গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল সংসদের সাধারণ সভায় বাদানুবাদের ঘটনা ঘটেছে। এতে সংস্কৃতিক সম্পাদক চেয়ার নিয়ে সমাজসেবা সম্পাদককে মারতে আসেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।গতকাল বুধবার রাত ১২ টার দিকে হল সংসদের বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে।
হলের সমাজসেবা সম্পাদক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আবুল হোসেন অভিযোগ করেন, পহেলা বৈশাখের খাবার বিতরণ সম্পর্কে ভিপি জিএসকে প্রশ্ন করায় সংসদের সংস্কৃতি সম্পাদক ইমরান হাসানের সাথে বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ইমরান আবুল হোসেনকে পেটানোর জন্য চেয়ার নিয়ে তেরে গিয়েছেন বলে অভিযোগ তার। অন্যদিকে ইমরানের অভিযোগ তিনি নয় বরং উল্টো আবুল হোসেন তাকে মারতে এসেছেন।
জানা যায়, বুধবার রাতে হল সংসদের সাধারণ সভায় হলের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে কথা বলতে সংসদের সকল নেতা আলোচনায় বসেন। সমাজসেবা সম্পাদক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি আবুল হোসেন হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের খাবারের মান এবং ইন্টারনেট সুবিধার বিষয়ে কথা বলেন। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি ভিপি এবং জিএস এর কাছে প্রশ্ন করেন, পহেলা বৈশাখে হল থেকে খাবার বিতরণের বিষয়ে তাকে কেন জানানো হয়নি। এমন সময় সংসদের সংস্কৃতি সম্পাদক ইমরান হাসান খাবারের বিষয়টি সংস্কৃতি সম্পাদক হিসেবে তার দায়িত্ব উল্লেখ করে আবুল হোসেনকে এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে নিষেধ করেন। এ সময় আবুল হোসেন সমাজসেবা সম্পাদক হিসেবে এটা তার দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে প্রতিবাদ করেন। তখন হল সংসদের সকল নেতার সামনে ইমরান, আবুল হোসেনকে লক্ষ্য করে অকথ্য গালিগালাজ করেন। এতে প্রতিবাদ স্বরুপ আবুল হোসেন ইমরানকে হল সংসদে নোংরা ভাষা কেন ব্যবহার করছে বলে প্রশ্ন করেন। এই সময় ইমরান ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার চেয়ার উঠিয়ে আবুল হোসেনকে মারার জন্য তেড়ে যায় এবং হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজ সেবা সম্পাদক আবুল হোসেন বলেন, “আমি সবসময়ই সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বিষয়ে সংসদের আলাচনায় বলি। কিন্ত আমি প্রতিবন্ধী হওয়ায় আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে সবসময় মাইনাস করতে চায়। এমন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সংস্কৃতি সম্পাদক ইমরান আমাকে হেনস্থা করেছে।” আবুল হোসেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের অনুসারী।
সংস্কৃতি সম্পাদক ইমরান হাসান বলেন,“আমি আবুল হোসেনকে চেয়ার তুলে মারতে যাইনি বরং উল্টো উনিই আমাকে মারতে এসেছেন।” ইমরান হাসান হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রলীগের সাবেক উপ প্রচার সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলম রাব্বানীর অনুসারী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।