পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাই মানছে না সরকারি খাস জায়গার খাল দখলদার চক্র। বেশ কয়েক মাস খালের জায়গায় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার পর আবার নড়েচড়ে উঠেছে চক্রটি। এবার মুখের বুলি পালটিয়ে ভ‚মি অফিসের লোকদের আওয়াজ শোনাচ্ছে স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুমতি নিয়ে খালের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করছে।
জানা গেছে, স্থানীয় এমপি এসবের কিছুই জানেন না। তার নাম ব্যবহার করে সরকারের খাস খতিয়ানের জায়গা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে চক্রটি। আর প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের আলো শেষে সন্ধ্যায় শুরু হয় খাল দখল করে ভবন নির্মাণের কাজ। খাল দখলের ঘটনাটি কুমিল্লার মরাদনগর উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসের আওতাধীন হায়দরাবাদ মৌজায় সামছুল হক কলেজের সীমানা ঘেঁষে চলছে। চক্রটি হাতে সময় বেশি নিয়ে আস্তেধীরে চালাচ্ছে খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ। বেশ কয়েক মাস বন্ধ রাখার পর গত ৫/৬দিন ধরে সরকারি খালের জায়গায় পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে দখলদাররা। গত ২৩ আগস্ট দখলদার চক্রটি স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করলে স্থানীয় লোকজনের মুখে শুনে দুপুরে সেখানে উপস্থিত হয়ে আন্দিকোট ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসের সহকারী ভ‚ূভমি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেও সন্ধ্যার পর থেকে ফের কাজ শুরু করে।
সহকারী ভ‚মি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সরকারি জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে। কাজ বন্ধ রাখার কথা বলি এবং ইতিপূর্বে এসিল্যান্ডের দেয়া নোটিশের বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেই তাদেরকে। তারা বলেন এমপি মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে নাকি এখানে কাজ করছে। অনুমতির কাগজ দেখতে চাইলে বলে মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন। পরে কাজ বন্ধ রাখে। আসলে এমপি মহোদয় এসবের কিছুই জানেন না। ওনার নাম ব্যবহার করে দখলদাররা কাজ করতে চাইছে। শুনেছি এখন তারা দিনের বদলে সন্ধ্যার পর কাজ করে।
মুরাদনগরের সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, ইতিপূর্বে দখলদারদের নোটিশ করা হয়েছিল। ১৯৭০ সালের অধ্যাদেশের ৫ ও ৬ ধারা অনুযায়ি হায়দরাবাদ মৌজার খাস খতিয়ানের ওই সরকারি জায়গা কোন অবস্থাতেই কাউকে দখলে রাখতে দেয়া হবেনা। এক্ষেত্রে দখলদার যে-ই হোক তাদের কোন অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবেনা। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।