Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে লোকসভা নির্বাচন: একটি তথ্যনির্ভর পর্যালোচনা

মো. আব্বাস উদ্দিন মোল্লা | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

ছত্রিশগড়: ছত্রিশগড়ে লোকসভার আসন সংখ্যা ১১টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ৫টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯১টি। পরপর ৩টি লোকসভা নির্বাচনে অপরিবর্তনীয়ভাবে বিজেপির ১০টি এবং কংগ্রেসের ১টি আসন দখলে রয়েছে। রাজ্যসভায় বিজেপির ৩টি ও কংগ্রেস এর ২টি আসন রয়েছে। ২০১৮ সালের ৫ম বিধানসভা নির্বাচনে ইউপিএ শরিক কংগ্রেস ৬৮টি, বিজেপি ১৫টি, বিএসপি ২টি, জনতা কংগ্রেস ছত্রিশগড় (জেসিসি) ৫টি আসন পেয়েছে। সংরক্ষিত আসন ১টি। এই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কংগ্রেসের ভূপেশ বাঘেল ক্ষমতায় আছেন। এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস ভালো করতে পারে।
দাদরা ও নগর হাবেলী: মোম্বাই এর পাশে দাদরা ও নগর হাবেলী ভারতের একটি ইউনিয়ন টেরিটরি। এখানে লোকসভার একটি আসন রয়েছে। গত ২টি নির্বাচনে বিজিপি প্রার্থীরা কংগ্রেসের সাথে হাহাড্ডি লড়াই করে জয় লাভ করছে।
দামান ও দিউ: গুজরাটের দক্ষিণে দামান ও দিউ ভারতের অন্যতম ইউনিয়ন টেরিটরি। এখানে লোকসভার একটি আসন রয়েছে। গত ২টি নির্বাচনে এখানেও বিজিপি প্রার্থী কংগ্রেসের সাথে হাহাড্ডি লড়াই করে জয় লাভ করেছে।
দিল্লী: দিল্লী ভারতের একটি অন্যতম কেন্দ্রীয় রাজধানী সমন্বিত ইউনিয়ন টেরিটরি। এখানে লোকসভার আসন সংখ্যা ৭টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ৩টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ৭০টি। বর্তমান লোকসভায় এনডিএ নেতৃত্বাধীন বিজেপির দখলেই আছে ৭টি আসন। রাজ্যসভার ৩টি আসনই আম আদমী পার্টির (এপিপি) দখলে। ২০১৫ সালের ৭ম বিধানসভা নির্বাচনে এপিপি ৬৭টি ও বিজেপি ৩টি আসন পেয়েছে। এপিপি প্রধান অরবিন্দু কেজরীওয়াল এই ইউনিয়ন টেরিটরির ৭ম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারে ক্ষমতায় আছেন। লোকসভার নির্বাচনে ইতিপূর্বে বিজেপির প্রাধান্য লক্ষনীয়। এপিপিও বেশ শক্তিশালী। লড়াই হবে এখানে মূলত বিজেপি ও এপিপির মধ্যে এবং কংগ্রেসও আলোচনায় ফিরতে চায়।
গোয়া: গোয়া মূলত একটি হিন্দু ধর্মীয় তীর্থ স্থান। এখানে লোকসভার আসন সংখ্যা ২টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ১টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ৪০টি। বর্তমান লোকসভা ও রাজ্যসভায় এনডিএ নেতৃত্বাধীন বিজেপির দখলে সব কয়টি আসন। ২০১৭ সালের ৭ম বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ শরিক বিজেপি ১২টি, মহারাষ্ট্রবাদী গোয়াটাক পার্টি (এমজিপি) ৩টি, গোয়া ফরওয়াড পার্টি (জিএফপি) ৩টি, কংগ্রেস ১৪টি, এনসিপি ১টি আসন পেয়েছে। শূন্য আসন রয়েছে ১টি। বিজিপি নেতা প্রমোদ শোয়ান্ত ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আছেন।
গুজরাট: গুজরাটে লোকসভার আসন সংখ্যা ২৬টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ১১টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮৩টি। বর্তমানে লোকসভার সব কয়টি আসন এনডিএ নেতৃত্বাধীন বিজেপির দখলে রয়েছে। রাজ্যসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা ৭টি এবং কংগ্রেস এর ৪টি আসন রয়েছে। ২০১৭ সালের ১৪তম বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ শরিক বিজেপি ১০১টি, কংগ্রেস ৭২টি, ভারতীয় ট্রাইবেল পার্টি (বিটিপি) ২টি, এনসিপি ১টি ও স্বতন্ত্র ২টি আসন পেয়েছে। ৪টি আসন শূন্য রয়েছে। সংরক্ষিত আসন ১টি। বিজেপির বিজয় রমনিকলাল রূপানি ১৬তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় আছেন। রাজ্যটি বিজেপি অধ্যষিত রাজ্য হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসও তাদের শক্তির প্রমাণ দিয়েছে। এবারের লোকসভার নির্বাচনে আসনগুলি এককভাবে কারও ঘরে যাচ্ছে না, তা মোটামুটি স্পষ্ট।
