Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভোটাধিকার প্রয়োগে অসহায় জনগণ

তৈমূর আলম খন্দকার | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮(৪) অনুচ্ছেদ মোতাবেক, ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবল এই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন।’ অথচ গত ১৮ মার্চ নির্বাচন কমিশনের এক জ্যেষ্ঠ কমিশনার বলেছেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন কি পদ্ধতিতে কতখানি উম্মুক্ত হবে, সেটা বর্তমানে সরকার ঠিক করে দেয়। ভবিষ্যতে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য, আইনানুগ ও উন্মুক্ত নির্বাচন হলে এবং সব প্রার্থীর সমান সুযোগ নিশ্চিত হলে, সব দল তাতে অংশ গ্রহণ করবে বলে আশা করা যায়।’ তার এ বক্তব্য প্রমাণ করে, সরকারের দিক নির্দেশনার বাইরে তাদের (কমিশনের) সাংবিধানিক ‘স্বাধীনতা’ কচুপাতার পানির মতো। সরকার কমিশনকে স্বাধীনতার প্রশ্নে যতটুকু ছাড় দেয় ততটুকুই কমিশন ভোগ করতে পারে। ওই বিজ্ঞ কমিশনার সত্য প্রকাশ করলেও মিথ্যার সাগরে ডুবে রয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, যার চোখে সব কিছুই সুষ্ঠু বলে প্রকাশ পাচ্ছে। রাঙ্গামাটিতে ৭ খুনের ঘটনাও তার দৃষ্টিতে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া অন্য কিছুই নয়। তবে ওই কমিশনার সব দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচন হলে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তা সমর্থনযোগ্য। কিন্তু সব দল অংশগ্রহণ করলেও পুলিশ ও প্রশাসন ভোট কেন্দ্রে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তা ঠেকাবে কে?
৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের আদলে দেশব্যাপী উপজেলা নির্বাচনের নামে প্রতিদ্ব›িদ্বতাবিহীন নির্বাচনী সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে ১৬ মার্চ ‘ভোটে অনীহা, ভোটার শূন্য কেন্দ্র নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা স্পষ্ট’ শিরোনামে বহুল প্রচারিত একটি দৈনিকে সম্পাদকীয়তে একটি চিত্র প্রকাশ পেয়েছে, যা নিম্নরূপ: ‘বাংলাদেশে নির্বাচনে এক অভুতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তার সব প্রস্তুতি নিয়ে ভোটের আয়োজন করলেও ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে আগ্রহ পাচ্ছেন না। সদ্য সমাপ্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন মাত্র তিনজন। অন্য দুটি কেন্দ্রে সারা দিনে ভোট পড়েছে পাঁচ-সাতটি। সিটি নির্বাচনের পর প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনেও একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে এসব নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে আসলে কী অর্জন হয়েছে। প্রত্যেকটি নির্বাচনে সরকারের তহবিল থেকে বিপুল অর্থ খরচ হচ্ছে। ভোটারই যদি উপস্থিত না থাকেন, তাহলে এত অর্থ খরচ করার কী প্রয়োজন থাকতে পারে? এমন প্রশ্ন এর মধ্যে উঠেছে। উপজেলা নির্বাচনে এক অস্বাভাবিক অবস্থা দেখা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনে ৪৬০টি উপজেলার মধ্যে ২৪ শতাংশ উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন বিনা ভোটে। এমন অবস্থা এর আগে কখনো চিন্তাও করা যায়নি। অবস্থা এমন পর্যায়ে রয়েছে প্রার্থীরাও নিজেদের নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। শুধু উৎসাহ হারিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, না জোর জবরদস্তির কোনো ব্যাপার রয়েছে সেটিও স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না। কারণ, বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় জবরদস্তির এক ভিন্ন সংস্কৃতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেখা গেছে। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১৫ জন চেয়ারম্যানসহ ৩১ প্রার্থী জয় পেয়েছেন ভোট ছাড়া। