Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কচুয়ায় পিতার পাশে চির নিদ্রায় শায়িত চঞ্চল

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৯, ৬:১৬ পিএম

বনানীর এফ আর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহত চাঁদপুরের কচুয়ার আতাউর রহমান চঞ্চলকে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুমা কচুয়ার ৩নং বিতারা ইউনিয়নের বাইছাড়া গ্রামে নামাজে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে পিতার কবরের পাশে দাফন করা হয়। নিহত চঞ্চল বাইছাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের বড় ছেলে। ৪ ভাই ও ২ বোনের সে সবার বড়।

নিহতের চাচাতো ভাই, দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইংরেজী বিভাগের চেয়ারম্যান মুন্সী নূরুল আলম বেলাল বলেন, আমার ভাই মো. আতাউর রহমান চঞ্চল দীর্ঘদিন মোহাম্মদপুরে বসবাস ও মতিঝিলে ট্রাভল এজেন্সির পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিল। অল্প কয়েকদিন আগে সে বনানীতে অফিস স্থানান্তর করেন। ঘটনার সময় চঞ্চল শেষ বারের মতো তার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইফরানুর রহমানকে ফোন করে জানান আমি ছাদে। কিন্তু পরবর্তীতে তার ছেলেসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে ভবনের ছাদসহ কোথাও খুজে পায়নি। রাত ৩টার দিকে সিএমএসএস হাসপাতাল থেকে তার লাশ শনাক্ত করে পরদিন শুক্রবার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ বহুগুনগ্রাহী রেখে গেছেন। নিহতের মেয়ে তাসনিয়া রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত।

বিতারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য(মেম্বার) আবদুল বারেক প্রধান জানান, চঞ্চল বাংলাদেশ বিমানে চাকুরী করতো। চাকুরী শেষ হওযার পর অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ভবনের একটি ট্রাভেল্সে চাকুরীতে যোগ দেয়। আগুনে তার শরীর ৯০ভাগই পুড়ে গেছে।

বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দু’ জন হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ফরিদগঞ্জের আবদুল্লাহ আল ফারুক তমাল (৩০) ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের নাগদা গ্রামের বেনু প্রাধানিয়ার ছেলে রেজাউল করিম রাজু।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এফ আর টাওয়ার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