হরিয়ানা: হরিয়ানায় লোকসভার আসন সংখ্যা ১০টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ৫টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০টি। বর্তমান লোকসভায় এনডিএ নেতৃত্বাধীন বিজেপির ৭টি, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল (আইএনএলডি) ২টি ও কংগ্রেসের ১টি আসন রয়েছে। রাজ্যসভায় বিজেপির ২টি, কংগ্রেসের ১টি, আইএনএলডি’র ১টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১টি আসন রয়েছে। ২০১৪ সালের ১৩তম বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ শরিক বিজেপির ৪৭টি, শিরমনি আকালি দল (এসএডি) ১টি, আইএনএলডি ১৮টি, কংগ্রেস ১৮টি, বিএসপি ১৮টি, স্বতন্ত্র ১টি আসন পেয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ (আরএসএস) নেতা ও বর্তমানে বিজেপি নেতা মনোহর লাল খাটার ১০তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আছেন।
হিমাচল প্রদেশ: হিমাচল প্রদেশে লোকসভার আসন সংখ্যা ৪টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ৩টি, এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬৮টি। বর্তমান লোকসভার সব কয়টি আসনই এনডিএ নেতৃত্বাধীন বিজেপি পেয়েছে। রাজ্যসভায় কংগ্রেস ২টি ও বিজেপির ১টি আসন রয়েছে। ২০১৭ সালের ১৩তম বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ শরিক বিজেপি ৪৪টি, কংগ্রেস ২১টি, সিপিআইএম ১টি ও স্বতন্ত্র ১টি আসন পেয়েছে। বিজেপি নেতা জয় রাম ঠাকুর ৬ষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আছেন।
জম্মু ও কাশ্মির: জম্মু ও কাশ্মীর সাম্প্রতিক কালের পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে পরস্পর পাল্টা-পাল্টি হামলার কারণে ভারতীয় উপমহাদেশে বেশ উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এ উত্তাপে ভারতের লোকসভা নির্বাচনও প্রভাবিত হচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিকগুলি আচমকা পাকিস্তান আক্রমণকে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির অপকৌশল হিসেবে দাবি করছে। এখানে লোকসভার আসন সংখ্যা ৬টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ৪টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ৮৯টি। বর্তমান লোক সভায় বিজেপির ৩টি এবং জম্মু ও কাশ্মির পিপলস্ ডেমোক্রেটিক পার্টির (জেকেপিডিপি) ৩টি আসন রয়েছে। রাজ্যসভায় জেকেপিডিপির ২টি, বিজেপির ১টি ও কংগ্রেস এর ১টি আসন রয়েছে। ২০১৪ সালের ১৬তম বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৫টি, জেকেপিডিপি ২৮টি, জম্মু-কাশ্মির ন্যাশনাল কংগ্রেস (জেকেএনসি) ১৫টি, কংগ্রেস ১২টি, জম্মু-কাশ্মির পিপল্স কনফারেন্স (জেকেপিসি) ২টি, সিপিআইএম ১টি, জম্মু-কাশ্মির পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (জেকেপিডিএফ) ১টি ও স্বতন্ত্র ৫টি আসন পায়। এখানে মহিলাদের জন্য ২টি আসন সংরক্ষিত আছে। বিজেপি ও জেকেপিডিপি যৌথভাবে এনডিএ জম্মু ও কাশ্মিরে প্রাদেশিক সরকার গঠন করে। জেকেপিডিপি নেত্রী মাহাবুবা মুফতিকে ৯ম মুখ্যমন্ত্রী হন। জম্মু ও কাশ্মিরের নিরাপত্তা ও বাজেট সংক্রান্ত বিষয়ে পরস্পরের মধ্যে অনৈক্যর কারণে বিজেপি সমর্থন প্রত্যাহার করলে এনডিএ সরকারের পতন ঘটে। রাজনৈতিক কারণে নতুন সরকার গঠনে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত বিধায়কগণ ব্যর্থ হওয়ার কারণে বর্তমানে প্রদেশটিতে রাষ্ট্রপতির শাসন চলছে।
