নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত কয়েক দিন থেকেই মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের নিয়মিত মুখ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। হোম অব ক্রিকেটে কখনও রানিং করছেন, আবার একা একাই সময় কাটাচ্ছেন জিমে। গতকাল দুপুরে দেখা গেল প্যাড পায়ে ব্যাট হাতে একাডেমি মাঠে ছুটতে। ‘ব্যাট করবেন আজ?’, প্রশ্ন শুনে হেসে বললেন, ‘আর কত! ২১ দিন ধরে ব্যাট করি না। আজ (গতকাল) করব।’ পাক্কা ৪০ মিনিট ব্যাটিং অনুশীলন করে এসে জানালেন, ‘নেই কোন অস্বস্তি’।
বেশ কয়েকদিন থেকেই কাঁধে একটা ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। নিউজিল্যান্ড সফরে ফিল্ডিংয়ে ডাইভ দিতে সেটা আরও বেড়ে যায়। অস্বস্তি দূর করতে এমআরআই করলে কাঁধে একটা সমস্যা পাওয়া যায়। চিকিৎসকের ভাষায় যেটা ‘গ্রেড-৩ টিয়ার’। শুরুতে এটা শুনে মাহমুদউল্লাহ নিজেও ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে চিকিৎসকের কাছেই জেনেছেন, ব্যাটসম্যানদের জন্য এরকম ইনজুরি গুরুতর কিছু নয়। পেসার হলে হয়ত চিন্তার কারণ ছিল।
তবে যেহেতু সামনে বিশ্বকাপ তাই কোন রকম ঝুঁকি না নিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এখনো খেলতে নামেননি তিনি। নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ফেরার পর এই কদিন রানিং করছিলেন। গতকালই প্রথম ব্যাট হাতে নিলেন। স্পিন, পেস সব রকম বলই স্বচ্ছন্দে খেলেছেন। অনুশীলন শেষে কি অবস্থা জিজ্ঞেস করতে জানালেন, ‘না কোন অস্বস্তি নেই। আলহামদুলিল্লাহ কোন সমস্যা ছাড়াই ব্যাট করলাম। সব রকমের বলই খেলেছি।’ নেটে ব্যাটিংয়ের সময় কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেছেন বিসিবির ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম। তিনিও সন্তুষ্ট। আপাতত এভাবেই নিয়মিত ব্যাটিং করে যাবেন মাহমুদউল্লাহ। তবে বোলিং অনুশীলনের কথা জিজ্ঞেস করতেই একটু নেতিবাচক উত্তর, ‘না বোলিংটা এখন করা যাবে না। বোলিংয়ে সমস্যা আছে।’
পরে বিশ্রামের মধ্যেই মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং করার কারণ বললেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী, ‘বিশ্রাম বলতে ঠিক ওভাবে না। সে তার কাজগুলো করছে। হালকা ব্যায়াম করছে। আমরা দেখতে চেয়েছি ব্যাটিংয়ে কোনো অস্বস্তি বোধ করে কি না। কিছু কিছু শটে ব্যথা অনুভব করে। কিছু কিছু শটে ব্যথা হয় না। যে শটে ব্যথা হয় না, সেগুলো আমরা খেলতে বলেছি। এটা ওর পুনর্বাসনেরই অংশ।’
ব্যাটিংয়ে ফেরা দিয়ে বলতে গেলে তার বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল পুরোদমে। বিশ্বকাপ আসতে এখনো মাস দুয়েক সময় হাতে আছে। মাহমুদউল্লাহর আশা এই সময়ে বোলিং করার মতোও ফিটনেস চলে আসবে তার। যেহেতু তিনি অনিয়মিত বোলার, তাই বোলিং ফিটনেস নিয়ে এখনি উদ্বিগ্নও নন তিনি। নিউজিল্যান্ড থেকে ফেরার পর বিশ্রামের দিনগুলো ইচ্ছেমতো কাটিয়েছেন। কোনো ডায়েট মানেননি। তাতে ওজন বেড়েছে ৩-৪ কেজি। জানালেন, আবার রুটিনে ঢুকে গেছেন। বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলবেন।
এভাবে যদি চোট পুরোপুরি না সারে, শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহকে যেতে হতে পারে শল্যবিদের ছুরির নিচে। তার চোটটি অনেকটা মুস্তাফিজুর রহমানের কাঁধের চোটের মতো। কাটার মাস্টার সেরে উঠেছিলেন অস্ত্রোপচার করিয়ে। তবে বিশ্বকাপ এত কাছে, এই সময়ে অস্ত্রোপচার করানো মানেই দলের বাইরে দীর্ঘ সময়ের জন্য ছিটকে যাওয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।