলার পেছনে ইরান জড়িত বলে দাবি করছে সউদী আরব ও তার মিত্ররা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজায়রা বন্দরের কাছে তেলবাহী জাহাজ ‘নাশকতামূলক› হামলার শিকার হওয়ার পর ইরানের বিরুদ্ধে আরও আগ্রাসী অবস্থান নিতে রিয়াদ ও আবুধাবি সরকার যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও মিসরের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তবে কায়রো সেই পথে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। একটি কূটনীতিক সূত্র জানিয়েছে, ন্যূনতম পর্যায়ে হলেও ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখাকে কায়রো গুরুত্ব দেয়। কিন্তু পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো তেহরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যেতে কায়রোকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে।
মিসরের একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে সেনা পাঠানোর বিষয়ে মিসরকে রাজি করতে দেশটিকে আর্থিক এবং তেল সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি সেখানে সরাসরি বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে সউদী আরব এবং আরব আমিরাত।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, সউদী আরবের তেল কোম্পানি ‹আরামকো› মিসরকে প্রতি মাসে সাত হাজার ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের তেল ফ্রি দেয়ার সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি মিসরের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ ডলার জমা রাখার প্রস্তাব দিয়েছে রিয়াদ। এছাড়া আরব আমিরাতও মিসরের মোট রিজার্ভ বাড়াতে ১৫ বিলিয়ন ডলার জমা রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।