Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতে লোকসভা নির্বাচন: একটি তথ্যনির্ভর পর্যালোচনা

মো. আব্বাস উদ্দিন মোল্লা | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

২০১৮ ও ২০১৯ সাল দক্ষিণ এশিয়া সরকার নির্বাচনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল পার করছে। নেপালে ২০১৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ৪র্থ নেপাল ন্যাশনাল অ্যাসেম্বিলির নির্বাচনে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি বিজয়লাভ লাভ করে এবং ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রæয়ারিতে খাগদা প্রসাদ ওলি ৩৮তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই পাকিস্তানের ১৫তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে তেহরিকে ইনসাফ পার্টি বিজয় লাভ করে এবং ইমরান খান দেশের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করছেন। ২০১৮ সালে ভুটানের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে পার্লামেন্টে আনুপাতিক হারে ভুটান পিস অ্যান্ড প্রোসপারেটি দলের লোটে তাসে রিং নভেম্বর মাসের ৭ তারিখে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলে নির্বাচিত হয়েছেন। এটি একটি ছোট্র রাষ্ট্র হলেও রাজনৈতিকভাবে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজনৈতিক সর্ম্পক মোটেই ভালো নয়। শ্রীলংকায় সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ্রা রাজাপাকাশের অর্থমন্ত্রী মিথিরাপালা সিরিসেনা ২০১৫ সালে নির্বাচনের প্রারম্ভে স্বপক্ষ ত্যাগ করে প্রধান বিরোধী দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির নেতা রানিল বিক্রমা সিংহের সাথে সন্ধি করে ৭ম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। রানিল বিক্রমা সিংহও একই বছরে ১৫তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে শ্রীলংকার ১০ম প্রধানমন্ত্রী হন। প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা হঠাৎ করে গত বছর অক্টোরব মাসের ২৬ তারিখ বিক্রমা সিংহকে বরখাস্ত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের সদস্য মাহিন্দ্রা রাজাপাকাশেকে নতুন প্রধান মন্ত্রী নিয়োগ করেন। নতুন ও পুরতান উভয়ই নিজেদেরকে বৈধ প্রধান মন্ত্রী হিসাবে দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত রাজাপাকাশে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে যান, তখন প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়ার আদেশ দেন। পার্লামেন্ট সদস্যরা উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেন। আদালত পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়ার আদেশের বিরুদ্ধে রায় দিলে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বিক্রমা সিংহকে গত ১৬ ডিসেম্বর পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করে শ্রীলংকার সাময়িক অচলাবস্থা নিরসন করেন। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩০ ডিসেম্বরের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়লাভের মাধ্যমে একটানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন।
ভারতের নির্বাচন কমিশন ১৭তম লোকসভার নির্বাচনর জন্য ৭টি ধাপে ৫৪৩টি আসনের তফশিল ঘোষণা করেছে। ১১ এপ্রিল ৯১টি, ১৮ এপ্রিল ৯৭টি, ২৩ এপ্রিল ১১৫টি, ২৯ এপ্রিল ৭১টি, ৬ মে ৫১টি, ১২ মে ৫৯টি এবং ১৯ মে ৫৯টি আসনে নির্বাচন হবে। এছাড়া একই সাথে অন্ধপ্রদেশ, অরুনাচল প্রদেশ, উড়িশ্যা ও সিকিমের বিধানসভাসহ অন্যান্য প্রদেশে বিধানসভার শূন্য আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গণনা শুরুর তারিখ ২৩ মে। ভারতের সরকার, রাজনৈতিক দল, সরকার ব্যবস্থা আমাদের প্রভাবিত করে। এ কারণেই ভারতের নির্বাচনে অনেকেরই কৌতূহল আছে। সাম্প্রতিক কালের অনেক নির্বাচনী ঘটনায় নির্বাচন সম্পর্কে অনেকের আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। ১৯৪৭ সালের পরে ভারতে একটি ক্ষণের জন্যও অনির্বাচিত বা অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আসেনি। তাই ভারতকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে অভিহিত করা হয়। পাঠকদের জন্য আমি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, প্রাদেশিক সরকার ও রাজনৈতিক দলের বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করছি। নির্বাচনে জয়লাভের জন্য রাজনৈতিক দলগুলি যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা করেও অনেক মানুষের প্রাণ নিয়ে তামাশাও করে। তেমনটা হতে যাচ্ছিল ভারতে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বুদ্ধিমত্তার কাছে এবারের মোদির যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার