বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নির্মাণাধীন ছাদ ধসের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ওই ব্যক্তি শ্রমিক হিসেবে ওই ভবনে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ শ্রমিক।
নিহত বজলু মিয়া কুমারখালী উপজেলার ভাদু প্রামাণিকের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি জেলার কুমারখালী উপজেলার চড়াইকোল গ্রামে। আহত শ্রমিকদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমকিভাবে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শ্রমিকদের অভিযোগ, অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের কাজ চলছিলো। দ্রæত কাজ করার জন্যই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শ্রমিকদের যে অভিযোগ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি নির্মাণ কাজে কোনো অনিয়ম হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জহুরুল কনস্ট্রাকশনের আওতায় এ কাজ চলছিলো।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণ প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) আশরাফুল হক দারা জানান, দ্রæত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করছিল। হয়তো সাটারিং এ কোনো দুর্বলতার জন্য এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহত শ্রমিক ইশা খাঁ জানান, হঠাৎ করেই বিকট শব্দ করে নির্মাণাধীন সাটারিংটি ধসে পড়ে। তখন নিচে দুইজন কাজ করছিল। সম্ভাব্য নিচে থাকা দুইজনই নিচে চাপা পড়েছিল। এর মধ্যে একজনের ল্শা উদ্ধার করা হয়েছে। কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের গ্রæপ লিডার মোস্তফা আহম্মেদ জানান, আজকের মতো উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। ভেতরে আটকা পড়া নির্মাণ শ্রমিক বজলু মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।