নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রীড়াজগতে ‘কোটা প্রথা’ নিয়ে তোলপাড় নতুন বিষয় নয়। গত বিশ্বকাপের আসর চলাকালীন এমন বিষয় নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। আবারো দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। আবারো দক্ষিণ আফ্রিকায় বিতর্ক। তবে, এবার সব বিতর্কের অবসান ঘটাতে চলেছে প্রোটিয়ারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে আগামী ১৮ এপ্রিল। ৩০ মে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামবে প্রোটিয়ারা। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ছিল সব জাতীয় দলে কালো-সাদা খেলোয়াড়দের আনুপাতিক হার হবে ৬০:৪০ (৫:৬)। সরকারি এই সিদ্ধান্ত না মানলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অংশগ্রহণের ওপর আরোপ করা হতো নিষেধাজ্ঞা। তবে এবার শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণে এই অদ্ভুত কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করবে না দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড।
বোর্ডের প্রধান নির্বাহি থাবাং মোরে জানিয়েছেন, আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে কোনো কোটা পদ্ধতি থাকবে না। দলের প্রধান কোচ ওটিস গিবসন এবং নির্বাচক কমিটির আহ্বায়ক লিন্ডা জন্ডিকে জানানো হয়েছে এই সিদ্ধান্তের কথা। সংবাদমাধ্যমে বিশ্বকাপের দলগঠনে কোটা পদ্ধতি বাতিলের খবর জানিয়ে থাবাং বলেন, ‘আমাদের কোটা ভিত্তিক কোনো লক্ষ্য নেই। বিশ্বকাপের জন্য নির্দিষ্ট কোনো অনুপাত থাকবে না। গিবসন এবং জন্ডি তাদের ১৫ সদস্যের দলে যোগ্যতার ভিত্তিতে যেকোনো ১৫ জনকে নিতে পারবে।’ থাবাং পরে যোগ করেন, ‘আমরা চাই বিশ্বকাপটা জিততে। এজন্য অবশ্যই সেরা ১৫ জন খেলোয়াড়েরই সুযোগ পাওয়া উচিৎ। ম্যাচের একাদশ নির্ধারণেও একই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য। সেরা দলটিই নামানো হবে। আমি দল নির্বাচনে আর কোনো নির্দিষ্ট অনুপাত বা কোটার প্রয়োগ চাই না।’
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অকল্যান্ডের সেই ম্যাচে শেষ মুহূর্তে ভারনন ফিল্যান্ডারকে নেওয়া হয়েছিল শ্বেতাঙ্গ কাইল অ্যাবোটের বদলি হিসেবে। সেমিফাইনালের সেই ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে হেরে আসর থেকে বিদায় নিয়েছিল প্রোটিয়ারা।
দ. আফ্রিকার বর্ণবাদ সম্পর্কিত সংস্থা জানিয়েছে, আসন্ন বিশ্বকাপে কোটা নীতির পরিবর্তন করতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ড। এবার থেকে দল নির্বাচনে গুরুত্বপাবে মেধা, প্রয়োজন ও অভিজ্ঞতা। সংস্থার জরিপে দেখা যায়, ৮২ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকান চান জাতীয় দলের ক্রিকেটার বাছাইয়ে মেধার গুরুত্বই যেন দেওয়া হয়। এমনকি একাদশ নির্বাচনেও যেন গুরুত্ব দেওয়া না হয় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই কু-প্রথাটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।