বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কিছুদিন আগে চকবাজারের ভয়াবহ আগ্নিকান্ডের ঘটনার সাক্ষি হতে হয়েছিলো দেশের মানুষ কে। আগুনের ভয়াবহতায় কেঁপে উঠেছিলো পুরো বিশ্ব।এর রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে আজ বনানী এফ আর টাওয়ারের আগুনে আবার ও একই ঘটনার সাক্ষি হলো বাংলাদেশ। আজকের আগুনের ভয়াবহতা বনানী ছাড়িয়ে দেশের প্রত্যেকটি মানুষের মনেই ছড়িয়ে পরেছে।
আজ দুপুর প্রায় ১২ টার দিকে অগ্নি কান্ডের সূত্রপাত হয় বনানীতে অবস্থিত এফ আর টাওয়ারে। এখন প্রায় ৬ টা বাজে। এর মধ্যে চলে গেছে প্রায় ৬ ঘন্টা। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২০+ ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের সাথে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী ও বিমান বাহিনী। কিন্তু দু:খের বিষয় হচ্ছে এ ৬ ঘন্টাতে একটি ভবনের আগুণ আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছি।
নি:সন্দেহে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে অনেকের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।এটা অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে। কিন্তু পাশাপাশি প্রায় ৭ জন মানুষ মৃত্যু বরণ করেছে এবং সময়ের সাথে সংখ্যাটি আরো বাড়ার আশংকা রয়েছে এর ব্যর্থতার দায় ও তাদেরকেই নিতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের কাছে যদি অত্যাধুনিক যন্ত্র থাকতো তাহলে হয়তো মৃত্যুর মিছিল এত দীর্ঘ হতো না। কিন্তু কবে আমরা সচেতন হবো? চকবাজারের মতো এত বড় একটা দূর্ঘটনার পরেও যদি আমাদের সচেতন করতে না পারে তবে আর কিভাবে সম্ভব?
একটি ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণেই যদি হিমশিম খেতে হয় তাহলে ভবিষ্যতে এর চেয়ে ভয়ানক কিছু হলে সেটা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব?
আমরা সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে স্যাটেলাইটে নিজেদের অবস্থান জানাতে সক্ষম হয়েছ। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পারছি তবে কেনো আমাদের ফায়ার সার্ভিস কে আরো অনেক বেশী উন্নত করতে পারছিনা? অথচ স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতুর চেয়ে আরো অনেক বেশী প্রয়োজন আমাদের জীবনের নিরাপত্তা। মানুষের জীবনের নিরাপত্তাই যদি না থাকলো তবে এই ডিজিটাল বাংলাদেশ দিয়ে কি হবে?
মানুষের বেঁচে থাকার যে আকুতি তা সত্যিই অনেক হৃদয়বিদারক। জানালা দিয়ে ক্রমাগত সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন, অনেকে বেচে থাকার শেষ চেষ্টা হিসেবে বিল্ডিং থেকে লাফিয়ে পরছেন। কেউ কেউ দড়ি দিয়ে নামতে যেয়ে ছিটকে পরে যাচ্ছেন। এরকম ভয়াবহ দৃশ্য শেষ কবে এ দেশের মানুষ দেখেছে আমার জানা নেই। কিন্তু আমরা তাদের জীবন রক্ষা করতে পারিনি। এ আগুন যেনো পুরো দেশের মানুষকেই পোড়াচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ দয়া করে আমাদের ফায়ার সার্ভিস সহ উদ্ধার কাজে নিয়জিত যতো টিম আছে সকল কে আরো বেশী উন্নত করা হোক। এ ধরনের ভয়াবহতা এ দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।