মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির দুই গ্রামে মুসলিম আদিবাসীদের ওপর সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনীর হামলায় অন্তঃসত্ত¡া নারী, শিশু এবং বৃদ্ধসহ শাহাদাত বরণ করেছেন অন্তত ১৩৪ জন। আহত হয়েছেন আরো বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিক। হামলাকারীদের মূল টার্গেট ছিল ইসলাম ধর্মাবলম্বী ক্ষুদ্র আদিবাসী ফুলানি সম্প্রদায়ের মানুষ। গত শনিবার উদ্ধার কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যের বরাতে করা প্রতিবেদনে ভয়াবহ এ হামলায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে ওগোসাগো শহরের ওয়েলিংগারা গ্রামে বসবাসরত ফুলানি জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে আচমকা এই হামলাটি চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দারা তখন ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল বলে একসঙ্গে এত লোকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ওগোসাগো শহরের মেয়র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সা¤প্রতিক সময়ে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও জিহাদীদের মধ্যে চলমান সহিংসতার মধ্যে শনিবারের হামলাটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’ মেয়র আরো জানান, ‘ঐতিহ্যবাহী ডোনজুদের ছদ্মবেশে বন্দুকধারীরা এই হামলাটি চালায়। হামলায় ফুলানি জাতিগোষ্ঠীর প্রধান ও তার পরিবারের সকল সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।’
অপরদিকে স্থানীয় এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এ দিন ভোরে এ হামলাটি চালানোর সময় গ্রামের সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। বন্দুক ও বড় দা দিয়ে এই হত্যাকাÐ চালানো হয়েছে।’
যদিও ফুলানি জাতিগোষ্ঠীদের অভিযোগ, সন্ত্রাসী এই হামলাটি চালানোর জন্য মালির সামরিক বাহিনী হামলাকারীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। তাছাড়া গত বছরেও শিকারী গোষ্ঠী ড্রাগন এবং ফুলানিদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় শতাধিক লোকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এর আগে গত শুক্রবার জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার মালি শাখার এক সদস্য জানিয়েছিলেন, গত সপ্তাহে সামরিক বাহিনীর ওপর তারা একটি হামলা চালিয়েছে। সেই হামলায় মালির ২০ জনেরও বেশি সেনা কর্মকর্তা প্রাণ হারান। উল্লেখ্য, দরিদ্র ফুলানি স¤প্রদায়ের মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে পশু পালন। এ স¤প্রদায়ের বেশিরভাগ মানুষই রাখাল। এমন সময়ে তাদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটলো যখন ক্রমবর্ধমান জাতিগত বিদ্বেষ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে দেশটিতে অবস্থান করছিলেন জাতিসংঘের একাধিক দ‚ত। এ হামলাকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রতিবেশী গ্রাম ওউঙ্কোরোর মেয়র চিক হারাউনা সানকার। সূত্র : এএফপি, এপি ও রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।