নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে হেরে যাওয়ার পর অনেকেই জুভেন্টাসের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেটা যে প্রতিপক্ষ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের রক্ষণশক্তির কারণেই তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এটাও ঠিক, জুভেন্টাসের উপর থেকে আস্থা হারালেও একজনের উপর কিন্তু আস্থা ছিলই- ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
পর্তুগিজ তারকা সেই আস্থার কী দারুণ প্রতিদানই না দিলেন। তার কাঁধে সওয়ার হয়েই ইউরোপিয়ান শিরোপাস্বপ্ন আরো জোরদার করলো ইতালিয়ান জায়ান্টরা। পাঁচবারের বর্ষসেরা তারকা আরো একবার জানান দিলেন, কেন তাকে ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মহাতারকা’ বলা হয়। তার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকেই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে প্রথম লেগে ২-০ গোলে হারের ব্যবধান ঘুঁচিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে উঠেছে জুভেন্টাস।
পরশু রাতে তুরিনের আঁলিয়েজ অ্যারোনায় সফরকারী দলকে ৩-০ গোলে হারায় মাসিমিলিয়াগো আল্লেগ্রির দল। দুই লেগ মিলে ৩-২ ব্যধানে এগিয়ে প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে টানা সাতবারের সেরি আ চ্যাম্পিয়নরা। চারবারের সাক্ষাতে এই প্রথম অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে গোল ও জয়ের দেখা পেল ‘ওল্ড লেডি’ খ্যাত দলটি।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের নক আউট পর্বে পিছিয়ে থেকেও ২০০৬ সালের পর এই প্রথম প্রত্যবর্তনের নজীর গড়ে জুভেন্টাস। সবচেয়ে বড় কথা যে কারণে ‘বুড়ো’ রোনালদোকে ১০০ মিলিয়ন ইউরো খরচায় রিয়াল মাদ্রিদ থেকে দলে আনা হয়েছিল সেই পরিকল্পনায় প্রাথমিকভাবে সফল জুভেন্টাস। ম্যাচ শেষে রোনালদো নিজেও এমন কথাই বলেছেন, ‘এই রাতটা সবসময়ই আমাদের জন্য বিশেষ একটি রাত হয়ে থাকবে। এটা শুধুমাত্র আমি গোল পেয়েছি এজন্য নয়, পুরো দল জিতেছে এজন্য। এটাই একটি চ্যাম্পিয়ন দলের মানসিকতা। এ কারণেই জুভেন্টাস আমাকে দলে নিয়েছে। যাদুকরী একটি রাতে আমি দলকে সহযোগিতা করতে পেরেছি, এটা আমার কাছে অনেক কিছু।’
ঘরের মাঠে ডিয়েগো সিমিওনের দল প্রথম লেগে যে দাপট দেখিয়েছিল তার কিছুই দ্বিতীয় লেগে তারা দেখাতে পারেনি। শুরু থেকেই তারা ছিল রক্ষণাত্মক। জুভেন্টাসও ম্যাচের বাঁশিতে ফুৎকারের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষের রক্ষণে হামলে পড়ে। ফল মেলে ম্যাচের ২৭তম মিনিটে। দুর্দান্ত হেডে ম্যাচের প্রথম গোল করে ৩০ হাজার সাদা-কালো পতাকা নিয়ে গ্যালারিতে হাজির হওয়া স্বাগতিক সমর্থকদের আশা দেখান রোনালদো। বিরতির চার মিনিট পরে দ্বিতীয় গোল করে আশা উজ্জ্বল করেন। এবারো হেড থেকে গোল করেন সিআর-সেভেন। আর ৮৬তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে দলের অগ্রগমণ নিশ্চিত করেন ৩৪ বছর বয়সী। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ইউরোপিয়ান শিরোপার পথে মৌসুমে এটি ছিল তার চতুর্থ গোল, আর প্রতিযোগিতায় অষ্টম হ্যাটট্রিক। সমান সংখ্যক হ্যাটট্রিক নিয়ে এতদিন এই রেকর্ডের একক মালিক ছিলেন লিওনেল মেসি। ১২৪ গোল নিয়ে প্রতিযোগিতার শীর্ষ গোলদাতা রোনালদো এ নিয়ে নক আউট পর্বে গোল করলেন ৬৩টি।
পক্ষান্তরে, পুরো ম্যাচে গোলের তেমন কোন সুযোগই তৈরী করতে পারেনি অ্যাটলেটিকো। বলার মত প্রথমার্ধে একমাত্র সুযোগটি পান আলভারো মোরাতা। কিন্তু স্প্যানিশ স্ট্রাইকারের নেওয়া হেড বার ঘেঁসে বেরিয়ে যায়।
ম্যাচের আগে অনেকে জুভেন্টাসে আলেগ্রির চাকরি ভবিষ্যৎ নিয়ে কাঁটাছেড়া শুরু করেছিলেন। এমন দারুণ জয়ের পর তাই অ্যালেগ্রির কণ্ঠে উচ্ছ¡াসের সুর, ‘আজ ছেলেরা দারুণ পরিণত একটা ম্যাচ খেলেছে। ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে সবাই মুখিয়ে ছিল। আমি তাদের অভিনন্দন জানাতে চাই। ঠিক এটাই আমরা প্রথম লেগে প্রত্যাশা করেছিলাম। এই ধরনের ম্যাচে অনেক ঝুঁকি থাকে। খেলোয়াড়দেরও মানসিকভাবে দারুণ চাঙ্গা থাকতে হয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।