গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্বেচ্ছাসেবক দল। শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি নয়াপল্টন, নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধাারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইয়াসিন আলী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরাজ জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এস এম জিলানী, নজরুল ইসলাম, রফিক হাওলাদার, উত্তরের ফখরুল ইসলাম রবিন, কাজী রেজওয়ান হোসেন রিয়াজ, হারুন অর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা আনু মোঃ শামীম, সাইদুর রহমান সাইদুল, ফরিদ উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম মাসুম, আওলাদ হোসেন উজ্জল, একেএম আবুল কালাম আজাদ, এমজি মাসুম রাসেলসহ শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবিদার মনে করেন, কিন্তু তাঁর সেই চেতনায় গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই। একদলীয় পার্মানেন্ট ক্ষমতায় থাকার চেতনাই হচ্ছে একমাত্র চেতনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মুক্তিযুদ্ধের মূল স্পিরিট গণতন্ত্রকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে থেকে মুছে দিয়ে বাকশালী চেতনাকে সংযুক্ত করে তাঁর নিজের মতো এক অদ্ভুত চেতনাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে চালাতে চাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আর এজন্য গণতন্তের সকল প্রতিষ্ঠানে বাকশালী বাকশালের কালো থাবা বিস্তারে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন। আজ আইন-আদালত-প্রশাসন-নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থার অধীন। বাকশালী চেতনার ধারক হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন গণতন্ত্রকে সাদা কাফনে পেঁচিয়ে ফেলে গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতীক বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছেন।
বেগম জিয়ার ওপর অমানবিক ও নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়ে বিনা চিকিৎসায় তাঁকে তিল তিল করে মৃত্যুপথযাত্রী করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বিএসএমএমইউ-এর কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গণমাধ্যমকে বলেছেন বেগম খালেদা জিয়ার যে শারীরিক অবস্থা তাতে যেকোন সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাঁর স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ এবং খুবই উদ্বেগজনক। তাঁরা সকলেই বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার সুপারিশও করেছেন। কিন্তু সরকার ও সরকারপ্রধান দেশনেত্রীর জীবন নিয়ে তামাশা শুরু করেছেন। এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও সরকারের সুরে তাল মেলাচ্ছেন। স্বৈরাচারদের বন্দীদশা থেকে যিনি বারবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আপোষহীন লড়াই চালিয়েছেন তাঁকে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পৃথিবী থেকে বিদায় করতেই শেখ হাসিনা যাবতীয় আয়োজন করছেন বলে জনমনে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকারহারা মানুষ বর্তমান ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এখন আরও বেশী ঐক্যবদ্ধ, যেকোন মূহুর্তে জনগণের ধৈর্য্যরে বাঁধ ভেঙ্গে যাবে এবং মুলোৎপাট ঘটাবে বর্তমান আওয়ামী-বাকশালী দু:শাসনের। তাই অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর পছন্দের হাসপাতালে সুচিকিৎসার সুযোগসহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।