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে যথাক্রমে ২৫, ৩০ ও ৪০ জন প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ তিন ধাপে প্রায় শতাধিক প্রার্থী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। কোনো উপজেলায় তিনটি পদের মধ্যে কেবল একটি পদের জন্য নির্বাচন আয়োজন হবে। প্রথম ধাপের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা হচ্ছে ভোটাররা কেন্দ্রে আসেননি। বিভিন্ন দৈনিকের সরেজমিন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দিনভর ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল ভোটারশূন্য। সহযোগী একটি জাতীয় দৈনিকে জয়পুরহাটের একটি ভোটকেন্দ্রের অবস্থা সরেজমিনে তুলে ধরে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন ভোট কক্ষে বসে আছেন নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা ২২ কর্মকর্তা। রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৪ জন সদস্যও। ভোট নেয়ার জন্য সবাই প্রস্তুত। প্রথম দেড় ঘণ্টায় এলেন তিন ভোটার, আর সারা দিনে ভোট পড়ে ৬৭টি। তাহলে ওই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এটি একটি নারী ভোটকেন্দ্র হলেও অন্যান্য কেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি একই ধরনের ছিল। যদিও কমিশন বলছে নির্বাচনে অংশগ্রহণের হার ৩১ শতাংশের বেশি। বোঝা যাচ্ছে, ভোটের যে পরিবেশ সেটি নেই। মানুষের মনে এ ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, তার একটি ভোট আর প্রার্থী নির্বাচনে জয় পরাজয় নির্ধারণ করছে না। অর্থাৎ তিনি মনে করছেন, তার ভোটটির আর মূল্য নেই। এ কারণে তিনি আর ভোটকেন্দ্রমুখী হচ্ছেন না। এ ব্যাপার নির্বাচন কমিশনাররা বিভিন্ন দলকে দায়ী করলেও বাস্তবে কোনোভাবে তারা দায় এড়াতে পারে না। প্রজাতন্ত্রের ভোট গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সরকার যখন একচেটিয়া প্রভাব খাটিয়েছে তখন অনেকে নির্বাচন কমিশনকে তাদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তখন নির্বাচন কমিশন কোনোভাবে তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। এখন এক একটি নির্বাচন একেবারে পন্ড হয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রকৃতপক্ষে কোনো কমিশনের দরকার হয় না। সরকার চাইলে এভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের জয়ী করিয়ে আনতে পারে। বাস্তবে এভাবে গণতন্ত্র বাঁচতে পারে না।’
উপজেলা নির্বাচন চলাবস্থায় খুনাখুনির সংবাদ প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হওয়ার পাশাপাশি স্মরণ কালের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে রাঙ্গামাটিতে। রাঙ্গামাটির কংলাক, মাচালং এবং বাঘাইহা ভোট কেন্দ্র থেকে বিকেলে ফেরার পথে ৯ কিলো এলাকায় ব্রাশ ফায়ারে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ ও নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ ৭ জন নিহত এবং গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরো ২০ জন। এ হত্যাকান্ড প্রমাণ করে যে, ভোটাধিকার প্রয়োগে জনগণকে নিরাপত্তা দেয়াতো দূরের কথা নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য সরকার উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিরোধীদের দমন-নিপীড়নে সরকারি বাহিনী যেভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভের জন্য বাহিনীগুলিকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, সে অনুপাতে নিরাপত্তার কোনো পদক্ষেপ সরকার কর্তৃক গৃহীত হয়নি। বিরোধী দলের ব্যর্থতা সরকারের সফলতা হিসাবে গণ্য হবে না, তবে বিনা ভোটে একটি সরকার চলতে পারাটাই বিরোধীদের ব্যর্থতার একটি প্রমাণ হিসাবে ইতিহাসে বর্ণিত হবে।
জনতার চোখে তো বটেই মিডিয়ার দৃষ্টিতে জাতীয় নির্বাচনের আদলে সংগঠিত পরবর্তী নির্বাচন সরকারের একটি রং তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। এ রং তামাশা খেলার জন্য স্থানীয় নির্বাচনকে সরকার দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছে। ফলে সরকারি প্রশাসন ও এজেন্সিগুলি সরকারি প্রার্থীর পক্ষেই থাকে বলে নির্বাচিত হতে আর জনগণের ভোট লাগে না। চলমান উপজেলা নির্বাচন সম্পর্কে একটি জাতীয় দৈনিকে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তা নিম্নরূপ: ‘অনিয়ম, কারচুপি, ভোট বর্জন, বিভিন্ন কিছু সহিংসতা এবং সর্বোপরি ভোটারদের অনাগ্রহের মধ্য দিয়ে শেষ হলো পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ভোট। অনেক কেন্দ্রে প্রথম কয়েক