ঝাড়খন্ড: ঝাড়খন্ডে লোকসভার আসন সংখ্যা ১৪টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ৬টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ৮২টি। বর্তমান লোকসভায় এনডিএ নেতৃত্বাধীন বিজেপির ১২টি ও ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) ২টি আসন রয়েছে। রাজ্যসভায় বিজেপি ৩টি, কংগ্রেস ১টি, আরজেডি ১টি ও স্বতন্ত্র ১টি আসন পেয়েছে। ২০১৪ সালের ৪র্থ বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ শরিক বিজেপি ৪৩টি, অল ঝাড়খন্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (এজেএসইউ) ৪টি, জেএমএম ১৯টি, কংগ্রেস ৯টি, ঝাড়খন্ড বিকাশ মোর্চা (জেভিএম) ২টি, বিএসপি ১টি, সিপিআইএম ১টি, মার্ক্সিস্ট কো-অডিশন কমিটি (এমসিসি) ১টি এবং নবজোয়ান সংঘ মোর্চা (এসএসএম) ১টি আসন পেয়েছে এবং সংরক্ষিত আসন ১টি। বিজেপি নেতা রঘুরাম দাস ৬ষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আছেন।
কর্ণাটক: কর্ণাটকে লোকসভার আসন সংখ্যা ২৮টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ১২টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ২২৮টি। বর্তমান লোকসভায় এনডিএ নেতৃত্বাধীন বিজেপি ১৭টি, কংগ্রেস ৯টি এবং জেডিএস এর ২টি আসন রয়েছে। রাজ্যসভায় কংগ্রেস ৮টি, বিজেপি ৩টি ও জনতা দল (জেডি) ১টি আসন পেয়েছে। ২০১৮ সালের ১৫তম বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১০৪টি, কংগ্রেস ৮০টি, জেডিএস ৩৮টি, কেপিজেপি ১টি, বিএসপি ১টি ও স্বতন্ত্র ১টি আসন পেয়েছে। সংরক্ষিত আসন ১টি। নির্বাচনে বেজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলেও সরকার গঠনের জন্য তা পর্যাপ্ত ছিল না। দলীয় গভর্নর ভাজুভাই বালা বিজেপির দলীয় নেতা ইদ্দেরাপপকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন এবং আস্থা অর্জনের জন্য বেশ সময় দিয়ে দেন। উদ্দেশ্য সরকার গঠনের জন্য যে কয়জন বিধায়ক দরকার তা যোগাড় করা কি ঘটতে পারে তা আঁচ করে কংগ্রেস ও জেডিএস জোট বদ্ধ হয়ে রাতেই সুপ্রিমকোর্টের এ্যাপেক্স বেঞ্চে হাজির হয়ে গভর্নরের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে। পরের দিন বিজিপি নেতাকে আস্থা অর্জনের জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেন। ফলে যা হবার তাই হয়েছে, বিজেপি আউট! জেডিএস নেতা এইচডি কুমার স্বামী কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে ১৮তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কর্ণাটকে রাজ্য সরকার চালাচ্ছে।
কেরালা: কেরালায় লোকসভার আসন সংখ্যা ২০টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ৯টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৪১টি। বর্তমান লোকসভায় ইউপিএ শরিক কংগ্রেস ৮টি, সিপিআইএম ৭টি, ইন্ডিয়া ইউনিয়ন মুসলীম লীগ (আইইউএমএল) ২টি, সিপিআই ১টি, কেরালা কংগ্রেস (কেসি) ১টি এবং রিভুল্যাশনারী সোসালিস্ট পার্টি (আরএসপি) ১টি আসন রয়েছে। রাজ্যসভায় সিপিআইএম ৩টি, কংগ্রেস ২টি, সিপিআই ১টি ও কেসিপি ১টি আসন পেয়েছে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাম ফ্রন্ট শরিক সিপিআইএম ৫৮টি, কংগ্রেস ২২টি, বিজেপি ১টি, সিপিআই ১৯টি, আইউএমএল ১৮টি, জেডিএস ৩টি, এনসিপি ২টি, কেসিএম ৬, এলডিএফ ৪টি এবং অন্যান্য দলগুলি ৭টি আসন পেয়েছে ও সংরক্ষিত আসন ১টি। সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য পিনারী ভিজায়ন ১২তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এই প্রদেশের ক্ষমতায় আছেন।
লাকসাদ্বীপ: আরব সাগরের পাশে লাকসাদ্বীপ একটি ইউনিয়ন টেরিটরি। এখানে লোকসভার একটি আসন রয়েছে। গত নির্বাচনে ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) প্রার্থী মাত্র এক হাজার ৫শত ৩ ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীকে পরাজিত করেন।