তকমা ভারতের নির্বাচনে একটু হলেও ঊর্দ্ধচাপ লঘু করে দিয়েছে। ভারতের বাহ্যিক সকল সমস্যায় সাধারণত রাজনৈতিক দলগুলি একাট্টা হয়ে যায়। এবার এমন সংহতি প্রত্যক্ষ করা যায়নি। মোদি ম্যাজিক আপাতদৃষ্টিতে প্রাণ নাশের খেলায় কাজে লাগেনি বলে অনেকেই মনে করছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টের নি¤œ কক্ষের নাম লোকসভা, কেন্দ্রীয় উচ্চ কক্ষের নাম রাজ্যসভা ও প্রতিটি প্রদেশে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বিধানসভা। লোকসভা ও বিধানসভার মেয়াদ ৫ বছর এবং রাজ্যসভার সদস্যদের মেয়াদকাল ৬ বছর। ভারতের লোকসভা আসন সংখ্যা ৫৪৫টি, যার মধ্যে ২টি অ্যাংলো ইন্ডিনিয়ানদের জন্য সংরক্ষিত। ৫৪৩টি আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যামে প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। আসন সংখ্যা ২৯টি প্রদেশ এবং ৭টি টেরিটরি ইউনিয়নের মধ্যে নির্ধারণ করা আছে। মহিলাদের জন্য কোনো আসন সংরক্ষিত নেই। সকলেই প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। লোকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা জোট কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করে। ১৯৪৭ সালের পর এ পর্যন্ত ১৬বার লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। ১১বার সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করেছে অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেস, ৪ বার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং ১বার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ১৯৭৭ সালে মোরারজি দেশাইর জনতা পার্টি কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছিল। বেশ কয়েক বার সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল মিত্রদের রাজনৈতিক অসহযোগিতার কারণে মেয়াদকাল পূরণ করতে পারেনি। ২০১৪ সালের ১৬তম লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেট্রিক এলায়েন্স এনডিএ ৩৩৬টি আসন পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার দেশ পরিচালনা করছে। অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ এলায়েন্স (ইউপিএ) মাত্র ৬০টি আসন পেয়ে ভারতের ইতিহাসে দুর্বলতম বিরোধী দল হিসেবে লোকসভায় বসেছে।
ভারতের উচ্চকক্ষের নাম রাজ্যসভা। এর জন্য বর্তমানে ২৪৫টি আসন আছে। রাজ্যসভার সদস্যগণ প্রতি ২ বছর পর পর্যায় ক্রমিকভাবে পরিবর্তিত হন। রাজ্যসভার প্রদেশভিত্তিক শূন্য আসনের বিপরীতে বিধানসভার দলগত অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন। রাজ্যসভায় সাধারণত মেধাবী ও পন্ডিতজনেরা সাধারণের ভোটে নির্বাচিত হন না বা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন না। তাদের প্রজ্ঞা ও মেধা রাষ্ট্রীয়কাজে ব্যবহারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের মনোনীত করে দলের ও দেশের কল্যাণে ব্যবহার করে থাকেন।
ভারতে তিন ক্যাটাগরির রাজনৈতিক দল আছে। জাতীয়, প্রাদেশিক ও ননরিকগনাইজ্ড রাজনৈতিক দল। প্রত্যেকটি ক্যাটাগরিভুক্ত হতে নির্বাচনে আসন লাভের উপর শর্ত আছে, ভোট প্রাপ্তির উপর শর্ত আছে, রাজনৈতিক কর্মকাÐ পরিচালনার উপর শর্ত আছে ইত্যাদি। ভারতে বর্তমানে জাতীয় রাজনৈতিক দলের সংখ্যা মাত্র ৭টি, প্রাদেশিক রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫৪টি এবং ননরিকগনাইজ্ড রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৬০-র অধিক। ৭টি জাতীয় দলের মধ্যে আছে ১৮৮৫ সালের প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে রাহুল গান্ধির নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেস (আইএনসি বা কংগ্রেস), ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে সুরাভরম সুধাকর রেড্ডির নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই), ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে সিতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বাধীন মাকর্সাবাদী অল ইন্ডিয়া কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআইএম), ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বিএসপি), ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস এবং ১৯৯৯ সালে সারদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)। ভারতে দিন দিন আঞ্চলিক দলগুলি অনেক জাতীয় দলের চেয়ে রাজনৈতিকভাবে ভারত সরকার পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
ভারতে প্রদেশের ইংরেজি বানানের আদ্যাক্ষরের ক্রমানুসারে প্রদেশ ও ইউনিয়ন টেরিটরিগুলি লেখা হয়। এই তালিকা অনুযায়ী বিগত নির্বাচনের বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিকগুলি পাঠকদের জন্য নি¤েœ উল্লেখ করছি।
