শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
জোবায়ের মিলন
যতটুকু তাপ তপ্ত করে মেয়েটিকে
ততটুকু তাপ নেই ছেলেটির গায়ে।
ঠা-া পাহাড় শুয়ে থাকলে মেঘের পিঠে হেলান দিয়ে
তুমি তার থেকে খুঁজে ফেরো-
আগুন জ্বালাবার খড়ি।
ছেলেটি শামুক হয়- লজ্জায়
মেয়েটি আগ্নেয়গিরি হয় ক্রোধে,
হায় ছেলে-মেয়ে। . . .হায় বসবাস!
হায় যোগ, হায় বিয়োগ
হায়, জীবনের পাঁচপূরণ!
কিঢ়িপদ
জোনায়েদ টুটুল
আমি বুঝি না, বুঝতেও পারি না;
বহুবার বলেছি, আবারও বলছি-
অংকটা না মিললেও অসুবিধা নেই;
পূর্বপুরুষের তৈরি সমাধান আছে।
লিখতে শুরু করো; অথবা-
গাইড দেখে দেখে পড়ো...
ধাই কিঢ়ি-কিঢ়ি ধাই,
তাই কিঢ়ি-কিঢ়ি তাই;
ধাই কিঢ়ি-কিঢ়ি ধাই,
তাই কিঢ়ি-কিঢ়ি তাই।
চলেছে, চলছে, চলবে।
তবুও...
আমি বুঝি না, বুঝতে পারি না;
বহুবার বলেছি, আবারও বলছি।
শিশমহল-১
মঈন মুনতাসীর
যদি উচিৎ কথা বলি-
যদি চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দেই,
আমিও বিরল প্রজাতির ঘড়িয়াল,
আমিও স্থান পাবো সরকারি চিড়িয়াখানায়!
ফিরে এসো তুমি
শেখ হামিদুল হক
গ্রীষ্মের অনিয়মতান্ত্রিক রুদ্র খরতাপে দু’মুঠো অন্নের জন্য
যখন এতিম বালকের ফুলের পাপড়িসম ত্বক
বেয়ে বিক্ষুব্ধ ঘামের প্রতিবাদী ¯্রােত বয়ে যায়,
দুখু মিয়া, তখন কেবলি মনে পড়ে তোমায়।
ক্ষুধার্ত আদম যখন লাঞ্ছনার বাণীর বিষাক্ত
ছোবল খেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে ক্লান্ত দেহের
অবসাদের কথা ভুলে কষ্টের বৈরী অশ্রু ঝরায়,
তখন তোমার কথা মনে পড়ে বার বার।
অনিয়মের খড়কুটো কেন ভেসে যায় না তোমার
প্রতিবাদী বৈশাখী ঝড়ের বিনাশী তা-বে? মানবতার
জয়গানের মন্ত্রে কেন ভাঙে না ঘুম প্রতিবাদীর ?
অনিয়মের মেঘের ছায়ায় কেবল তোমাকেই মনে পড়ে,
নিয়মভাঙা শোষকের দ-ে শোষিতের পায়ে
অনিয়মের শেকল ছিঁড়ে ফেলার উত্তপ্ত মন্ত্রের জন্য।
আজ তোমার বেশি প্রয়োজন, উন্নত মস্তকে প্রতিবাদী
হুঙ্কারে শাসকের মসনদ কাঁপিয়ে দেয়ার
সেই বজ্র হুঙ্কারের জন্য, হে বাঙলার বীর
চির উন্নত শিরের সাহসী সন্তান বিদ্রোহী নজরুল
তোমাকে বার বার মনে পড়ে, তুুমি ফিরে
এসো, শোষিতের বুকে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ঘটাতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।