Inqilab Logo

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

লাবণ্যকে বহনকারী সেই মোটরবাইক চালক আটক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:০৯ পিএম

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক লাবণ্যকে বহনকারী উবার সেই মোটরবাইক চালক সুমনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের একটি টিম তাকে মোটরবাইকসহ আটক করে।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, মোহাম্মদপুর থানাধীন নবীনগর হাউজিং এর ২ নং রোডের ২৫ নং বাসার ষষ্ঠ তলা থেকে উবার বাইক চালক মোঃ সুমন হোসেনকে আটক করা হয়। সেই বাসার নিচ তলার গ্যারেজ থেকে ফাহমিদা হক লাবণ্যকে বহনে ব্যবহৃত মোটর বাইকটি উদ্ধার করা হয়। মোটর বাইকটির নং ঢাকা মেট্রো হ ৩৬-২৩৫৮.

আটককৃত উবার চালক সুমন জানায়, ‘ঘটনার দিন সকালে কলেজ গেটে অবস্থানকালে তার চেয়ে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে অবস্থানকারী একজন উবার কলার (ফাহমিদা হক লাবন্য) এর কল পেয়ে সকাল ১০টা ৩৬মিনিটে সুমন তাকে ফোন করেন।

ফাহমিদা হক লাবন্য খিলগাঁও ছায়াবিথি মসজিদের সামনে যেতে চান জানিয়ে সুমনকে শ্যামলী ৩ নং রোডের ৩১ নং বাসার সামনে যেতে বলেন। লাবন্য শ্যামলী ৩ নং রোডের ৩১ নং বাসার সামনে সুমনের বাইকে উঠেন। রাস্তায় যানজট ছিল।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কাছাকাছি পৌছামাত্র এক পথচারীকে বাইকের সামনে দৌঁড়ে রাস্তা পার হতে দেখে সুমন বাইকে ব্রেক করেন। ফলে লাবন্য মোটর বাইকের ডানদিকে পড়ে যান। এ সময় একটি কাভার্ড ভ্যান পেছন দিকে ধাক্কা তাকে দেয়।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয়েছে। বাইক চালক সুমনের বক্তব্যের সত্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি বাইক চালক হিসেবে তার অবহেলা বা ইচ্ছাকৃত ভুল ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটির চালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সামনে বিশ্ববিদ্যায়ে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে থাকা অবস্থায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত হন লাবণ্য। তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (সিএসই) তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার বাবার নাম ইমদাদুল হক। তারা শ্যামলীর ৩ নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর বাসায় থাকতেন।



 

Show all comments
  • SALIM REZA ২৬ এপ্রিল, ২০১৯, ৬:১০ পিএম says : 0
    মোটর বাইক নামক পাঠাও হোক উভার হোক এটা যেন বি আর টি এ বাতিল করলে আমি খুসি হব। কারন আমি প্রাইভেট গাড়ি চালক। ওনাদের ওভাটেক করার কোন প্রকার ধারনা নেই।এবং উনারা কোন প্রকার প্রশিক্ষণ ও নেন নি। এখন ওনাদের দোষে যদি দুর্ঘটনা ঘটে তা কি অন্য ড্রাইভার কেন বিপদের মুখে পড়বে?
    Total Reply(0) Reply
  • Jafar ২৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:৫৫ এএম says : 0
    ঢাকা,চট্রগ্রাম,সিলেট সহ সব ধরনের বড় এবং যানজট পুর্ন এলাকাতে মোটরবাইক সার্ভিস এর মাধ্যমে যাত্রীসেবা বন্ধ করে দেয়া উত্তম হবে বলে আমি মনে করি.....মোটরবাইক একটা বিপদজনক সার্ভিস..... আমি বাস্তব অভিজ্ঞাত থেকে আমার মতামত যানালাম......
    Total Reply(0) Reply
  • Shams ৩০ এপ্রিল, ২০১৯, ৯:২৭ এএম says : 0
    মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলে দেয়াটা কোন লজিক্যাল কাজ না। উবার এবং পাঠাও না থাকলে অনেকের অফিস যাবার টাইমিং ঠিক থাকতো না। সিএনজি চালকদের দৌড়াত্ব কমত না, যদিও এখনো কমেনি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আটক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