Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চৌদ্দগ্রামে সরকারি খাল দখল করে মার্কেট নির্মাণ

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) থেকে মো. আকতারুজ্জামান | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৯, ১:৩৬ এএম

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের পাতড্ডা বাজারে সরকারি খাল দখল করে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করছে প্রভাবশালী মহল। ফলে খালটি ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে নব্যতা হারাচ্ছে। এতে করে সামন্য বৃষ্টিতে কৃষি জমিতে পানিবদ্ধতা ও শুস্ক মৌসুমে পানিশূন্যতার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় অনেকেই।
জানা যায়, দূর্গাপুর-জঙ্গলপুর খালটি ডাকাতিয়া নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। ফলে বৃষ্টির সময় পাহাড়ি ঢলের পানি খালটি দিয়ে ডাকাতিয়া নদীতে গিয়ে মিশে। বছরের অধিকাংশ সময় খালের পানি পাশের ফসলি জমিতে ব্যবহার করেন কৃষকরা। কিন্তু পাতড্ডা বাজার এলাকায় কয়েকদিন ধরে প্রভাবশালী লিটন মজুমদার খালের দক্ষিণ পাশে পাকাস্থাপনা নির্মাণ করছেন।
এরআগে মানু চৌধুরী, ফারুক চৌধুরী ও বেলাল চৌধুরী বাড়ির খালের উত্তর পাশে দেয়াল নির্মাণ করে বাড়ির ভাউন্ডারি দিয়েছে। এতে করে ওই খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশণের পথ সরু হয়ে গেছে। শীত মৌসুমে পানি শূন্যতা ও বর্ষায় জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাতড্ডা বাজার সংলগ্ন খালের উত্তর পাশের তীর আগেই প্রভাবশালী মহল দখল করে বাড়ির ভাউন্ডারি নির্মাণ করেছে। দক্ষিণ তীর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করছেন প্রভাবশালী লিটন মজুমদার। গত বুধবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খালে স্থাপনা নির্মাণ করতে নিষেধ করলেও রাতেই প্রভাবশালী লিটন মজুমদার কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন কৃষক জানান, এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে খালটি খনন করা হয়নি। তার ওপর প্রভাবশালীরা খালের ভেতর ঘর ও দোকানপাট তুলে খালটি নষ্ট করছে। এর প্রতিকার না হলে এ খাল মরে যাবে। খাল মরে গেলে এলাকার কৃষি আর কৃষকও মরবে। সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের তদারকি না থাকায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা খালটি অবৈধভাবে দখল করে স্থায়ী ভবন নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। খাল দখলকারী লিটন মজুমদার বলেন, ‘আমার নকশা করা জায়গা ভরাট করছি। সরকারি খাল ভরাটের প্রশ্নই আসে না’।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার বাবুল মিয়া জানান, ‘যেভাবে খাল ভরাট করা হচ্ছে-তাতে বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশনে সমস্যা হবে। কৃষি জমি ও কৃষকদের কথা চিন্তা করেই অবৈধদখল মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি প্রয়োজন’।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খাল দখল

৩০ জানুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