Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি আমাদের জন্য সুযোগ -ইরান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৯, ১১:১৪ এএম

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক উপস্থিতিকে নিজ দেশের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করে ইরান। এমনটাই মন্তব্য করেছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার আমির আলী হাজিজাদেহ। তিনি বলেছেন, অতীতে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটি ও রণতরীগুলো আমাদের জন্য হুমকি হিসেবে গণ্য হলেও সেগুলো এখন আমাদের জন্য সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


আমির আলী হাজিজাদেহ বলেন, মার্কিন বিমানবাহী রণতরী 'ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কনে' রয়েছে ৪০ থেকে ৫০টি বিমান এবং ছয় হাজার সেনা। কিন্তু এখন এ ধরণের রণতরী আমাদের জন্য 'টার্গেট বোর্ডে'র মতো।

লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে গুলি বা তীর নিক্ষেপের অনুশীলনের জন্য যে বোর্ড ব্যবহৃত হয় সেটিকে টার্গেট বোর্ড বলা হয়।

মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোর অবস্থান এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির প্রতিও ইঙ্গিত করেন আইআরজিসি-এর অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিনীদের অবস্থানটা এমন যে, তারা আমাদের দুই পাটি দাঁতের মাঝখানে মাংসের মতো। নড়লেই সঙ্গে সঙ্গে আঘাত হানবো আমরা।

মার্কিনীরা কেন ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের কথা মুখে আনছে না-এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এ অঞ্চলে আমেরিকা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পারস্য উপসাগরে তাদের রণতরীগুলো আমাদের নৌযানগুলোর অবস্থানস্থল থেকে খুব দূরে নয়। ইরানের নৌযানগুলোতে তিনশ' কিলোমিটার দূরে আঘাত হানার মতো ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। নৌযান থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়িয়ে এখন ৭০০ কিলোমিটার করা হয়েছে।

ইরানকে বার্তা দিতে পারস্য উপসাগরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী 'ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন' পাঠানো হয়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা বক্তব্য দেওয়ার পর তেহরানের পক্ষ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া এলো।

এদিকে ইরানের এলিট ফোর্স ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) প্রধান বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার এক পার্লামেন্টারি সেশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। গত এপ্রিলে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। এই ফোর্স ইরানের অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি সশস্ত্র বাহিনী, দেশের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে যাদের সরাসরি সম্পর্ক আছে।

ইরানের একজন সিনিয়র ধর্মীয় নেতা বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করা আমেরিকার বিমানবাহী নৌবহর তেহরানের একটি মিসাইলেই ধ্বংস হবে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী ইউভাল স্টেইনিটজ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা আরও বাড়লে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এমন আশঙ্কার কথা জানান তিনি।

ইউভাল স্টেইনিটজ বলেন, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ছে। ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়লে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি অথবা প্রক্সি হামলা শুরু করতে পারে ইরান। এ ধরনের পরিস্থিতিতে লেবাননের হিজবুল্লাহ কিংবা গাজা উপত্যকার ইসলামিক জিহাদের মতো সংগঠনগুলো সক্রিয় হয়ে উঠবে। এ ধরনের পরিস্থিত তৈরি হলে ইসরায়েলকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার চেষ্টা করা হতে পারে। সূত্র: পার্স টুডে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