আন্দামান ও নিকবর দ্বীপপুঞ্জু: আন্দামান ও নিকবর দ্বীপপুঞ্জু বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ, যা একটি ইউনিয়ন টেরিটরি হিসেবে পরিচিত। ব্রিটিশভারতের সময়ে স্বাধীনতাকামী সর্বভারতীয় ও ফৌজদারী মামলার অপরাধীদের এখানে বন্দি হিসেবে রাখা হতো। বাংলাদেশের মানুষ কালাপানির স্থান হিসেবে জায়গাটির সাথে পারিচিত। এখানে লোকসভার একটি আসন রয়েছে। গত ২টি নির্বাচনে বিজিপি প্রার্থীরা অত্যন্ত মার্জিন ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়লাভ করছে।
অন্ধপ্রদেশ: অন্ধপ্রদেশে লোকসভার আসন সংখ্যা ২৫টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ১১টি, এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৭৬টি। বর্তমান লোক সভায় তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৫টি, বিজেপির ২টি এবং জগমোহন রেড্ডি নেতৃত্বাধীন ওয়াই এস আর কংগ্রেস পার্টির ৮টি আসন রয়েছে। রাজ্যসভায় টিডিপির ৫টি, ওয়াইএসআর এর ২টি, কংগ্রেসের ২টি, টিআরএস এর ১টি এবং বিজেপির ১টি আসন রয়েছে। ২০১৪ সালের ১৪তম বিধানসভা নির্বাচনে টিডিপি ১০৩টি, বিজেপি ৪টি, ওওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি ৬৬টি ও অন্যান্য ২টি আসন পেয়েছে। ১টি আসন সংরক্ষিত। টিডিপি পার্টির নেতা চন্দ্র বাবু নাইডু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রাদেশিক সরকার পরিচালনা করছেন। এই রাজ্যে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্ধপ্রদেশ ভেঙ্গে ২০১৪ সালে ২৯তম প্রদেশ তেলেঙ্গনা হয়েছে। এখানে প্রকাশ্য কোনো জোটগতভাবে নির্বাচন হচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলি আবারও নির্বাচনে জয়লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
অরুনাচল প্রদেশ: অরুনাচল প্রদেশে লোকসভার আসন সংখ্যা ২টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ১টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬০টি। বর্তমান লোকসভায় বিজেপির ১টি এবং কংগ্রেসের ১টি আসন রয়েছে। রাজ্যসভার আসনটি কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। ২০১৪ সালের ৯ম বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৬টি, এনপিপি ১৬টি, কংগ্রেস ৬টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ২টি আসন পেয়েছে। বিজেপির প্রেমা খান্ডু ৯ম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রাদেশিক সরকার পরিচালনা করছেন। এই রাজ্যেও লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আসাম: আসামে লোকসভার আসন সংখ্যা ১৪টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ৭টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ১২৬টি। বর্তমান লোকসভায় বিজেপি ৭টি, কংগ্রেসের ৩টি, অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ৩টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১টি আসন রয়েছে। ২০১৬ সালের ১৪তম বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শরিকরা ৮৮টি, কংগ্রেস ২৫টি ও এআইইউডিএফ ১৩টি আসন পেয়েছে। বিজেপির শ্রাবানন্দ সনোয়াল ১৪তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আছেন। আসামে মুসলমান জাতি গোষ্ঠিকে অভিবাসি আখ্যা দিয়ে তাঁদেরকে জাতীয় জরিপভুক্ত না করায় বিজেপি সরকার বেশ চাপের মধ্যে আছে।
বিহার: বিহারে লোকসভার আসন সংখ্যা ৪০টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ১৬টি এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৪টি। বর্তমান লোক সভায় বিজেপি ২২টি, লোক জন শক্তি পার্টি (এলজেপি) ৬টি, রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি (আরএলএসপি) ৩টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ৪টি, কংগ্রেস ২টি, ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) ১টি ও ইউনাইটেড জনতা দল (জেডিইউ) এর ২টি আসন রয়েছে। রাজ্যসভায় জেডিইউ এর ৬টি, বিজেপির ৪টি, আরজেডি এর ৪টি, কংগ্রেস এর ১টি ও ১টি আসন শূন্য রয়েছে। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ ৭০টি, বিজেপি ৫৩টি, এলজেপি ২টি, স্বতন্ত্র ৪টি, আরজেডি ৭৯টি, কংগ্রেস ২৭টি, কমিউনিস্ট পার্টি (মাক্স-লেলিন) ৩টি, আরএলএসপি ২টি ও হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চা ১টি আসন পেয়েছে। আসন শূন্য রয়েছে ২টি। সংরক্ষিত আসন ১টি। ইউনাইটেড জনতা দলের নিতিশ কুমার ২২তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আছেন।
চন্ডীগড়: পাঞ্জাবের পশিচমে চন্ডীগড় একটি ইউনিয়ন টেরিটরি হিসাবে পরিচিত। এখানে লোকসভার একটি আসন রয়েছে। আসনটি বিজিপির দখলে রয়েছে।
(চলবে)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন