পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সউদী আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন। তার মূল লক্ষ্য— সউদী আরবের পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করা এবং সেখান থেকে আয়ের ব্যবস্থা করা।
এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন তিনি। তার সেসব প্রজেক্টে এবার যুক্ত হলো রাজধানী রিয়াদ।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এক প্রতিবেদনে জানায়, রিয়াদের কেন্দ্রস্থলে একটি নতুন জাঁকজমক শহর নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স সালমান। নতুন শহরটি গড়ে তোলা হবে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। সেখানে সাইকেল চালানো ও হাঁটার জন্য পর্যাপ্ত রাস্তা রাখা হবে।
এছাড়া সেখানে নির্মাণ করা হবে ‘দ্য মুকাব’ নামের চার কোণা একটি ভবন। যেটি ৪০০ মিটার লম্বা আবার ৪০০ মিটার প্রশস্ত হবে। এ ভবনের ভেতর থাকবে হোটেল, দোকান, বিনোদন কেন্দ্রসহ আধুনিক বিশ্বের সব সুযোগ-সুবিধা। নতুন শহরটি মূলত এ ভবনটি কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হবে।
তবে নতুন এ ভবন নিয়েই এখন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কারণ অনেক বলছেন এটি দেখতে অনেকটা পবিত্র কাবা শরীফের মতো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে অনেকে নিজেদের ক্ষোভও ঝেড়েছেন।
সৌদির পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে ভবনটি নাজদি স্থাপত্যশৈলীর থেকে অনুপ্রাণিত হয় নকশা ও পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু অনেকে এটি মানতে পারছেন না। তারা বলছেন, এ ভবনটির নকশা পরিবর্তন করতে হবে।
এদিকে আরবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পরিকল্পনা অনুযায়ী, রিয়াদে ওই বড় ভবনটি ছাড়াও আরও অসংখ্য নতুন ভবন তৈরি করা হবে। যেগুলো বসবাস, কাজ এবং বিনোদনের ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা দেবে।
আরব নিউজ জানিয়েছে, রিয়াদে শহরটি নির্মাণের পর এটি সউদীর অর্থনীতিতে ৫০ বিলিয়ন ডলার (তেল বিক্রির বাইরে) যোগ করবে। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ লাখ ৩৪ হাজার নতুন চাকরি সৃষ্টি করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।