ঘণ্টায় ভোটারদের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কোনো কোনো জায়গায় ভোটারের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে দেখা যায়। ১১৬টি উপজেলায় গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। সব আয়োজন ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু ভোটকেন্দ্রেগুলোতে ছিল না ভোটার। অনেক কেন্দ্রে সকাল থেকে বিকেল গড়ালেও মেলেনি ভোটার উপস্থিতি। তাই কর্মস্থলে অনেকটা অলস সময় কাটালেন ভোটগ্রহণের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে গল্প-গুজব করেই সময় পার করেছেন। জালভোট ও কারচুপির অভিযোগে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর ও কাউখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ছয় চেয়ারম্যান ও চার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন। অন্য দিকে কেন্দ্রে যেতে বাধা ও রাতে ব্যালটবাক্স ভর্তির অভিযোগে নির্বাচন স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে রাঙ্গামাটির রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন জনসংহতি সমিতির নেতা পঞ্চানন চাকমা, যানচিনা চাকমা, ইউসিডিএফ সমর্থিত রূপম চাকমা ও কেনারঞ্জন চাকমা।’
সরকারের বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ‘সিলেকটেড’ দাবি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মো. হাফিজ উদ্দিন খান বলেছেন যে, ‘নির্বাচন মানেই হচ্ছে প্রতিযোগিতা। যেখানে কেউ নির্বাচন ছাড়াই বিজয়ী হচ্ছে সেখানে প্রতিযোগিতার কোনো প্রশ্ন উঠছে না। তাহলে কেন বলা হবে বিনা প্রতিদ্বি›িদ্বতায় নির্বাচিত?’ তিনি আরো বলেন যে, ‘দলীয় প্রতীকে হতে যাওয়া এই নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্য বিরোধী দলগুলো অংশ নেয়নি। এর ফলে কয়েক ধাপে হতে যাওয়া এই নির্বাচনটি হয়ে পড়েছে একতরফা। মূল প্রতিদ্ব›দ্বী বলতে অওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বনাম তাদেরই বিদ্রোহী প্রার্থী। কোথাও কোথাও সরকারি জোটভুক্ত অন্য দলের প্রার্থী থাকলেও এ সংখ্যা নগণ্য। কোনো কোনো এলাকায় বিএনপির কেউ কেউ অংশ নিলেও তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এও দেখা গেছে কোনো কোনো জায়গায় অংশগ্রহণকারীদের অনেকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বর্জন করেছেন। ফলে নির্বাচনটি হয়ে পড়েছে যেন একেরারেই একতরফা। এই একতরফা নির্বাচনে ভোটারের আগ্রহ ক্রমাগত কমছে এবং পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটাই প্রশ্ন ও বিস্ময়সূচক হয়ে পড়েছে।’
বিশ্ব, সমাজ, রাষ্ট্র সবই দু’ভাগে বিভক্ত। সংঘাত চলছে শোষক বনাম শোষিতের, অত্যাচারী বনাম নির্যাতিতের, আগ্রাসনকারী বনাম ভুক্তভোগীর, মুনাফাখোর ও কালোবাজারী বনাম ভোক্তার। বাংলাদেশের নির্বাচনী বর্তমান প্রেক্ষাপটে দু’ভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একপক্ষ ভোটাধিকার হরণকারী, বিপরীতে রয়েছে ভোটাধিকার প্রয়োগে বঞ্চিত অসহায় জনগণ। ভোটাধিকার হরণকারীদের পক্ষ নিয়েছে প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, চাটুকার রাজনৈতিক কতিপয় দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইত্যাদি। ভোটাধিকার প্রয়োগে বঞ্চিতরা হচ্ছে জনগণ, যারা প্রতারিত হচ্ছে তাদের বেতনভুক্ত কর্মচারীদের (সংবিধান অনুচ্ছেদ ৭ ও ২১ দ্রষ্টব্য) দ্বারা, ফলে ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রশ্নে জনগণ আজ অসহায়। যাদের জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগে নিশ্চয়তা বিধান করার কথা তারাই জনগণকে প্রতারিত করছে। ফলে ভোটাধিকার প্রয়োগে অধিকারবঞ্চিতদের অধিকার আদায়ের জন্য ডান-বাম, ধর্মীয় ও ধর্ম নিরপেক্ষ সকলেই একমঞ্চে আসার সময় বয়ে যাচ্ছে। নতুবা ভবিষ্যতে নয়, অদূরেই রাজতন্ত্রের আদলে একটি একদলীয় শক্তিশালী শাসন ব্যবস্থা দৃশ্যমান হয়ে উঠবে। তখন আর নির্বাচন কমিশনের দরকার হবে না। তখন উচ্চ মহল থেকে যাকে খুশি নিয়োগ দেয়ার রীতি চালু হয়ে যাবে এবং এ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে অসহায় জনগণকে। ভোট দেয়া-নেয়ার আর কোনো প্রশ্ন উপস্থাপিত হবে না।
লেখক: কলামিস্ট ও আইনজীবী



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন