নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া লিগ ফুটবলে একই ভাগ্যে বাধা পড়লেন সময়ের দুই শীর্ষ ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। দলের হয়ে ঘরের মাঠে দুইজনই করলেন জোড়া গোল। কিন্তু ম্যাচ শেষে দুজনকেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে পয়েন্ট ভাগাভাগির হতাশা নিয়ে। মেসি হয়ত সান্ত¦না পেতে পারেন দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও হার এড়াতে পারায়। কিন্তু রোনালদোর দল জয়বঞ্চিত হয় যোগ করা সময়েরও শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে।
পরশু স্প্যানিশ লা লিগায় ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনা ২-২ ড্র করে ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে। আর সেরি আতে জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে ছয় গোলের নাটকীয় ম্যাচে পার্মার সঙ্গে ৩-৩ ড্র করে স্বাগতিকরা।
পিছিয়ে পড়েও হার এড়ানো যদি হয় বার্সা সমর্থকদের জন্য হতাশা, তবে তার চেয়েও বড় হতাশা মেসির চোট। এদিন ম্যাচের ৭০ মিনিটে ডান পায়ের হাটুতে আঘাত পান মেসি। শুশ্রæষা নিতে মিনিট পাঁচেক ছিলেন মাঠের বাইরে। মাঠে ফিরে আর সেভাবে তাকে দৌড়াতে দেখা যায়নি। ক্লাবের পক্ষ থেকেও পরিষ্কারভাবে কিছু জানানো হয়নি। গত রাতে ডাক্তারি রিপোর্ট পাওয়া কথা। এরপর জানা যাবে বুধবার রাতে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মেসিকে পাওয়া যাবে কি না। উত্তাপের ‘এল ক্ল্যাসিকো’র আগে দলের প্রাণভোমরাকে নিয়ে এমন শঙ্কা ভক্তদের মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মত।
দলীয় কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে অবশ্য ক্ল্যাসিকো ম্যাচে মেসিকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী, ‘তার ব্যথা কেমন তা বুঝতে আমাদের রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমি আপনাদের এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না। আমরা আশা করি, মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলতে সে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সেরে উঠবে।’ ‘মেডিকেল টিম কি বলে, আমরা দেখব। তবে এটা খুব খারাপ কিছু বলে আমরা ভাবছি না।’ গত অক্টোবরে ঘরের মাঠে রিয়ালের বিপক্ষে লিগ ম্যাচে চোটের কারণে খেলতে পারেননি মেসি। অধিনায়ককে ছাড়াই ম্যাচটি ৫-১ গোলে জিতেছিল বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে এদিন ভালভার্দে টেকনিক্যালি কিছু সিদ্ধান্ত ছিল অবাক করার মত। মিডফিল্ডার সার্জিও রবার্তোকে দিয়ে এতদিন রাইট ব্যাকের অভাব মিটিয়েছেন কাতালান কোচ। এদিন রবার্তোকে খেলান লেফ্ট ব্যাকে, জার্ডি আলবার স্থানে। আলবা ছিলেন বেঞ্চে। প্রথমার্ধের পুরোটা সময় বার্সার বাঁ প্রান্ত বার বার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছিল। সেই সুযোগে ঝটিকা পাল্টা আক্রমণে স্বাগতিক সমর্থকদের বুকে কাঁপুনি ধরাচ্ছিল ভ্যালেন্সিয়া। শেষ বাঁধা হিসেবে গোলরক্ষক টের স্টেগেন ছিলেন দুর্নান্ত। কিন্তু ২৪ মিনিটে স্টেগেনের কিছুই করার ছিল না। পাল্টা আক্রমণেই কেভিন গামেইরোর গোলে এগিয়ে যায় ভ্যালেন্সিয়া। ৩২ মিনিটে রবার্তের ফাউলে পেনাল্টি পেয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন ড্যানিয়েল পারেজো। ৩৯ মিনিটে মেসির পেনাল্টি গোলে ম্যাচে ফেরে বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধে আর এই ভুল করেননি ভালভার্দে। রবার্তোকে ফিরিয়ে আনা হয় রাইট ব্যাকে। সেমেদোর পরিবর্তে নামেন আলবা। বার্সাও দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফেরে। কিন্তু ভ্যালেন্সিয়ার রক্ষণ ছিল অটুট। ৬৪ মিনিটে মেসির দুরপাল্লার মাপা শট বার্সাকে সমতায় ফেরায়। লিগ মৌসুমে এটি তার ২১তম গোল। এ নিয়ে টানা ১১ মৌসুম লিগে বিশোর্ধো গোল করলেন ক্ষুদে জাদুকর। এর ছয় মিনিট পর হাটুতে আঘাত পান মেসি। পুরো ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক নেতো ছিলেন দুর্দান্ত। বেশ কয়েকবার মেসিকে গোলবঞ্চিত করেন তিনি।
বার্সা পয়েন্ট হারানোয় শীর্ষস্থানধারীদের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর সুযোগ ছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সামনে। গত রাতে রিয়াল বেটিসকে হারাতে পারলে ব্যবধানটা নেমে আসবে ৩ পয়েন্টে। তিনে থাকা রিয়ালেরও সুযোগ ছিল ঘরের মাঠে আলাভেসকে হারিয়ে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বীদের সঙ্গে ব্যবধানটা ৮ পয়েন্টে নামিয়ে আনার।
আর জুভেন্টাসের ম্যাচটি ছিল নাটকীয়তায় ভরা। প্রথমার্ধে রোনালদোর রিফ্লেকটেট গোলে এগিয়ে ছিল জুভারা। দ্বিতীয়ার্ধে ছয় মিনিটের নাকীয়তায় ব্যবধান হয়ে যায় ৩-১। ড্যানিয়েল রুগানির গোলে ব্যবধান বাড়ানোর ২ মিনিটের মাথায় অ্যান্তোনিও বারিলা পার্মার হয়ে একটি গোল শোধ দেন। ২ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান রোনালদো। এই গোল দিয়ে সাম্পদরিয়ার বর্ষিয়ান স্ট্রাইকার ফাবিও কোয়ালিয়ারেল্লাকে হটিয়ে লিগের সর্বোচ্চ (১৭) গোলদাতা বনে যান রোনালদো। ৭৪তম মিনিটে জার্ভিনহো কোয়েসি ব্যবধান কমান। আর যোগ করা সময়েরও শেষ মুহূর্তে সবাই যখন রেফারির শেষ বাঁশির অপেক্ষায় ঠিক সেই সময় এই আইভোরি কোস্টের উইঙ্গার দ্বিতীয় গোলে স্বাগতিকরা মাঠ ছাড়ে এক রাশ হতাশা নিয়ে।
ওদিকে প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট তালিকার তলানীর দলকে পেয়ে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে চেলসি। বøুদের হয়ে জোড়া গোল দিয়ে খাতা খোলেন আর্জেন্টাইন তারকা গঞ্জালো হিগুয়েইন। দুটি গোল করেন হ্যাজার্ডও, অন্যটি ডেভিড লুইসের। দিনের প্রথম ম্যাচে সন হিউন মিনের একমাত্র গোলে নিউক্যাসলকে হারিয়ে দুইয়ে উঠে আসে টটেনহাম।
ওদিকে বুন্দেসলিগায় টানা ৭ ম্যাচ জয়ের পর আবারো হেরেছে বায়ার্ন মিউনিখ। বায়ার লেভারকুসেনের মাঠে তারা ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেও ৩-১ গোলে হেরে যায়। টানা সপ্তম শিরোপা জয়ের পথে শীর্ষে থাকা বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের চেয়ে সাত পয়েন্টে পিছিয়ে পড়ল বায়ার্ন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।