মধ্য প্রদেশ: মধ্য প্রদেশে লোকসভার আসন সংখ্যা ২৯টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ১১টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৩১টি। বর্তমান লোকসভায় এনডিএ নেতৃত্বাধীন বিজেপি ২৭টি ও কংগ্রেসের ২টি আসন রয়েছে। রাজ্যসভায় বিজেপির ৮টি ও কংগ্রেস এর ৩টি আসন রয়েছে। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ১১৪টি, বিএসপি ২টি, বিজেপি ১০৯টি, এসপি ১টি ও স্বতন্ত্র ৪টি আসন পেয়েছে এবং সংরক্ষিত আসন ১টি। কংগ্রেস নেতা কমল নাথ ১৮তম মুখ্যমন্ত্রী ি সেবে ক্ষমতায় আছেন।
মহারাষ্ট্র: মহারাষ্ট্রে লোকসভার আসন সংখ্যা ৪৮টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ১৯টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৯টি। বর্তমান লোকসভায় এনডিএ নেতৃত্বাধীন বিজেপি ২৩টি, শিবসেনা ১৮টি ও এসডব্লিউপি এর ১টি আসন রয়েছে। রাজ্যসভায় বিজেপির ৭টি, এনসিপির ৪টি, শিব সেনা ৩টি, কংগ্রেস এর ৩টি, ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান পার্টি ১টি ও স্বতন্ত্র পার্থীদের ১টি আসন রয়েছে। ২০১৪ সালের ১৩তম বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ শরিক বিজেপি ১২২টি, শিব সেনা ৬৩টি, আরএসপি ১টি, কংগ্রেস ৪২টি, এনসিপি ৪১টি, এআইএমআইএম ২টি, পিডবিøউপি ৩টি, বিভিএ ৩টি, সিপিআইএম ১টি, এসপি ১টি ও অন্যান্য দল ৯টি আসন পেয়েছে এবং সংরক্ষিত আসন ১টি। বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফান্ডাবিভস্ ১৮তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আছেন। কেন্দ্র সরকার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই রাজ্য বিরাট ভূমিকা রাখে।
মনিপুর: মনিপুরে লোকসভার আসন সংখ্যা ২টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ১টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬০টি। বর্তমান লোকসভার ২টি আসনই কংগ্রেসের দখলে রয়েছে এবং অন্যদিকে রাজ্যসভার আসনটি বিজেপির দখলে আছে। ২০১৭ সালের ১১তম বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ শরিক বিজেপি ৩১টি, কংগ্রেস ১৯টি, এনপিএফ ৪টি, এনপিপি ৪টি ও অন্যান্যরা ২টি আসন পেয়েছে। বিজেপি নেতা নাগথোরাম বীরেন সিংহ ১২তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আছেন।
মেঘালয়: মেঘালয় লোকসভার আসন সংখ্যা ২টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ১টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬০টি। বর্তমান লোক সভায় ন্যাশনাল পিপলস্ পাটির ১টি ও কংগ্রেসের ১টি আসন রয়েছে। রাজ্যসভার আসনটি কংগ্রেস এর দখলে রয়েছে। ২০১৮ সালের ১০ম বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ শরিক এনপিপি ১৯টি, ইউডিপি ৬টি, বিজেপি ২টি, কংগ্রেস ২১টি, পিডিএফ ৪টি, এনসিপি ১টি ও অন্যান্য দল ৭টি আসন পেয়েছে। এনপিপি নেতা কোনাড সাংমা বিজেপির সমর্থনে ১২তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় আছেন।
মিজোরাম: মিজোরাম লোকসভার আসন সংখ্যা ১টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ১টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ৪০টি। লোক সভা ও রাজ্যসভা কংগ্রেস এর দখলে রয়েছে। ২০১৮ সালের ৮তম বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ শরিক মিজোরাম ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ) ২৬টি, কংগ্রেস ৫টি, জোরাম পিপলস্ ফ্রন্ট ৮টি ও বিজেপি ১টি আসন পেয়েছে। এমএনএফ নেতা যোরাম থাংগা এনডিএ সমর্থন নিয়ে ৫ম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আছেন। (চলবে)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন