গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর নর্দ্দায় বাসচাপায় বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর সড়ক অবরোধ করেছেন তার সহপাঠিরা। আজ সকাল ৭টা ১০ মিনিটে বসুন্ধরা গেটে সুপ্রভাত বাসের ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটার পর প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা দু’পাশের সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। পরে সকাল ১০টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করলে উল্টো তোপের মুখে পড়েন।
জানা যায়, মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসলে অনিক নামে একজন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। বলেন, চালককে ১০ দিনের ভেতরে ফাঁসি দিতে হবে, সুপ্রভাতের রুট পারমিট বাতিল করতে হবে, সিটিং সার্ভিস বন্ধ করতে হবে। এছাড়া স্টপেজের ব্যবস্থা, চালকদের ছবি-লাইসেন্স গাড়িতে ঝুলিয়ে রাখা, বসুন্ধরা গেটে ফুটওভারব্রিজের ব্যবস্থা করা, সুপ্রভাত বাসের চালককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন। প্রতিটি জেব্রা ক্রসিংয়ে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করাসহ ট্রাফিক পুলিশের দুনীর্তি বন্ধ করার দাবিও তোলেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় মেয়র আতিকুল বলেন, ৭ দিন হলো আমি দায়িত্ব নিয়েছি। আমি মেয়র হিসেবে নয়, ভাই হিসেবে বলছি, আমাকে সময় দেন। আমাদের সচেতন হতে হবে। শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, তোমরা আমার সঙ্গে থাকলে আমি সব সমস্যার সমাধান করে ফেলবো। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাসের মালিক ও সংশ্লিষ্টদের নিয়মের ভেতরে আনা হবে। ঢাকা সিটিতে ৬ টি কোম্পানির মাধ্যমে বাস চালানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান। আইন অনুয়ায়ী চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
আতিকুল আরও বলেন, বসুন্ধরা গেটে যে ফুটওভার ব্রিজ হবে সেটা আবরার এর নামে হবে। ২-৩ মাসের ভেতরে আমি করে দেব। এসব প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর শিক্ষার্থীদের সরে যেতে বললে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন সদ্য দায়িত্ব নেয়া এই মেয়র। পরে সেখান থেকে চলে যান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।