প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
২০০৬ সালে ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সঙ্গীত অঙ্গনে পা রাখেন মৌসুমী আক্তার সালমা। তারকা খ্যাতি অর্জনের পর ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি সালমা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন শিবলী সাদিকের সঙ্গে। তাদের সংসারে স্নেহা নামে সাত বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এগুলো কমবেশি সবারই জানা।
প্রথম সংসার ভেঙে যাওয়ার পর আবারও সংসারী হয়েছেন ক্লোজআপ ওয়ানখ্যাত এ তারকা। গেল বছর ৩১ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ছেলে সানাউল্লাহ নূর সাগরকে বিয়ে করেন তিনি। বিষয়টি জানা জানি হলেও দ্বিতীয় বিয়ের খবরটি শুরুতে গোপন করেন এই সংগীত শিল্পী। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। প্রকাশ্যে শিকার করতে হয়েছে সালমাকে। এবং করেছেনও। জানা জানি হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলন করে নিজের দ্বিতীয় বিয়ের খবরটি গণমাধ্যমে নিজেই পরিষ্কার করেছেন তিনি। জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় স্বামীর নাম ও পরিচয়। সালমা জানান তার দ্বিতীয় স্বামীর নাম সানাউল্লাহ নূরে সাগর। তিনি বর্তমানে লন্ডনে ‘বার অ্যাট ল’ পড়ছেন। এই বিষয়গুলোও ইতোমধ্যেই সবার জানা। তবে ঝামেলা হয়েছে অন্য আরেক জায়গায়।
সম্প্রতি সালমার দ্বিতীয় স্বামী সানাউল্লাহ নূর সাগরকে নিয়েও সালমা পড়েছেন আরেক বিপদে। কারণ বর্তমান স্বামী সাগরের নামে হয়েছে মামলা। মামলাটি করেছেন আবার সাগরের প্রথম স্ত্রীর পরিবার। এ নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত সালমা। কারণ স্বামীর আগের স্ত্রীকে নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হচ্ছে তাকে। দিতে হচ্ছে নানা ধরনের উত্তরও। যদিও স্বামীর আগের বিয়ের বিষয়টি পুরোপুরিই জানতেন সালমা। তারপরও তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নারাজ। তবুও বিতর্কিত সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে তাকে।
জানা যায়, সালমার স্বামী সানাউল্লাহ নূর সাগরের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৯ নভেম্বর কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা হয়েছে। কারণ সাগরের প্রথম স্ত্রী কক্সবাজারের মেয়ে। মামলাটি করেছেন তার প্রথম স্ত্রীর (তাসনিয়া মুনিয়াত পুষ্মী) মা দিলারা খানম। এ মামলায় সানাউল্লাহ নূরে সাগর ও তার বাবা-মাকে আসামি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সাগরের প্রথম স্ত্রীর পরিবার জানায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর সাগর লন্ডনে যায়। লন্ডনে পৌঁছার পর সাগর আর যোগাযোগ করেনি। সাগরের খবর জানতে প্রথম স্ত্রী ফোন দিলে সাগর খারাপ আচরণ করে। পরে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ মামলা করা হয়।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৩ জুন সানাউল্লাহ নূরে সাগরের সঙ্গে ২০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয় পুষ্মীর। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থীকে বিয়ের পর থেকে নানাভাবে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন সাগর। শুধু তাই নয়, শারীরিকভাবেও চালান অমানবিক নির্যাতন।
সাগরের প্রথম স্ত্রীর পরিবারের দাবি, মেয়ের কথা চিন্তা করেই তারা টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সাগরকে তিন কিস্তিতে মোট ১০ লাখ টাকা দেন। সেই টাকায় সাগর যুক্তরাজ্যে ‘বার অ্যাট ল’ পড়তে যান।
এদিকে স্বামীর বিয়ে প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন সালমাও। সাগরের আগের বিয়ের বিষয়টিও জানতেন বলে দাবি সালমার। বিষয়টি নিয়ে সালমা বলেন, ‘প্রথম স্ত্রীর সম্পর্কে সাগর সবকিছুই আমাকে বলেছে। এটা তার জীবনের একটা দুর্ঘটনা বলে আমাকে জানিয়েছে। সঙ্গে এও বলেছে, প্রায় এক বছর আগে তাদের ছাড়াছাড়িও হয়ে গেছে। সাগরের বিরুদ্ধে তার প্রথম স্ত্রীর অভিযোগগুলো শুনলাম। এ বিষয়ে কী বলবো, আমার জানা নেই। সাগর বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছে। ও দেশে এসেই এ বিষয়ে কথা বলবে এবং ব্যবস্থা নেবে। কারণ সাগর নিজেও আইনের মানুষ। শুনেছি তার প্রথম স্ত্রীও আইন বিষয়েরই ছাত্রী। সুতরাং আইনিভাবেই এটা সমাধান হবে। তবে আমার জানা থেকে এতটুকু বলতে পারি আইনি সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই সে তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে এবং দ্বিতীয় বিয়ে অর্থাৎ অমাকে বিয়ে করেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।